বাংলারজমিন
ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
ফেনী প্রতিনিধি
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, শনিবার, ৯:৩৬ অপরাহ্ন
ফেনীর ফুলগাজীতে বিয়ের আশ্বাসে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তৌহিদুল ইসলাম শাওন নামে এক পুলিশ সদস্যকে (কনস্টেবল) গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি রাঙ্গামাটির শালবাগান পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। গতকাল তাকে রাঙ্গামাটি থেকে গ্রেপ্তার করে ফেনীর আদালতে হাজির করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন জানিয়েছেন।
ওসি জানান, গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নালিশি মামলা করেন। এ ঘটনায় আদালতের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার ফুলগাজী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। মামলার এজাহার নামীয় চার আসামি হলেন- পুলিশ সদস্য ফুলগাজী উপজেলার তৌহিদুল ইসলাম শাওন, তার বাবা আমিনুল ইসলাম, মা শানু ও মামা ফিরোজ আহম্মদ বাবু। মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রী ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসানের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে জানায়, সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত রয়েছে। বর্তমানে তার বয়স ১৫ বছর ৪ মাস। পুলিশ সদস্য তৌহিদুল ইসলাম শাওনের মামার বাড়ি এবং ওই কিশোরীর বাবার বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় তাদের মধ্যে পরিচয় ছিল। তৌহিদুল বেড়ানোর কথা বলে কিশোরীকে ফেনী শহরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ধারণ করে রাখেন। পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে পরে আরো কয়েকবার কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে ধর্ষণের কারণে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গত ১১ই ফেব্রুয়ারি কিশোরী ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়। পরবর্তীতে নবজাতককে গোপনে অন্যত্র দত্তক দিতে চাপ প্রয়োগ করে। তৌহিদুলের মামা ফিরোজ আহম্মদ চাপে ফেলে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে নবজাতক মেয়েকে দত্তক দিয়েছেন। একইসঙ্গে কিশোরীর পরিবারকে গ্রামে ‘একঘরে’ করে রাখার পরিকল্পনা করেন তৌহিদুল। বর্তমানে কিশোরীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ করে জবানবন্দিতে। ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন আরো জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতের নির্দেশে প্রধান আসামি তৌহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিদেরও গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
ওসি জানান, গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নালিশি মামলা করেন। এ ঘটনায় আদালতের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার ফুলগাজী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। মামলার এজাহার নামীয় চার আসামি হলেন- পুলিশ সদস্য ফুলগাজী উপজেলার তৌহিদুল ইসলাম শাওন, তার বাবা আমিনুল ইসলাম, মা শানু ও মামা ফিরোজ আহম্মদ বাবু। মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রী ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসানের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে জানায়, সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত রয়েছে। বর্তমানে তার বয়স ১৫ বছর ৪ মাস। পুলিশ সদস্য তৌহিদুল ইসলাম শাওনের মামার বাড়ি এবং ওই কিশোরীর বাবার বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় তাদের মধ্যে পরিচয় ছিল। তৌহিদুল বেড়ানোর কথা বলে কিশোরীকে ফেনী শহরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ধারণ করে রাখেন। পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে পরে আরো কয়েকবার কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে ধর্ষণের কারণে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গত ১১ই ফেব্রুয়ারি কিশোরী ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়। পরবর্তীতে নবজাতককে গোপনে অন্যত্র দত্তক দিতে চাপ প্রয়োগ করে। তৌহিদুলের মামা ফিরোজ আহম্মদ চাপে ফেলে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে নবজাতক মেয়েকে দত্তক দিয়েছেন। একইসঙ্গে কিশোরীর পরিবারকে গ্রামে ‘একঘরে’ করে রাখার পরিকল্পনা করেন তৌহিদুল। বর্তমানে কিশোরীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ করে জবানবন্দিতে। ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন আরো জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতের নির্দেশে প্রধান আসামি তৌহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিদেরও গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।