বাংলারজমিন
৩ বছরেও শেষ হয়নি ঝিনাইদহ আড়াইশ’ বেড হাসপাতালের কাজ
আমিনুল ইসলাম লিটন, ঝিনাইদহ থেকে
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, রবিবার, ৯:০৫ অপরাহ্ন
১৮ মাসের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও ৩ বছরেও শেষ হয়নি ঝিনাইদহ জেলা সদরে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের নির্মাণকাজ। এদিকে যথাসময়ে আটতলা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবনের কাজ শেষ না হওয়ায় পুরনো ভবনের মেঝে ও বরান্দায় শত শত রোগীর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম টিপু জানিয়েছেন, ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলীদের ঘন ঘন বদলি এবং একজন দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীর কারণে তারা ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না। উপরন্তু প্রকল্পের অর্থ স্বল্পতার কারণে নিজ অর্থ ব্যয়ে আগামী এক মাসের মধ্যেই ভবনটি হস্তান্তর করা হবে।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ জানান, ২০১৬ সালের ১৯শে জুন এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের ব্যায় ছিল ৩৭ কোটি সাড়ে ২৩ লাখ টাকা। ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ভবন হস্তান্তরের কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সমস্যার কারণে ৩ বছরেও ভবনটি হস্তান্তর করতে পারেনি। তিনি আরো জানান, সর্বশেষ বৈদ্যুতিক সংযোগ, পাম্প ও লিফটের কাজ শেষ হওয়ার পথে। আগামী ১৭ই এপ্রিল শিশু দিবস উপলক্ষে হাসপাতাল ভবন হস্তান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে। ডা. হারুন জানান, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে প্রতিদিন এক হাজারের বেশি রোগী বহির্বিভাগে দেখা হয়। গতকাল পর্যন্ত একশ’ বেডের বিপরীতে ২৭৬ জন রোগী ভর্তি ছিল। ভবন হস্তান্তর না হওয়ায় প্রশাসনিক অনুমোদন, জনবল নিয়োগ, ২৫০ বেডের খাবার সুবিধা ও ওষুধের বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে হাসপাতালের নির্মাণকাজের মন্থর গতি নিয়ে বিল প্রদানে ঠিকাদার ও তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাঈখের মধ্যে বিরোধের কারণ ছিল অন্যতম। নির্মাণকাজের টেন্ডার এমাউন্ট ছিল ৩৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। কিন্তু নকশা ও ডিজাইন মোতাবেক কাজ করতে গিয়ে ভেরিয়েশন, রিভাইসড এবং ওপি সমন্বয়সহ মোট নির্মাণ মূল্য দাঁড়ায় ৪২ কোটি ৫৬ লাখ টাকায়। কিন্তু ডিপার্টমেন্ট অনুমোদন দেয় ৪০ কোটি। ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম টিপু জানান, তিনি ৪০ কোটি টাকার মধ্যে ৩৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা পেয়েছেন আর পাওনা আছে ৩৩ লাখ টাকা। এখনো অনুমোদিত বিলের ২ কোটি ৮২ লাখ টাকা পাবেন। প্রকল্পের অতিরিক্ত ২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা তিনি খরচ করলেও এখনো সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট তা অনুমোদন করাতে পারেনি। অতিরিক্ত বিলের প্রায় আড়াই কোটি টাকা না পেলেও নিজ জেলার প্রতিষ্ঠান হিসেবে এলাকার মানুষের ভোগান্তির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য যে অবশিষ্ট কাজ বাকি আছে তা দ্রুত সম্পূর্ণ করে তিনি নতুন ভবন হস্তান্তর করে দিবেন বলে জানান তিনি। ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মোত্তালেব জানান, পাম্পের কাজ শেষ হলেই আমরা ঠিকাদারের কাছ থেকে ভবন বুঝে নেবো। সেটা বড়জোর এক মাস লাগতে পারে।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ জানান, ২০১৬ সালের ১৯শে জুন এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের ব্যায় ছিল ৩৭ কোটি সাড়ে ২৩ লাখ টাকা। ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ভবন হস্তান্তরের কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সমস্যার কারণে ৩ বছরেও ভবনটি হস্তান্তর করতে পারেনি। তিনি আরো জানান, সর্বশেষ বৈদ্যুতিক সংযোগ, পাম্প ও লিফটের কাজ শেষ হওয়ার পথে। আগামী ১৭ই এপ্রিল শিশু দিবস উপলক্ষে হাসপাতাল ভবন হস্তান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে। ডা. হারুন জানান, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে প্রতিদিন এক হাজারের বেশি রোগী বহির্বিভাগে দেখা হয়। গতকাল পর্যন্ত একশ’ বেডের বিপরীতে ২৭৬ জন রোগী ভর্তি ছিল। ভবন হস্তান্তর না হওয়ায় প্রশাসনিক অনুমোদন, জনবল নিয়োগ, ২৫০ বেডের খাবার সুবিধা ও ওষুধের বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে হাসপাতালের নির্মাণকাজের মন্থর গতি নিয়ে বিল প্রদানে ঠিকাদার ও তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাঈখের মধ্যে বিরোধের কারণ ছিল অন্যতম। নির্মাণকাজের টেন্ডার এমাউন্ট ছিল ৩৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। কিন্তু নকশা ও ডিজাইন মোতাবেক কাজ করতে গিয়ে ভেরিয়েশন, রিভাইসড এবং ওপি সমন্বয়সহ মোট নির্মাণ মূল্য দাঁড়ায় ৪২ কোটি ৫৬ লাখ টাকায়। কিন্তু ডিপার্টমেন্ট অনুমোদন দেয় ৪০ কোটি। ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম টিপু জানান, তিনি ৪০ কোটি টাকার মধ্যে ৩৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা পেয়েছেন আর পাওনা আছে ৩৩ লাখ টাকা। এখনো অনুমোদিত বিলের ২ কোটি ৮২ লাখ টাকা পাবেন। প্রকল্পের অতিরিক্ত ২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা তিনি খরচ করলেও এখনো সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট তা অনুমোদন করাতে পারেনি। অতিরিক্ত বিলের প্রায় আড়াই কোটি টাকা না পেলেও নিজ জেলার প্রতিষ্ঠান হিসেবে এলাকার মানুষের ভোগান্তির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য যে অবশিষ্ট কাজ বাকি আছে তা দ্রুত সম্পূর্ণ করে তিনি নতুন ভবন হস্তান্তর করে দিবেন বলে জানান তিনি। ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মোত্তালেব জানান, পাম্পের কাজ শেষ হলেই আমরা ঠিকাদারের কাছ থেকে ভবন বুঝে নেবো। সেটা বড়জোর এক মাস লাগতে পারে।