প্রথম পাতা
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন
শাফকাত মুনীরের প্রশ্ন আমলে নিলেন জন কেরি
কূটনৈতিক রিপোর্টার
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, রবিবার, ৯:৩৩ অপরাহ্ন
নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বিশ্ব নেতাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত মারাত্মক ঝুঁকির বিষয়টি তুলে ধরলেন তরুণ গবেষক শাফকাত মুনীর। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বৈশ্বিক জলবায়ু বিষয়ক দূত সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বাংলাদেশি প্রতিনিধির উত্থাপিত প্রশ্ন এবং উদ্বেগের বিষয়টি আমলে নিয়ে বৈশ্বিক নিরাপত্তায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি রোধে জাতি-রাষ্ট্রগুলোর সমন্বিত পদক্ষেপ কামনা করেন। এ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করে জন কেরি বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার ঝুঁকি কেবল দেশ বা জাতি-রাষ্ট্র ভেদে নয়, এটি গোটা অঞ্চল তথা বিশ্বকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলছে। যা এখনই রোধ করতে হবে।
করোনার কারণে এবার ভার্চ্যুয়ালি হয়েছে বৈশ্বিক ফোরাম দ্য মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স-২০২১। এতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং দেশটির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি ছাড়াও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট, জার্মান চ্যান্সেলর, ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, জাতিসংঘ মহাসচিব, ন্যাটোর মহাসচিব এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক প্রমুখ অংশ নেন। সম্মেলনের এবারের গুরুত্বপূর্ণ সেশন ছিল দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যুক্ত হওয়া তরুণ স্কলার এবং গবেষকদের কথা শোনা এবং তাদের জিজ্ঞাসার জবাব প্রদান। সেই সেশনে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন জনিত মারাত্মক ঝুঁকির বিষয়টি তুলে ধরেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিপ্স) এর রিচার্স ফেলো এবং হেড অব বাংলাদেশ সেন্টার ফর টেরোরিজম (বিসিটিআর) গবেষক শাফকাত মুনীর। তিনি বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন জনিত নিরাপত্তা ঝুঁকির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার ফলে অস্তিত্বের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১ মিটার (৩৯.৩৭ ইঞ্চি) বাড়লে বাংলাদেশের ১৭-২০ শতাংশ স্থলভূমি পানিতে তলিয়ে যেতে পারে এমন গবেষণার রেফারেন্স তুলে ধরে তিনি বলেন, এর ফলে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ থেকে ৩ কোটি মানুষ জলবায়ু-উদ্বাস্তুতে পরিণত হতে পারে।
শাফকাত মুনীরের জিজ্ঞাসার জবাব মার্কিন প্রেসিডেন্টশিয়াল এনভয় জন কেরি উত্থাপিত উদ্বেগের সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং এ নিয়ে বাংলাদেশের অর্থ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার আগের আলোচনার বিষয়টি স্মরণ করেন। তিনি আগামী ২২শে এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্রে জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান। ওই সম্মেলনে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা তাদের উদ্বেগের কথা সরাসরি মার্কিন নেতৃত্বের নোটে নিতে পারবেন। ওয়াশিংটন সম্মেলনকে জলবায়ু ইস্যুতে মার্কিন নেতৃত্বের অঙ্গীকারের প্রতিফলন বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শাফকাত মুনীর এবং তার প্রতিষ্ঠান বিশেষত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিআইপিএসএস) বাংলাদেশের জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ক নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি বিশ্ববাসীর নজরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বিআইপিএসএস’র প্রেসিডেন্ট আ ন ম মুনীরুজ্জামান জাতিসংঘসহ বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি রোধে এডভোকেসি করছেন। বিশেষত ক্রমাগত সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার ফলে যে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে তা তুলে ধরছেন। তিনি বিশ্ব সমপ্রদায়কে এটা বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে মানুষের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। আধুনিক জীবনযাত্রা অনুসারে চলতে গিয়ে মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা রাখছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে সারা বিশ্বের নিম্নাঞ্চলের দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
উল্লেখ্য যে, এই সম্মেলনের প্রধান ফিচারগুলোর একটি হচ্ছে, এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি সমপর্কিত প্রশ্নের জন্য মিউনিখ ইয়াং লিডারদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়। শাফকাত মুনীর বাংলাদেশ থেকে যাওয়া প্রথম মিউনিখ ইয়াং লিডার। এটি হচ্ছে বিশ্বজুড়ে থাকা উদীয়মান চিন্তার নেতৃত্ব প্রদানকারী, নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং পণ্ডিতদের একটি অনন্য সংঘ। শাফকাত মুনীর ২০১৭ সালের মিউনিখ ইয়াং লিডার্স ক্লাসের সদস্য ছিলেন।
করোনার কারণে এবার ভার্চ্যুয়ালি হয়েছে বৈশ্বিক ফোরাম দ্য মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স-২০২১। এতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং দেশটির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি ছাড়াও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট, জার্মান চ্যান্সেলর, ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, জাতিসংঘ মহাসচিব, ন্যাটোর মহাসচিব এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক প্রমুখ অংশ নেন। সম্মেলনের এবারের গুরুত্বপূর্ণ সেশন ছিল দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যুক্ত হওয়া তরুণ স্কলার এবং গবেষকদের কথা শোনা এবং তাদের জিজ্ঞাসার জবাব প্রদান। সেই সেশনে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন জনিত মারাত্মক ঝুঁকির বিষয়টি তুলে ধরেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিপ্স) এর রিচার্স ফেলো এবং হেড অব বাংলাদেশ সেন্টার ফর টেরোরিজম (বিসিটিআর) গবেষক শাফকাত মুনীর। তিনি বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন জনিত নিরাপত্তা ঝুঁকির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার ফলে অস্তিত্বের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১ মিটার (৩৯.৩৭ ইঞ্চি) বাড়লে বাংলাদেশের ১৭-২০ শতাংশ স্থলভূমি পানিতে তলিয়ে যেতে পারে এমন গবেষণার রেফারেন্স তুলে ধরে তিনি বলেন, এর ফলে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ থেকে ৩ কোটি মানুষ জলবায়ু-উদ্বাস্তুতে পরিণত হতে পারে।
শাফকাত মুনীরের জিজ্ঞাসার জবাব মার্কিন প্রেসিডেন্টশিয়াল এনভয় জন কেরি উত্থাপিত উদ্বেগের সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং এ নিয়ে বাংলাদেশের অর্থ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার আগের আলোচনার বিষয়টি স্মরণ করেন। তিনি আগামী ২২শে এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্রে জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান। ওই সম্মেলনে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা তাদের উদ্বেগের কথা সরাসরি মার্কিন নেতৃত্বের নোটে নিতে পারবেন। ওয়াশিংটন সম্মেলনকে জলবায়ু ইস্যুতে মার্কিন নেতৃত্বের অঙ্গীকারের প্রতিফলন বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শাফকাত মুনীর এবং তার প্রতিষ্ঠান বিশেষত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিআইপিএসএস) বাংলাদেশের জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ক নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি বিশ্ববাসীর নজরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বিআইপিএসএস’র প্রেসিডেন্ট আ ন ম মুনীরুজ্জামান জাতিসংঘসহ বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি রোধে এডভোকেসি করছেন। বিশেষত ক্রমাগত সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার ফলে যে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে তা তুলে ধরছেন। তিনি বিশ্ব সমপ্রদায়কে এটা বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে মানুষের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। আধুনিক জীবনযাত্রা অনুসারে চলতে গিয়ে মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা রাখছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে সারা বিশ্বের নিম্নাঞ্চলের দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
উল্লেখ্য যে, এই সম্মেলনের প্রধান ফিচারগুলোর একটি হচ্ছে, এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি সমপর্কিত প্রশ্নের জন্য মিউনিখ ইয়াং লিডারদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়। শাফকাত মুনীর বাংলাদেশ থেকে যাওয়া প্রথম মিউনিখ ইয়াং লিডার। এটি হচ্ছে বিশ্বজুড়ে থাকা উদীয়মান চিন্তার নেতৃত্ব প্রদানকারী, নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং পণ্ডিতদের একটি অনন্য সংঘ। শাফকাত মুনীর ২০১৭ সালের মিউনিখ ইয়াং লিডার্স ক্লাসের সদস্য ছিলেন।