বিশ্বজমিন
মঙ্গলে নাসার রোবটযান অবতরণের কেন্দ্রে ছিলেন যে নারী
মানবজমিন ডেস্ক
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, সোমবার, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন
সম্প্রতি মঙ্গল গ্রহে সফলভাবে অবতরণ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রোবটযান পারসিভিয়ারেন্স রোভার। গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজবে রোভারটি। রোভারটিকে সেখানে অবতরনের ঐতিহাসিক মুহূর্তটি সবার প্রথমে ঘোষণা দিয়ে জানান ভারতীয়-মার্কিনি স্বাতী মোহন। ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরির মিশন নিয়ন্ত্রকক্ষ থেকে করতালির সঙ্গে তিনি ঘোষণা দেন— ‘টাচডাউন কনফার্মড’। পারসিভিয়ারেন্স নিরাপদভাবে মঙ্গলের পৃষ্ঠে অবতরণ করেছে; অতীত প্রাণের অস্তিত্ব খোঁজা শুরু করতে প্রস্তুত।
সিএনএন-এর খবরে বলা হয়, আপনারা হয়তো তাকে নিয়ন্ত্রণকক্ষের একেবারে শুরুতে বসে থাকতে দিয়েছেন। কপালে টিপ পরে মিশন ভাষ্যকার হিসেবে টিমের কাছে প্রতি মুহূর্তের আপডেট জানান তিনি। কিন্তু আদতে, গত কয়েক বছর ধরেই এই মিশনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন মোহন।
মোহন যুক্তরাষ্ট্রে যান এক বছর বয়সে। পারসিভিয়ারেন্স রোভারের গাইডেন্স, নেভিগেশন ও কন্ট্রোলস (জিএনএন্ডসি) অপারেশন্সের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। কাজ করেছেন নাসা'র ইতিহাসের সবচেয়ে পরিশীলিত মহাকাশযানের চোখ-কান হিসেবে।
‘স্টার ট্রেক’ থেকে শুরু
মহাকাশের প্রতি মোহনের আগ্রহ জন্মায় ৯ বছর বয়সে, টিভিতে সম্প্রচারিত ‘স্টার ট্রেক’-এর একটি পর্ব দেখে।
নাসার ওয়েবসাইটে এক প্রশ্নোত্তরে তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমার মনে পড়ে আমি ভেবেছিলাম, আমি এটাই করতে চাই। আমি বিশ্বের নতুন ও সুন্দর জায়গাগুলো খুঁজে বের করতে চাই। মহাকাশের বিশালতার মাঝে প্রচুর বিষয় রয়েছে যা আমরা কেবল শিখতে শুরু করেছি।
তা সত্ত্বেও তিনি ভেবেছিলেন বড় হয়ে পেডিয়াট্রিসিয়ান হবেন। তবে ১৬ বছর বয়সে পদার্থবিদ্যার একটি ক্লাসের পর প্রকৌশলবিদ্যা নিয়ে পড়া শুরুর কথা ভাবেন। কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে মেকানিক্যাল এয়রোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউটস অব টেকনোলজি থেকে অ্যারোনটিক্স (বিমানচালনাবিদ্যা) ও অ্যাস্ট্রোনটিক্স (নভশ্চরণবিদ্যা) নিয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এক পর্যায়ে যোগ দেন নাসায়।
পারসিভিয়ারেন্স রোভার নিয়ে কাজের আগে আরো বেশকিছু মহাকাশ অভিযানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন মোহন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে শনি গ্রহে অসংখ্য আবিষ্কার করা মহাকাশযান ক্যাসিনি নিয়ে কাজ করা এবং চাঁদের চারপাশে জোড়া মহাকাশযান পাঠানোতেও ভূমিকা রাখেন তিনি।
মঙ্গলগ্রহে পারসিভিয়ারেন্স রোভার পাঠানোর অভিযান নিয়ে ২০১৩ সাল থেকে কাজ করা শুরু করেন মোহন। এক পর্যায়ে এর জিএনএন্ডসি অভিযানের প্রধান প্রকৌশলবিদ হয়ে উঠেন। অভিযানটির নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার নেতৃত্বে থেকে মহাকাশযানটি কোন দিকে যাবে তা নিশ্চিত করেন তিনি।
নাসার এক প্রশ্নোত্তর পর্বে মোহন বলেন, মঙ্গল গ্রহের দিকে মহাকাশযাত্রার সময়, আমাদের কাজ হচ্ছে আমরা কোন অবস্থানে আছি তা নির্ধারণ করা, মহাকাশযানটি সঠিক দিকে আছে কিনা তা নিশ্চিত করা ও সেটিকে যেদিকে যেতে চাই সেদিকে পরিচালনা করা। মঙ্গল গ্রহে প্রবেশ, অবরোহণ ও অবতরণের সময় জিএনএন্ডসি মহাকাশযানের অবস্থান নির্ধারণ করে এবং সেটিকে নিরাপদে অবতরণ করার জন্য পরিচালনা করে।
গত বৃহস্পতিবার নাসার নিয়ন্ত্রণকক্ষে ও বিশ্বজুড়ে দুজন ব্যক্তির আওয়াজ শোনা যায়, যাদের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি। বিশ্বকে জানিয়েছেন, ভিন্ন কোনো গ্রহে প্রাণের সন্ধান করা বিষয়ক নাসার প্রথম অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ সফলতার খবর।
সিএনএন-এর খবরে বলা হয়, আপনারা হয়তো তাকে নিয়ন্ত্রণকক্ষের একেবারে শুরুতে বসে থাকতে দিয়েছেন। কপালে টিপ পরে মিশন ভাষ্যকার হিসেবে টিমের কাছে প্রতি মুহূর্তের আপডেট জানান তিনি। কিন্তু আদতে, গত কয়েক বছর ধরেই এই মিশনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন মোহন।
মোহন যুক্তরাষ্ট্রে যান এক বছর বয়সে। পারসিভিয়ারেন্স রোভারের গাইডেন্স, নেভিগেশন ও কন্ট্রোলস (জিএনএন্ডসি) অপারেশন্সের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। কাজ করেছেন নাসা'র ইতিহাসের সবচেয়ে পরিশীলিত মহাকাশযানের চোখ-কান হিসেবে।
‘স্টার ট্রেক’ থেকে শুরু
মহাকাশের প্রতি মোহনের আগ্রহ জন্মায় ৯ বছর বয়সে, টিভিতে সম্প্রচারিত ‘স্টার ট্রেক’-এর একটি পর্ব দেখে।
নাসার ওয়েবসাইটে এক প্রশ্নোত্তরে তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমার মনে পড়ে আমি ভেবেছিলাম, আমি এটাই করতে চাই। আমি বিশ্বের নতুন ও সুন্দর জায়গাগুলো খুঁজে বের করতে চাই। মহাকাশের বিশালতার মাঝে প্রচুর বিষয় রয়েছে যা আমরা কেবল শিখতে শুরু করেছি।
তা সত্ত্বেও তিনি ভেবেছিলেন বড় হয়ে পেডিয়াট্রিসিয়ান হবেন। তবে ১৬ বছর বয়সে পদার্থবিদ্যার একটি ক্লাসের পর প্রকৌশলবিদ্যা নিয়ে পড়া শুরুর কথা ভাবেন। কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে মেকানিক্যাল এয়রোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউটস অব টেকনোলজি থেকে অ্যারোনটিক্স (বিমানচালনাবিদ্যা) ও অ্যাস্ট্রোনটিক্স (নভশ্চরণবিদ্যা) নিয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এক পর্যায়ে যোগ দেন নাসায়।
পারসিভিয়ারেন্স রোভার নিয়ে কাজের আগে আরো বেশকিছু মহাকাশ অভিযানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন মোহন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে শনি গ্রহে অসংখ্য আবিষ্কার করা মহাকাশযান ক্যাসিনি নিয়ে কাজ করা এবং চাঁদের চারপাশে জোড়া মহাকাশযান পাঠানোতেও ভূমিকা রাখেন তিনি।
মঙ্গলগ্রহে পারসিভিয়ারেন্স রোভার পাঠানোর অভিযান নিয়ে ২০১৩ সাল থেকে কাজ করা শুরু করেন মোহন। এক পর্যায়ে এর জিএনএন্ডসি অভিযানের প্রধান প্রকৌশলবিদ হয়ে উঠেন। অভিযানটির নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার নেতৃত্বে থেকে মহাকাশযানটি কোন দিকে যাবে তা নিশ্চিত করেন তিনি।
নাসার এক প্রশ্নোত্তর পর্বে মোহন বলেন, মঙ্গল গ্রহের দিকে মহাকাশযাত্রার সময়, আমাদের কাজ হচ্ছে আমরা কোন অবস্থানে আছি তা নির্ধারণ করা, মহাকাশযানটি সঠিক দিকে আছে কিনা তা নিশ্চিত করা ও সেটিকে যেদিকে যেতে চাই সেদিকে পরিচালনা করা। মঙ্গল গ্রহে প্রবেশ, অবরোহণ ও অবতরণের সময় জিএনএন্ডসি মহাকাশযানের অবস্থান নির্ধারণ করে এবং সেটিকে নিরাপদে অবতরণ করার জন্য পরিচালনা করে।
গত বৃহস্পতিবার নাসার নিয়ন্ত্রণকক্ষে ও বিশ্বজুড়ে দুজন ব্যক্তির আওয়াজ শোনা যায়, যাদের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি। বিশ্বকে জানিয়েছেন, ভিন্ন কোনো গ্রহে প্রাণের সন্ধান করা বিষয়ক নাসার প্রথম অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ সফলতার খবর।