বাংলারজমিন
জগন্নাথপুরে ভেঙে পড়লো নির্মাণাধীন সেতুর গার্ডার
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
২০২১-০৩-০৩
পাগলা জগন্নাথপুর আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক অংশে একটি সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ধসে পড়েছে। গত রোববার রাতে সেতুটির ৫টি গার্ডার ধসে পড়ে। সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সড়কের পাগলা পয়েন্ট থেকে জগন্নাথপুর উপজেলা অংশে ১০০ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে সাতটি পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। এমএম বিল্ডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুগুলোর কাজ করছে। গত এক বছর ধরে সেতুর নির্মাণ কাজ চলছিল। আগামী ডিসেম্বরে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা। ঘটনাস্থলে কথা হয় দরগাপাশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রওশন খান সাগরের সঙ্গে। তিনি জানান, নিম্নমানের কাজের কারণে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ধসে পড়েছে। একটি সেতু এভাবে ধসে যাওয়ায় একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আরো সাতটি সেতুর কাজ নিয়ে আমরা চিন্তিত।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্সের প্রকল্প ব্যবস্থাপক হারুনুর রশীদ বলেন, হাইডোলিক জেকের মাধ্যমে গার্ডার বসানোর সময় পাইপ ফেটে যাওয়ায় জ্যাকটি ফেল করলে গার্ডার পড়ে যায়। কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। তবে এ ঘটনায় তাদের ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে দাবি করেন তিনি। সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ- সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সেতুটির প্রায় ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ করে একটি দুর্ঘটনায় সেতুটি ধসে পড়ে। কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, এটি একটি দুর্ঘটনা। অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। এ ছাড়াও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এ কাজের জন্য কোনো বিল পরিশোধ করা হয়নি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্সের প্রকল্প ব্যবস্থাপক হারুনুর রশীদ বলেন, হাইডোলিক জেকের মাধ্যমে গার্ডার বসানোর সময় পাইপ ফেটে যাওয়ায় জ্যাকটি ফেল করলে গার্ডার পড়ে যায়। কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। তবে এ ঘটনায় তাদের ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে দাবি করেন তিনি। সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ- সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সেতুটির প্রায় ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ করে একটি দুর্ঘটনায় সেতুটি ধসে পড়ে। কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, এটি একটি দুর্ঘটনা। অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। এ ছাড়াও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এ কাজের জন্য কোনো বিল পরিশোধ করা হয়নি।