বাংলারজমিন
রামগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কলেজছাত্রী
রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, শুক্রবার, ৮:৩৪ অপরাহ্ন
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণির কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মহসিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয় মাতব্বরদের চাপে ওই কলেজছাত্রী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের দল্টা গ্রামের তিনই ভূঁইয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল সকালে সরজমিন ঘটনাস্থলে গেলে উপজেলার ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মিঠু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
সূত্র জানায়, গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি ওই কলেজছাত্রীকে নিয়ে কুমিল্লার বড়ুরায় একটা ভাড়া বাসা নিয়ে ৪ রাত যাপন করেন মহসিন। একপর্যায়ে কলেজছাত্রী বিয়ের কথা বললে মহসিন গোপনে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে লোকলজ্জার ভয়ে ওই ছাত্রী কুমিল্লা থেকে রামগঞ্জে খালার বাড়িতে আশ্রয় নেন। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মিঠুকে জানিয়েছেন কলেজছাত্রী। বিষয়টি জানাজানি হলে উল্টো ছাত্রলীগ নেতা মহসিনের পিতা আবদুল কাদের মেয়ের পরিবারের বিরুদ্ধে ১৭ই ফেব্রুয়ারি রামগঞ্জ থানায় একটি মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের চাপে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। ছাত্রলীগ নেতা মহসিনের পরিবারের লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় সালিশির মাধ্যমে ঘটনাটি মীমাংসার জন্য তিনশত টাকার স্ট্যাম্পে বোঝাপড়াও হয়েছে। অভিযুক্ত মহসিনের পিতা আবদুল কাদের বলেন, এটা আমাদের পারিবারিক ইন্টারনাল বিষয়। আমরা বাড়ির লোকজন ওই ছাত্রীর ভবিষ্যতে বিয়ের বিষয়ে যাবতীয় খরচপাতি বহন করার মর্মে সালিশির মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর পিতা আবুল কালাম জানায়, সালিশদের তিনশ’ টাকার স্ট্যাম্প হাতে না পাওয়া পর্যন্ত আমি এ বিষয়ে কথা বলতে চাই না, আমার মেয়ে কোথায় আছে তা জানি না সালিশদাররা বলতে পারবে। সালিশি সিন্ডিকেটের প্রধান হোতা রাশেদ খলিফা বলেন, কলেজছাত্রীর পিতার সঙ্গে অভিযুক্ত মহসিনের পরিবারের টাকা লেনদেনের বিষয়ে বিরোধ রয়েছে। আমরা সালিশে বসে তা সমাধান করে দিয়েছি। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কামরুল হাসান ফয়সাল বলেন, কারো ব্যক্তিগত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায়ভার ছাত্রলীগ নিবে না। রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ঘটনাটি যেহেতু কুমিল্লায় হয়েছে সেহেতু মেয়েটির সেখানে গিয়ে মামলা করা উচিত।
সূত্র জানায়, গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি ওই কলেজছাত্রীকে নিয়ে কুমিল্লার বড়ুরায় একটা ভাড়া বাসা নিয়ে ৪ রাত যাপন করেন মহসিন। একপর্যায়ে কলেজছাত্রী বিয়ের কথা বললে মহসিন গোপনে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে লোকলজ্জার ভয়ে ওই ছাত্রী কুমিল্লা থেকে রামগঞ্জে খালার বাড়িতে আশ্রয় নেন। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মিঠুকে জানিয়েছেন কলেজছাত্রী। বিষয়টি জানাজানি হলে উল্টো ছাত্রলীগ নেতা মহসিনের পিতা আবদুল কাদের মেয়ের পরিবারের বিরুদ্ধে ১৭ই ফেব্রুয়ারি রামগঞ্জ থানায় একটি মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের চাপে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। ছাত্রলীগ নেতা মহসিনের পরিবারের লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় সালিশির মাধ্যমে ঘটনাটি মীমাংসার জন্য তিনশত টাকার স্ট্যাম্পে বোঝাপড়াও হয়েছে। অভিযুক্ত মহসিনের পিতা আবদুল কাদের বলেন, এটা আমাদের পারিবারিক ইন্টারনাল বিষয়। আমরা বাড়ির লোকজন ওই ছাত্রীর ভবিষ্যতে বিয়ের বিষয়ে যাবতীয় খরচপাতি বহন করার মর্মে সালিশির মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর পিতা আবুল কালাম জানায়, সালিশদের তিনশ’ টাকার স্ট্যাম্প হাতে না পাওয়া পর্যন্ত আমি এ বিষয়ে কথা বলতে চাই না, আমার মেয়ে কোথায় আছে তা জানি না সালিশদাররা বলতে পারবে। সালিশি সিন্ডিকেটের প্রধান হোতা রাশেদ খলিফা বলেন, কলেজছাত্রীর পিতার সঙ্গে অভিযুক্ত মহসিনের পরিবারের টাকা লেনদেনের বিষয়ে বিরোধ রয়েছে। আমরা সালিশে বসে তা সমাধান করে দিয়েছি। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কামরুল হাসান ফয়সাল বলেন, কারো ব্যক্তিগত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায়ভার ছাত্রলীগ নিবে না। রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ঘটনাটি যেহেতু কুমিল্লায় হয়েছে সেহেতু মেয়েটির সেখানে গিয়ে মামলা করা উচিত।