জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা
কলকাতা কথকতা (২ মাস আগে) ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২১, সোমবার, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন | সর্বশেষ আপডেট: ৪:২৬ অপরাহ্ন
কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু ভুয়া চিকিৎসক এবং চক্রের চাঁইদের গ্রেপ্তার করতে পেরেছে। মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করা এই জালিয়াতরা অনেকেই কলকাতার নামী হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গত জুন মাস থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত দীর্ঘ সময় অনুসন্ধান চালিয়ে এই ভুয়া ডাক্তারদের ধরা সম্ভব হয়েছে। গত জুন এ প্রথম ধরা পড়েন রামশঙ্কর সিং। হাওড়া শহরে নামের পাশে এম বি বি এস, এম আর সি পি ডিগ্রির তকমা লাগিয়ে তিনি দিব্য ব্যবসা ফেঁদেছিলেন। এরপর ধরা হয় ডাঃ অজয় তিওয়ারিকে। খোদ কলকাতায় নামি হাসপাতাল কোঠারি মেডিক্যাল সেন্টারে তিনি ২০ বছর গ্যাস্ট্রো এন্টেরোলজিস্ট হিসেবে কাজ চালিয়ে আসছিলেন। কোঠারি তাঁকে কি ভাবে নিয়োগ দিয়েছিলো তা এখন তদন্তের লেন্স এ।
কলকাতার বিখ্যাত বেলভিউ হাসপাতালে নরেন পান্ডে ২০০৩ সাল থেকে এলাৰ্জি বিশেষজ্ঞ হিসেবে যুক্ত হন। কিন্তু ফেক ডাক্তার হিসেবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। বেলভিউ কর্তৃপক্ষ এখনও সদুত্তর দিতে পারেনি। বারাসতের রমেশ চন্দ্র বৈদ্য অবশ্য নিজেকে ডাক্তার বলে পরিচয় কোনওদিন দেননি। কিন্তু ডাক্তারির ভুয়া সার্টিফিকেট তিনি বিক্রি করেন মোটা টাকায়। সম্প্রতি তিনি ৫৬০ জনকে ফেক ডাক্তারির সার্টিফিকেট দিয়েছেন। এই রকমই একজন হাওড়ার শুভেন্দু ভট্টাচাৰ্য। তিনি শুধু ডাক্তারিই করেননি, তাঁর কর্মকৃতিত্তের স্বাক্ষর হিসেবে দিল্লিতে গিয়ে তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এর কাছে সার্টিফিকেটও নিয়ে এসেছেন। জাল চিকিৎসক শুভেন্দু কি ভাবে রাইসিনা হিলস এর রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌছালেন পুলিশ এখন তার তদন্তে। এই জাল ডাক্তাররা সমাজের অভিশাপ, বলেছেন স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্তা ডাঃ নির্মল মাজি। দেরিতে হলেও পুলিশ যে সক্রিয় হয়েছে সেই জন্যে তিনি পুলিশকে কৃতজ্ঞতা জানান।