বাংলারজমিন

গফরগাঁওয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার, ৮:৪৫ অপরাহ্ন

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার ২৩৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন ইএফটি করতে পৌনে ৩ লাখ টাকা ঘুষ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সালমা আক্তারের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও বিদ্যালয় উন্নয়নের বরাদ্দ থেকে অন্তত ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে ঘুষ নেয়ার বিষয়টির সত্যতাও মিলেছে। এসব বিষয়ে ডিজি অফিসের অভিযোগ বিষয়ক তদন্তের দায়িত্বে থাকা শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার (অর্থ) বলেন, ওনার বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার পর নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেয়া হবে। জানা যায়, দেশের সব পর্যায়ে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করার অংশ হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের বেতনও ডিজিটাল পদ্ধতি করতে ইলেক্টনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) চালু করার নির্দেশ দেয় সরকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশকিছু শিক্ষক এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইএফটি পূরণ বাবদ প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে উৎকোচ নেন। কোনো শিক্ষক দিতে অস্বীকার করলে ওই শিক্ষকের ইএফটি পূরণ বন্ধ করে দেন। ফলে উপজেলার সকল শিক্ষককেই বাধ্য হয়ে ঘুষ দিয়ে ইএফটি পূরণ করেন। তবে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সালমা আক্তার বলেন, ব্যক্তিগত আক্রোশে কতিপয় শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ভুয়া অভিযোগ করছেন। ইএফটি ও বিদ্যালয়ের নাম সংশোধনের জন্য শিক্ষকরা শুধুমাত্র কম্পিউটারের জন্য কালি ও কাগজ কিনে দিয়েছে। এদিকে ২০২০ সালে গফরগাঁওয়ে ২৩৯টি  বিদ্যালয়ে স্লিপ প্রকল্পের আওতায় ৫০ ও ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। একাধিক প্রধান শিক্ষক বলেন, বরাদ্দ পাওয়া সকল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নিকট থেকে ১২ শতাংশ হারে টাকা আদায় করে ৯.৫০ শতাংশ হারে জমা দিয়ে বাকি ৩ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত করেন শিক্ষা কর্মকর্তা। উপজেলার ২৩৯টি বিদ্যালয়ের ২০২০ সালে বিজয় ফুল ও ইন্টারনেট বরাদ্দের ৩১৫০ টাকা থেকে প্রধান শিক্ষকদের ২০০০ টাকা করে নিতে বাধ্য করেন। এখান থেকেও তিনি দুই লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ২০১৯-২০ অর্থবছরের আন্তঃপ্রাথমিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বরাদ্দের পুরো টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তাছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আসা বরাদ্দ ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ আদায় করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষক বলেন, ঘুষ না দিলে তিনি চেক দেন না। এ নিয়ে কথা বললে পরবর্তী সময়ে শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানি করেন শিক্ষা কর্মকর্তা। এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল হক বলেন, তদন্ত চলছে, অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status