বাংলারজমিন

তিতাসে সেচের অভাবে অনাবাদি সহস্রাধিক একর জমি

মো. জুয়েল রানা, তিতাস (কুমিল্লা) থেকে

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, শনিবার, ১০:১০ পূর্বাহ্ন

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের ৫টি ইরিগেশন প্রজেক্টের সহস্রাধিক একর জমি সেচের অভাবে ও শ্রমিক খরচ বৃদ্ধির কারণে অনাবাদি রয়েছে। প্রতি বছরই বাড়ছে এ অনাবাদির জমির পরিমাণ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মাইঠা নদীতে শুকনা মৌসুমে পানি না থাকায় সেচের প্রকট সংকট দেখা দেয় এবং বড় খাল ও ডাকাতিয়া খালটি প্রভাবশালীদের দখলে ভরাট হয়ে যাওয়ায় মাঠ থেকে ফসল আনতে শ্রমিক খরচ অনেক বেড়ে গেছে। এতে ফসলের দামের চেয়ে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি হওয়ায় কৃষকরা চাষাবাদের প্রতি অনাগ্রহ হয়ে পড়েছেন। কৃষকদের দাবি- মাইঠা নদী খননসহ দুইটি খাল দখল মুক্ত করে খনন করলে কৃষকরা আবারও চাষাবাদ করতে আগ্রহ পাবে এবং শ্রমিক খরচ ও সেচ খরচ অনেকটা সাশ্রয় হবে।
শাহপুর উত্তর পাড়া স্কিম ম্যানেজার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, মাইঠা নদী খননের জন্য বিএটিসি প্রকৌশলী ফয়সাল কিছু দিন আগে পরিদর্শন করে গেছেন। এর আগেও এলজিইডি আগারাঁও প্রকল্প পরিচালক জলিল, প্লানিং অফিসার মিজানুর রহমান ও প্রজেক্ট ডাইরেক্টর বদর উদ্দিন সরেজমিনে কয়েকবার পরিদর্শন করেছেন। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি আরো বলেন, কৃষককে ফসল আবাদিমুখী করতে এই স্কিমের উপর আমি ৩ লাখ টাকা কৃষি লোন নিয়ে বিপাকে পড়েছি। কারণ কৃষকরা চাষাবাদ না করায়  স্কিমটি চালাতে পারছি না এবং ঋণও পরিশোধ করতে পারছি না। বর্তমানে যদি ধান কাটার একটি হারবাল মেশিন ও চাষের জন্য একটি ট্রাক্টর দেয়া হয় তাহলে কৃষকরা অনেকটা আগ্রহ পাবে এবং শ্রমিক খরচ সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি আমিও স্কিমটি চালু করে আমার ঋণটিও পরিশোধ করতে পারবো। তা না হলে তার উত্তোলনকৃত ঋণ মওকুফ করে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুবিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status