শেষের পাতা

স্মরণসভায় বক্তারা

দারিদ্র্যবিমোচন ও সমাজ উন্নয়নে সফিকুল হক চৌধুরী অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন

স্টাফ রিপোর্টার

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, রবিবার, ৯:৪৮ অপরাহ্ন

সদ্য প্রয়াত আশার প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মো. সফিকুল হক চৌধুরীর স্মরণ সভায় বক্তারা বলেছেন, দেশে দারিদ্র্যবিমোচন ও সমাজ উন্নয়নে তার অবদান অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি যে পথরেখা রেখে গেছেন তা অনুসরণ করেই সামনে এগিয়ে যাবে আশা। শনিবার রাজধানীর শ্যামলীতে আশার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আশার সিনিয়র এডভাইজর এম আবদুল আজিজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- আশা পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ভিসি প্রফেসর ড. ডালেম চন্দ্র বর্মণ। স্মৃতিচারণ করেন- আশা ইন্টারন্যাশনালের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. এনামুল হক, আশার উপদেষ্টা সুশীল রায়, এক্সিকিউটিভ ভাইস- প্রেসিডেন্ট (হিসাব) মো. তৌফিকুল ইসলাম চৌধুরী, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর একেএম আমিনুর রশিদ, আশার সাবেক কর্মকর্তা মো. ফায়েজুর রহমান, নাছির উদ্দিন কাউসার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আশার নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আরিফুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, আশা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে মো. সফিকুল হক চৌধুরী বাংলাদেশের দারিদ্র্যবিমোচন, টেকসই উন্নয়নে কাজ করেছেন। সারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তিনি সাধারণ মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ নিয়ে কাজ করতেন। দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা থেকে সরকারি চাকরি পেয়েও তা করেননি। দেশ ও দেশের বাইরে যাঁরা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন আশার প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট মো. সফিকুল হক চৌধুরী। সামাজিক উন্নয়ন, হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে তথা মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে গণমানুষের কাছে তিনি এক অনন্য উদাহরণ।

বক্তারা আরো বলেন, প্রয়াত মো. সফিকুল হক চৌধুরীর চিন্তা চেতনায় সবসময় ছিল সমাজের অবহেলিত মানুষের উন্নয়ন। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে আশা দেশে ও দেশের বাইরে সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছে। তার কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে অসংখ্য বিদেশি তাদের দেশে আশার মতো করে সংস্থা পরিচালনা করেছেন। তাদের কাছেও আশার প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট সফিকুল হক চৌধুরী মডেল হিসেবে থাকবেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. ডালেম চন্দ্র বর্মণ বলেন, সফিকুল হক চৌধুরী ছিলেন সাধারণ মানুষের বন্ধু। তিনি সব সময় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতেন। দারিদ্র্যবিমোচন, নারীর উন্নয়নসহ তাঁর বিভিন্ন কার্যক্রম ছিল ব্যতিক্রম ও সর্বমহলে প্রশংসনীয়। তার নিত্য-নতুন চিন্তাধারায় আশা গণ-মানুষের আস্থা অর্জন করতে সফল হয়। তার দেখানো পথ অনুসরণ করে আশা ও আশা ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এগিয়ে যেতে পারবেন।
আশা ইন্টারন্যাশনালের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) মো. এনামুল হক বলেন, সদ্য প্রয়াত প্রেসিডেন্টের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল আজকের এই আশা। সংস্থাটি ইতিমধ্যে দেশের ৫২০ টি থানায় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ৭০ লক্ষাধিক মানুষের মাঝে সেবা দিয়ে আসছে আশা। আমরা শুধু একজন প্রেসিডেন্টেকে হারাইনি। হারিয়েছি একজন অভিভাবক। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রয়াত মো. সফিকুল হক চৌধুরীর স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে ৫ মিনিটের একটি প্রামাণ্য ভিডিও দেখানো হয়।
 
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status