অনলাইন
তুরস্কে বাংলাদেশি কমিউনিটির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন
হাফিজ মুহাম্মদ, আনকারা তুরস্ক থেকে
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, সোমবার, ৩:২১ অপরাহ্ন
তুরস্ক বাংলাদেশি কমিউনিটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও ভাষা শহীদ দিবস। এ উপলক্ষে তারা এক সৃজনশীল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। কমিউনিটির শিশু-কিশোর ও শিক্ষার্থীদের মাঝে মাতৃভাষা দিবস ও ভাষা শহীদদের পরিচয় করিয়ে দিতে কবিতা আবৃত্তি, দেশের গান, চিত্রাঙ্কন, নাটিকা ও লেখালেখির আয়োজন করা হয়।
অন্যদিকে ২১শে ফেব্রুয়ারি রাতে তুরস্কে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সংগঠন 'বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন তার্কি (বিসিটি)' এর এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ ও বাংলা ভাষার মর্যাদা তুলে ধরে বলেন, আমাদের মাতৃভাষা বাংলা খুব সহজে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মাত্র কয়েকটি জাতি তাদের ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে। তারমধ্যে বাঙালি অন্যতম। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের উদ্দীপনাই ধীরে ধীরে স্বাধীনতা আন্দোলন বেগবান করে। তিনি তুরস্কে বসবাসরত বাংলাদেশি পরিবারগুলোকে তাদের সন্তানদের মাতৃভাষাকে সুন্দরভাবে শিখানোর জন্য আহ্বান জানান। এছাড়া বিদেশে নতুন প্রজন্ম ও বিদেশিদের কাছে বাংলা ভাষাকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে কোর্স চালু করারও পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানটি জাতীয় সংগীত পরিবেশেনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে দেশাত্ববোধক গান, কবিতা আবৃত্তির পাশাপাশি শিশুদের আকাঁ ছবি নিয়ে একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন, গল্প ও কবিতা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান।
ইস্তানবুল গেলিশিম ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. শাহেন শাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আনকারা ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. মঈনুল আহসান, তার্কি টেলিভিশন-রেডিও (টিআরটির) সহকারী বার্তা সম্পাদক ওয়ালিদ বিন সিরাজ, তোকাত গাজী উসমান পাশা বিশ্বাবদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমান, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি স্টাডিজের চেয়ারম্যান ড. রহমত উল্লাহ রফিকসহ তুরস্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষক ও পেশাজীবী ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সকালে আনকারার বাংলাদেশ দূতাবাসে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান ও দূতবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা। যেখানে রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলোচনায় অংশগ্রহণ করে মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।
‘বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন তার্কি (বিসিটি)’ ২১শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রতিযোগিতা ২০২১’-এর আয়োজন করে। প্রতিযোগিতায় অংগ্রহণকারী ৪৩ জনের মধ্যে চারটি ক্যাটাগরীতে ১৪ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ছোটদের দুই ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পায় সাওদা শাহ, সালমান তাওশীফ, আব্দুল্লাহ জাওয়াদ এবং নাজমুল আলম, মো. ইলিয়াসুর রহমান মোল্লা, শাহিদা লিমা আক্তার ও জাওয়াদ আশফাক নাভিদ।
বড়দের দুই ক্যাটাগরীতে ৭ জনকে পুরষ্কৃত করা হয়। তারা হলেন মো. শহীদুল ইসলাম, জামিলা ইয়াসমিন, তামান্না ইসলাম তাইয়েবা, এহতেশামুল হক এবং মশিউর রহমান, মিনহাজুল আবেদীন ও মু. সাইফুল ইসলাম। উল্লেখ্য, এর আগে বিজয় দিবস-২০২০ উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন তার্কির (বিসিটি)’ প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
অন্যদিকে ২১শে ফেব্রুয়ারি রাতে তুরস্কে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সংগঠন 'বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন তার্কি (বিসিটি)' এর এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ ও বাংলা ভাষার মর্যাদা তুলে ধরে বলেন, আমাদের মাতৃভাষা বাংলা খুব সহজে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মাত্র কয়েকটি জাতি তাদের ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে। তারমধ্যে বাঙালি অন্যতম। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের উদ্দীপনাই ধীরে ধীরে স্বাধীনতা আন্দোলন বেগবান করে। তিনি তুরস্কে বসবাসরত বাংলাদেশি পরিবারগুলোকে তাদের সন্তানদের মাতৃভাষাকে সুন্দরভাবে শিখানোর জন্য আহ্বান জানান। এছাড়া বিদেশে নতুন প্রজন্ম ও বিদেশিদের কাছে বাংলা ভাষাকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে কোর্স চালু করারও পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানটি জাতীয় সংগীত পরিবেশেনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে দেশাত্ববোধক গান, কবিতা আবৃত্তির পাশাপাশি শিশুদের আকাঁ ছবি নিয়ে একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন, গল্প ও কবিতা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান।
ইস্তানবুল গেলিশিম ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. শাহেন শাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আনকারা ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. মঈনুল আহসান, তার্কি টেলিভিশন-রেডিও (টিআরটির) সহকারী বার্তা সম্পাদক ওয়ালিদ বিন সিরাজ, তোকাত গাজী উসমান পাশা বিশ্বাবদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমান, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি স্টাডিজের চেয়ারম্যান ড. রহমত উল্লাহ রফিকসহ তুরস্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষক ও পেশাজীবী ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সকালে আনকারার বাংলাদেশ দূতাবাসে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান ও দূতবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা। যেখানে রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলোচনায় অংশগ্রহণ করে মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।
‘বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন তার্কি (বিসিটি)’ ২১শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রতিযোগিতা ২০২১’-এর আয়োজন করে। প্রতিযোগিতায় অংগ্রহণকারী ৪৩ জনের মধ্যে চারটি ক্যাটাগরীতে ১৪ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ছোটদের দুই ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পায় সাওদা শাহ, সালমান তাওশীফ, আব্দুল্লাহ জাওয়াদ এবং নাজমুল আলম, মো. ইলিয়াসুর রহমান মোল্লা, শাহিদা লিমা আক্তার ও জাওয়াদ আশফাক নাভিদ।
বড়দের দুই ক্যাটাগরীতে ৭ জনকে পুরষ্কৃত করা হয়। তারা হলেন মো. শহীদুল ইসলাম, জামিলা ইয়াসমিন, তামান্না ইসলাম তাইয়েবা, এহতেশামুল হক এবং মশিউর রহমান, মিনহাজুল আবেদীন ও মু. সাইফুল ইসলাম। উল্লেখ্য, এর আগে বিজয় দিবস-২০২০ উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন তার্কির (বিসিটি)’ প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।