অনলাইন

বাস রুট রেশনালাইজেশন

চলতি বছরের মধ্যে পাইলটিং শেষ করতে চাচ্ছে ডিএসসিসি

স্টাফ রিপোর্টার

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার, ৫:৩৩ অপরাহ্ন

বাস রুট রেশনালাইজেশনের প্রস্তাবিত ঘাটারচর হতে কাঁচপুর পর্যন্ত বাস রুটের প্রথম পাইলটিং চলতি বছরের মধ্যে শেষ করতে চাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরানো এবং যানজট নিরসনে গঠিত বাস রুট রেশনালাইজেশন বিষয়ক কমিটির ১৬তম সভা শেষে এ তথ্য জানান মেয়র ও বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

তাপস বলেন, এ বছরের মধ্যেই পাইলটিংটা শেষ করতে পারব। এই পাইলটিংটা শেষ করার মাধ্যমে প্রথম ধাপটা এগিয়ে গেলেই বাকী রুটগুলো আমরা এই রুটের সাথে সন্নিবেশ করতে পারব বলে আশাবাদী। আমরা সঠিক পথেই রয়েছি। যাত্রাপথ আমাদের মসৃণ না। যাত্রাপথ অনেক সংকীর্ণ, অনেক সমস্যা রয়েছে। তবে আমরা ধীরে ধীরে আমাদের যাত্রা পথে এগিয়ে চলেছি।

তিনি বলেন, ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত পাইলটের বাস ভাড়া নির্ধারণের বিষয়টি বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) ওপর অর্পিত ছিল। তারা সেটা সম্পন্ন করেছে। বিআরটিএ এরই মাঝে প্রস্তাবিত রুটের ভাড়া নির্ধারণ কার্যক্রম সম্পন্ন করে তা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছে। প্রতি কিলোমিটার ২টাকা ২০ পয়সা হারে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন এতে মন্ত্রণালয়ের সম্মতি লাগবে, অনুমোদন লাগবে। আশা করছি, যেহেতু বিআরটিএ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে মন্ত্রণালয়ও এটা নির্ধারণ করে দেবে।

ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর- নতুন এই রুটে ১লাএপ্রিল থেকে বাস চালুর ঘোষণায় কোন পরিবর্তন আসবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, আমরা আশাবাদী, ১লা এপ্রিল থেকে শুরু করতে পারব। বাসগুলো মেরামত করতে হবে। আমরা প্রক্রিয়াগত কাজগুলো আশা করছি সম্পন্ন করতে পারব। এরই মাঝে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সহজ শর্তে এবং সূদে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছি। যেগুলো বাস মালিকদের দেয়া হবে, যাতে তারা এই কার্যক্রম করতে পারে। এরই মাঝে চিঠি দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মৌখিকভাবে সম্মতি দিয়েছেন। সরকার যথাশীঘ্র সম্ভব সেটা করে দেবেন বলে আমরা আশাবাদী।

মেয়র বলেন, বাস মেরামত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হয়তো একটু সময় লাগতে পারে। এটা বাস মালিকদের ওপর এবং বাংলাদেশ ব্যাংক হতে টাকা কত তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়, সেটার ওপর নির্ভর করবে। তবে প্রক্রিয়াগতভাবে আমরা এখনো আশাবাদী যে, এপ্রিল নাগাদ এই বিষয়টা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। তিনি জানান, এই রুটে যেসব জায়গায় বাস-বে হবে, যাত্রী ছাউনি হবে সেই জায়গাগুলো নির্ধারণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। যেসব জায়গায় বাস-বে এর জায়গা নির্ধারণ হয়েছে, আগামী এক মাসের মধ্যেই দরপত্র কার্যক্রম সম্পন্ন করে নির্মাণ কাজ শেষ করার দিকে এগিয়ে যাবো।

তিনি আরো বলেন, যে রুট নির্ধারণ করা হয়েছে সেই রুটের জন্য একটি যৌথ মূলধনী চুক্তি তথা জয়েন্ট ভেনচার এগ্রিম্যান্টের জন্য আগামী সাত দিনের মধ্যে খসড়া প্রণয়ন করা হবে। খসড়া প্রণীত হলে এরপর সংশ্লিষ্ট বাস মালিকদের সাথে বসে কোনো শর্ত সংযোজন-বিয়োজন করতে হয় সে বিষয় পর্যালোচনা করে তা সমন্বয় করা হবে এবং আগামী সভায় তা প্রতিবেদন আকারে পেশ করা হবে। সেটার প্রেক্ষিতে এরপর আমরা ভবিষ্যৎ কার্যক্রম হাতে নেবো। বর্তমানে এই রুটে দুটি প্রতিষ্ঠানের বাস চলছে। সবমিলিয়ে ১৫৫টি বাস এই রুটে চলাচল করছে। আমরা যে যৌথ মূলধনী চুক্তি করব, সেটা এই দুটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের আওতায় এনে এই কার্যক্রম নেব। সভায় ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমানসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
 
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status