বাংলারজমিন
পরিবার নিয়ে শাহানা থাকবে কোথায়?
শেখ আমির হামজা, আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, বুধবার, ৮:৪২ অপরাহ্ন
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে শাহানা ও তার সন্তানদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। এতদিন অন্যের জায়গায় একটি ছাপড়া ঘর তৈরি করে বসবাস করছিলেন। এখন সেটিও উচ্ছেদের অপেক্ষায়।
সরজমিন দেখা যায়, উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মনু মিয়ার স্ত্রী শাহানা আক্তার (মিলন) তার ৪ ছেলে সন্তান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার একজন সাব ইন্সপেক্টরের পরিত্যক্ত জায়গায় ছাপড়া ঘর তৈরি করে বসবাস করে আসছেন। এরইমধ্যে জায়গার মালিক নতুন ঘর বানানোর কাজে হাত দেন। শাহানার পরিবারকে অন্যত্র চলে যেতে বলা হয়। এতে সমস্যায় পড়েছে পরিবারটি।
মানবজমিনকে শাহানা বলেন, আমার ছোট ৪ সন্তান ও শাশুড়ি নিয়ে অতিকষ্টে মাটি কাটার কাজ করে জীবনযাপন করছি। স্বামী কিছুদিন আগে আরেকটা মেয়েকে বিয়ে করে বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। আমাদের কোনো জায়গা জমি নেই, পরের জায়গায় ছাপড়া ঘর করে বসবাস করে আসছি। এখন ওই জায়গা থেকে চলে যেতে হবে। কোথায় আমার সন্তানদের নিয়ে থাকবো ভেবে পাচ্ছি না। তিনি বলেন, ‘একটি সরকারি ঘর পাওয়ার জন্য কতজনকে পায়ে পর্যন্ত ধরছি, কেউ আমার নামটা দিছে না। আমি চেয়ারম্যান-মেম্বার ও উপজেলার স্যারের কাছে গেছি, কিন্তু কেউ ঘর দেয়নি। যাদের জায়গা-জমি, ঘরবাড়ি আছে তারা আবার শেখ হাসিনার ঘর পাইছে। আমার একটা ঘরের প্রয়োজন আপনারা ব্যবস্থা করে দেন। শাহানা বলেন, আমি ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে রাতে কোথায় থাকবো আল্লাহ-ই জানে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মতিউর রহমান খান জানান, আমি শুনেছি ওই পরিবারের কোনো জায়গা ও ঘর নেই, তারপর আমি গতকাল গিয়ে তাদের দেখে আসছি, পুনর্বাসন করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরজমিন দেখা যায়, উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মনু মিয়ার স্ত্রী শাহানা আক্তার (মিলন) তার ৪ ছেলে সন্তান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার একজন সাব ইন্সপেক্টরের পরিত্যক্ত জায়গায় ছাপড়া ঘর তৈরি করে বসবাস করে আসছেন। এরইমধ্যে জায়গার মালিক নতুন ঘর বানানোর কাজে হাত দেন। শাহানার পরিবারকে অন্যত্র চলে যেতে বলা হয়। এতে সমস্যায় পড়েছে পরিবারটি।
মানবজমিনকে শাহানা বলেন, আমার ছোট ৪ সন্তান ও শাশুড়ি নিয়ে অতিকষ্টে মাটি কাটার কাজ করে জীবনযাপন করছি। স্বামী কিছুদিন আগে আরেকটা মেয়েকে বিয়ে করে বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। আমাদের কোনো জায়গা জমি নেই, পরের জায়গায় ছাপড়া ঘর করে বসবাস করে আসছি। এখন ওই জায়গা থেকে চলে যেতে হবে। কোথায় আমার সন্তানদের নিয়ে থাকবো ভেবে পাচ্ছি না। তিনি বলেন, ‘একটি সরকারি ঘর পাওয়ার জন্য কতজনকে পায়ে পর্যন্ত ধরছি, কেউ আমার নামটা দিছে না। আমি চেয়ারম্যান-মেম্বার ও উপজেলার স্যারের কাছে গেছি, কিন্তু কেউ ঘর দেয়নি। যাদের জায়গা-জমি, ঘরবাড়ি আছে তারা আবার শেখ হাসিনার ঘর পাইছে। আমার একটা ঘরের প্রয়োজন আপনারা ব্যবস্থা করে দেন। শাহানা বলেন, আমি ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে রাতে কোথায় থাকবো আল্লাহ-ই জানে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মতিউর রহমান খান জানান, আমি শুনেছি ওই পরিবারের কোনো জায়গা ও ঘর নেই, তারপর আমি গতকাল গিয়ে তাদের দেখে আসছি, পুনর্বাসন করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।