বিশ্বজমিন
বাইডেনকে ইসরাইলি সেনা কর্মকর্তার ছবক!
মানবজমিন ডেস্ক
২৭ জানুয়ারি ২০২১, বুধবার, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ছবক দিয়েছেন ইসরাইলের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আভিভ কোহাভি। মঙ্গলবার তিনি তেল আবিব ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এ সময় তিনি বলেছেন ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা চালানোর পরিকল্পনা নতুন করে বিবেচনা করছে ইসরাইলের সেনাবাহিনী। এ ছাড়া ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত পারমাণবিক চুক্তিতে যদি যুক্তরাষ্ট্র ফিরে আসে তাহলে তা হবে ‘ভুল’। এর অর্থ হলো ইরানের সঙ্গে যেকোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সিগন্যাল বা সংকেত দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণের বিষয়ে ইসরাইলের একজন সেনা কর্মকর্তার এমন মন্তব্য বিরল। ধারণা করা হচ্ছে, তার এ পরিকল্পনা ইসরাইলি সরকার আগে থেকেই অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু একজন সেনা কর্মকর্তা হয়ে বিশ্বের সর্বোচ্চ শক্তিধর একজন প্রেসিডেন্টকে এভাবে পথ দেখানো বা ছবক দেয়ার ঘটনা বিরল। এমন ঘটনা এর আগে ঘটেছে কিনা তা গবেষণার বিষয়।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আভিভ কোহাভি ওই অনুষ্ঠানে বলেছেন, ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিতে ফেরা অথবা একই রকম চুক্তিতে ফেরা খারাপ এবং ভুল। কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিতেও তা ভুল। উল্লেখ্য, জো বাইডেনের পূর্বসূরি ডনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে একতরফাভাবে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেন। তার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ওই চুক্তির অধীনে ইরানের বিরুদ্ধে অবরোধ শিথিল করার সমালোচনা করেছিলেন তিনি।
ওদিকে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের নিয়োগ নিশ্চিত হয়েছে। তিনি এর আগে গত সপ্তাহে বলেছেন, ওই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ফিরবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য লম্বা পথ সামনে। চুক্তিতে ফেরার আগে দেখতে হবে, ইরান কি প্রকৃতপক্ষেই চুক্তির শর্তগুলো মেনে চলছে কিনা। এখানে উল্লেখ করা যায়, চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়ার পর ইরানও তার ঘাড় বাঁকা করেছে। তারা চুক্তিতে উল্লেখিত নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে। অনেক বেশি খাঁটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে তারা। চুক্তির বাইরে গিয়ে তারা সেন্ট্রিফিউজ স্থাপন করেছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল আভিভ কোহাভি বলেছেন, ইরানের এসব কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছে। তবে ইরান এটা অস্বীকার করে। তিনি আরো বলেন, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে এরই মধ্যে আমি বেশ কিছু অপারেশনাল প্লান দিয়েছি। এর মধ্যে কয়েকটি পরিকল্পনা এরই মধ্যে চলমান। এসব বিষয় বাস্তবায়নে অবশ্যই রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিষয়। তবে তা আলোচনার টেবিলে আনার প্রয়োজন।
ইরানের সঙ্গে চুক্তির প্রেক্ষাপটে দেশটির বিরুদ্ধে ইসরাইলের সম্ভাব্য সামরিক হামলার হুমকি দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আভিভ কোহাভি ওই অনুষ্ঠানে বলেছেন, ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিতে ফেরা অথবা একই রকম চুক্তিতে ফেরা খারাপ এবং ভুল। কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিতেও তা ভুল। উল্লেখ্য, জো বাইডেনের পূর্বসূরি ডনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে একতরফাভাবে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেন। তার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ওই চুক্তির অধীনে ইরানের বিরুদ্ধে অবরোধ শিথিল করার সমালোচনা করেছিলেন তিনি।
ওদিকে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের নিয়োগ নিশ্চিত হয়েছে। তিনি এর আগে গত সপ্তাহে বলেছেন, ওই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ফিরবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য লম্বা পথ সামনে। চুক্তিতে ফেরার আগে দেখতে হবে, ইরান কি প্রকৃতপক্ষেই চুক্তির শর্তগুলো মেনে চলছে কিনা। এখানে উল্লেখ করা যায়, চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়ার পর ইরানও তার ঘাড় বাঁকা করেছে। তারা চুক্তিতে উল্লেখিত নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে। অনেক বেশি খাঁটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে তারা। চুক্তির বাইরে গিয়ে তারা সেন্ট্রিফিউজ স্থাপন করেছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল আভিভ কোহাভি বলেছেন, ইরানের এসব কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছে। তবে ইরান এটা অস্বীকার করে। তিনি আরো বলেন, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে এরই মধ্যে আমি বেশ কিছু অপারেশনাল প্লান দিয়েছি। এর মধ্যে কয়েকটি পরিকল্পনা এরই মধ্যে চলমান। এসব বিষয় বাস্তবায়নে অবশ্যই রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিষয়। তবে তা আলোচনার টেবিলে আনার প্রয়োজন।
ইরানের সঙ্গে চুক্তির প্রেক্ষাপটে দেশটির বিরুদ্ধে ইসরাইলের সম্ভাব্য সামরিক হামলার হুমকি দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু।