শরীর ও মন
ভ্যাকসিন পেলে নিয়ে নিন, তবে নিজেকে অপরাজেয় ভাবার কারণ নেই
ডাঃ রুমি আহমেদ
২০২১-০১-৩১
এই মুহূর্তে বাংলাদেশে যে ভ্যাকসিনটা পাওয়া যাচ্ছে - তা হচ্ছে অক্সফোর্ড/এস্ট্রাজেনেকার AZD1222 ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন নিরাপদ- বেশ কিছু বড় বড় ট্রায়ালে তা প্রমাণিত।
কিন্তু মনে রাখতে হবে সর্বশেষ যে তথ্য আমরা পেয়েছি, (বৃটিশ গবেষণা থেকে) তা অনুযায়ী এই ভ্যাকসিন ৬২% কার্যকর। এর মানে, এই ভ্যাকসিন নিলে আপনার করোনা হবার সম্ভাবনা শতকরা ৬২ ভাগ কমে যাবে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা হয়তো আরো কম। যুক্তরাষ্ট্রে ট্রায়াল শেষ হবার পর এ ব্যাপারে আমরা পরিষ্কার জানতে পারবো। এই কার্যকারিতারর প্রশ্নে, বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে - এই ভ্যাকসিন এখনো যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে অনুমোদন দেয়া হয়নি।
তবে যতদূর আমরা জানি তা থেকে মনে রাখতে হবে সংখ্যাটা ৬২% - এটা ১০০% না। এর মানে ভ্যাকসিন নেবার পরও করোনা হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে।
আর এই ভ্যাকসিন পুরোপুরি কার্যকর হয় দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের দশ দিন পর। সুতরাং এক ডোজ ভ্যাকসিন পাবার পরই যে মাস্ক ইত্যাদি ছুঁড়ে ফেলে ফুরফুরে মেজাজে কানে বাতাস লাগিয়ে ঘুরে বেড়াবেন - তা ঠিক হবে না।
আরব আমিরাতেও অনেকে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন - খুব অল্প কিছু ফাইজার ভ্যাকসিন বাদে ভ্যাকসিন সরবরাহের ৯৫% চীনের সাইনভ্যাক ভ্যাকসিন| এটার কার্যকারিতা ৮০% এর কাছাকাছি। ওদের কিছু ভ্যাকসিন রাশিয়ার স্পুটনিক ভ্যাকসিন - ওটার কার্যকারিতা আরো কম।
এই কথাগুলো বলছি এই কারণে যে - এক ডোজ ভ্যাকসিন পাবার পরই নিজেকে অপরাজেয় ভাবার কোনো কারণ নেই! দু ডোজ ভ্যাকসিন নেবার পরও আপনার কোভিড সংক্রমণ হতে পারে - তবে সেটা 'মাইল্ড' হবার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু আপনি অন্যান্য আনভ্যাকসিনেটেড মানুষকে (বিশেষ করে নিজ বাড়ির লোকজনকে) সংক্রমিত করতে পারেন।
আগে আপনার করোনা হয়ে থাকলেও ভ্যাকসিন নিন। প্রথম ডোজ নেয়ার পর করোনা হলেও সেকেন্ড ডোজ বন্ধ করবেন না আর এমন কোন অসুখ নেই যার কারণে করোনা ভ্যাকসিন নেয়া যাবে না। ১৮ বছরের উপরে সবাই তা নিতে পারবেন। গর্ভবতী নারীরাও নিতে পারবেন, ল্যাকেটটিং ব্রেস্টফিডিং মা'রাও নিতে পারবেন।
দুটো কথা বলে শেষ করি - এখন ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে বাছবিচার করার সময় নেই। ৬০% কার্যকারিতা ০% ইমিউনিটির (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা) চেয়ে অনেক অনেক বেশি। যেই ভ্যাকসিনই পাবেন তা নিয়ে নিন৷ আর ভ্যাকসিন পেলেই মাস্ক ইত্যাদি ছুড়ে ফেলে দিয়ে 'যা খুশি তা শুরু' করে দেয়াও ঠিক হবে না। মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্বও মেনে চলতে হবে - ভ্যাকসিন পান আর না পান।
লেখকঃ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অংগরাজ্যের অরল্যান্ডো রিজিওনাল হেলথ সেন্টারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং ট্রেনিং পরিচালক।
কিন্তু মনে রাখতে হবে সর্বশেষ যে তথ্য আমরা পেয়েছি, (বৃটিশ গবেষণা থেকে) তা অনুযায়ী এই ভ্যাকসিন ৬২% কার্যকর। এর মানে, এই ভ্যাকসিন নিলে আপনার করোনা হবার সম্ভাবনা শতকরা ৬২ ভাগ কমে যাবে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা হয়তো আরো কম। যুক্তরাষ্ট্রে ট্রায়াল শেষ হবার পর এ ব্যাপারে আমরা পরিষ্কার জানতে পারবো। এই কার্যকারিতারর প্রশ্নে, বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে - এই ভ্যাকসিন এখনো যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে অনুমোদন দেয়া হয়নি।
তবে যতদূর আমরা জানি তা থেকে মনে রাখতে হবে সংখ্যাটা ৬২% - এটা ১০০% না। এর মানে ভ্যাকসিন নেবার পরও করোনা হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে।
আর এই ভ্যাকসিন পুরোপুরি কার্যকর হয় দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের দশ দিন পর। সুতরাং এক ডোজ ভ্যাকসিন পাবার পরই যে মাস্ক ইত্যাদি ছুঁড়ে ফেলে ফুরফুরে মেজাজে কানে বাতাস লাগিয়ে ঘুরে বেড়াবেন - তা ঠিক হবে না।
আরব আমিরাতেও অনেকে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন - খুব অল্প কিছু ফাইজার ভ্যাকসিন বাদে ভ্যাকসিন সরবরাহের ৯৫% চীনের সাইনভ্যাক ভ্যাকসিন| এটার কার্যকারিতা ৮০% এর কাছাকাছি। ওদের কিছু ভ্যাকসিন রাশিয়ার স্পুটনিক ভ্যাকসিন - ওটার কার্যকারিতা আরো কম।
এই কথাগুলো বলছি এই কারণে যে - এক ডোজ ভ্যাকসিন পাবার পরই নিজেকে অপরাজেয় ভাবার কোনো কারণ নেই! দু ডোজ ভ্যাকসিন নেবার পরও আপনার কোভিড সংক্রমণ হতে পারে - তবে সেটা 'মাইল্ড' হবার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু আপনি অন্যান্য আনভ্যাকসিনেটেড মানুষকে (বিশেষ করে নিজ বাড়ির লোকজনকে) সংক্রমিত করতে পারেন।
আগে আপনার করোনা হয়ে থাকলেও ভ্যাকসিন নিন। প্রথম ডোজ নেয়ার পর করোনা হলেও সেকেন্ড ডোজ বন্ধ করবেন না আর এমন কোন অসুখ নেই যার কারণে করোনা ভ্যাকসিন নেয়া যাবে না। ১৮ বছরের উপরে সবাই তা নিতে পারবেন। গর্ভবতী নারীরাও নিতে পারবেন, ল্যাকেটটিং ব্রেস্টফিডিং মা'রাও নিতে পারবেন।
দুটো কথা বলে শেষ করি - এখন ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে বাছবিচার করার সময় নেই। ৬০% কার্যকারিতা ০% ইমিউনিটির (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা) চেয়ে অনেক অনেক বেশি। যেই ভ্যাকসিনই পাবেন তা নিয়ে নিন৷ আর ভ্যাকসিন পেলেই মাস্ক ইত্যাদি ছুড়ে ফেলে দিয়ে 'যা খুশি তা শুরু' করে দেয়াও ঠিক হবে না। মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্বও মেনে চলতে হবে - ভ্যাকসিন পান আর না পান।
লেখকঃ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অংগরাজ্যের অরল্যান্ডো রিজিওনাল হেলথ সেন্টারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং ট্রেনিং পরিচালক।