প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘরের জন্য টাকা নিলো কারা? (ভিডিও)
তাইমুন ইসলাম রায়হান
প্রথম পাতা ২৬ জানুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার | সর্বশেষ আপডেট: ৩:৪৯ অপরাহ্ন
একদিনে প্রায় ৭০ হাজার পরিবারকে আশ্রয় দিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ইচ্ছায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে এই ঘর উপহার দেয়ার কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়। শনিবার প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৭০ হাজার পরিবারকে তাদের আশ্রয় বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৬ হাজার পরিবারকে দেয়া হয়েছে বারান্দা, রান্নাঘর, শৌচাগারসহ দুই কক্ষের ঘর। সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় এই মানবিক প্রকল্পের ঘর পেয়ে আনন্দের বন্যা বয়ে যায় প্রকল্প এলাকায়। যারা আশ্রয় পেয়েছেন তাদের অনেকের স্বপ্নেও ছিল না এমন পাকা বাড়িতে থাকার। তবে এই প্রকল্প ঘিরে বাণিজ্যের অভিযোগও পাওয়া গেছে বিভিন্ন স্থান থেকে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অসাধুদের মাধ্যমে অর্থ নেয়া হয়েছে উপকারভোগীদের কাছ থেকে।
কোথাও কোথাও নেয়া হয়েছে নির্মাণ সামগ্রীর দাম। আবার কোথাও মালামালের ভাড়ার কথা বলে নেয়া হয়েছে অর্থ। এমন বেশকিছু অভিযোগের সরাসরি তথ্য দিয়েছেন উপকারভোগীরা।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ভূমিহীন ও গৃহহীদের ঘর নির্মাণের জন্য ৩০-৩৫ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ উপজেলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ থেকে ৪৯১টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে ১৫০টি ঘরের কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ঘর তৈরিতে শর্ত রয়েছে সেমিপাকা প্রতিটি ঘরে থাকতে হবে দুইটি বেডরুম, ১টি বাথরুম, বারান্দা এবং উপরে উন্নতমানের রঙিন টিন। যার জন্য ঘরপ্রতি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। তবে এসব ঘর বিনামূল্যে দেয়ার কথা থাকলেও এ উপজেলায় ঘটছে ভিন্নতা। জনপ্রতি দিতে হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা করে। অভিযোগ রয়েছে- টাকা দিয়ে ঘর পাওয়ার পরও ইট-বালুসহ অর্ধেক নির্মাণ সামগ্রী কিনতে হচ্ছে নিজেদের। যাতে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে আরো ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। ঘর উপহার পাওয়া উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ১নং ওয়ার্ডের মো. শাবু হাওলাদার জানান, ঘরের জন্য নাম দিতে ইউপি সদস্য মিন্টু হাওলাদারকে ৩৫ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। কিন্তু ঘরের জন্য সরকার যে নির্মাণ সামগ্রী দিয়েছে তাতে ঘরের কাজ সম্পন্ন হচ্ছে না এমন কথা বলে আমার কাছ থেকে আরো ১১শ’ ইট এবং ৩০ ব্যাগ সিমেন্ট নেয়া হয়েছে। একই ওয়ার্ডের মো. শাকিল বলেন, ইউপি সদস্য মিন্টু হাওলাদারকে ঘরের জন্য প্রথমে ৩০ হাজার ও ১৫ দিন পর মালামালের ভাড়া বাবদ ৫ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। একই ওয়ার্ডের হাসি বেগম জানান, আমার মা সাফিয়া বেগমের নামে বরাদ্দকৃত ঘরের জন্য ইউপি সদস্য মিন্টু হাওলাদারকে ৩৫ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। এ ছাড়াও একই ওয়ার্ডের শাহিনুর বেগম জানান, ঘর পেতে ঠিকাদার শাওনকে ৩০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।
চরমোন্তাজ ইউনিয়নের উত্তর চরমোন্তাজ ৬নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর ফরাজী বলেন, ঘর পেতে আমাকে ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্যের স্বামী জলিল হাওলাদারের কাছে প্রথমে ২০ হাজার ও পরে মালামালের ভাড়া বাবদ ১৫ হাজার টাকা নিয়েছে। কিন্তু তারা ঘর নির্মাণের জন্য যে নির্মাণ সামগ্রী দিয়েছে তার পরও আমাকে ২৪ হাজার টাকার নির্মাণ সামগ্রী কিনতে হয়েছে। ইট ২ হাজার, রড ১৩ কেজি, সিমেন্ট ৩০ ব্যাগ নিজের টাকায় কিনেছি। একই অভিযোগ করেন এ ওয়ার্ডের মাহাবুব হাওলাদারও।
চরমোন্তাজ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হালিম খান বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মো. হানিফ মিয়া আমার মাধ্যমে ৩টা ঘরের নাম দিয়েছেন, প্রতিটি ঘরের জন্য তাকে ১৫ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। এমনকি আমার আপন ভাইয়ের জন্য ঘরের নাম দিতে ১২ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। এ ব্যাপারে ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিন্টু হাওলাদার মানবজমিনকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে শত্রুপক্ষ এসব অভিযোগ ছড়িয়েছে। এ অভিযোগ সত্য নয়। ৩নং ছোটবাইশদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল মান্নান মানবজমিনকে জানান, ঘরের জন্য কোনো টাকা নেয়া হয়েছে কিনা তা তার জানা নেই। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। চরমোন্তাজ ইউপি চেয়ারম্যান মো. হানিফ মিয়া মানবজমিনকে জানান, ইউপি সদস্যরা টাকা নিয়ে থাকলে নিয়েছে। আমাকে কোনো টাকা-পয়সা দেয়নি। কেউ আমার কাছে অভিযোগও করেনি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাশফাকুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, ঘরের তালিকা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে করা হয়েছে। অনিয়ম হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে কেউ যদি টাকা দিয়ে থাকে সে তো আরো বড় অন্যায় করেছে। আগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী মানবজমিনকে জানান, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওদিকে বগুড়ার শেরপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে উপজেলায় ১৬৩টি ভূমিহীন পরিবারকে ০২ শতাংশ করে খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে সেখানে একটি সেমিপাকা গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। যার প্রতিটি গৃহ নির্মাণের জন্য সরকারি ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে শেরপুর উপজেলায় প্রায় তিন কোটি টাকার এই কাজের দেখভাল করছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। শেরপুর উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে সুঘাট ও শাহবন্দেগী এই দুই ইউনিয়ন বাদ রেখে বাকি ৮টি ইউনিয়নে এই দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাকড়কোলা গ্রামের আলাউদ্দিন রনি জানান, আমাদের গ্রামে ভূমিহীনদের জন্য তিনটি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে নিম্নমানের ইট-সিমেন্ট দেয়া হচ্ছে। সেখানে ইটের খোয়ার পরিবর্তে বিল্ডিং ভাঙা পচা রাবিশ আর নিম্নমানের বালু ও কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই কারণে কয়েকটি ঘরের দেয়ালে হস্তান্তরের আগেই ফাটল ধরেছে। প্রকল্পের ১২ নং উপকারভোগী শেরপুর উপজেলার ১নং কুসুম্বী ইউনিয়নের বাগড়া কলোনী গ্রামের মৃত. আবু বক্করের স্ত্রী বাছিরন বেগম। তিনি জানান, ঘরের কাজ ভালো করার জন্য ৫ বস্তা সিমেন্ট আমি নিজে কিনে দিয়েছি। তাছাড়া ঢালাইয়ের কাজে রডসহ প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ দিতে হয়েছে। এই প্রকল্পের ১নং উপকারভোগী একই গ্রামের সেকেন্দার আলীর স্ত্রী গৃহিণী রুবিয়া খাতুন জানান, তিনিও কাজ ভালো করার জন্য দুই বস্তা সিমেন্ট দিয়েছেন। কিন্তু ঘরের কাজ ভালো হয়নি। ঘরের মেঝেসহ অন্যান্য কাজ ভালো হয়নি। দেয়ালের পলেস্তরা খসে পড়ছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসান ওয়াদুদ জানান, প্রকল্পের কাজ এখনো চলছে। তাই এ বিষয়ে এখন বক্তব্য দেয়া যাবে না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোছা. শামছুন্নাহার শিউলী জানান, প্রকল্পের নকশা ও প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে। ঘর নির্মাণে যে টাকা বরাদ্দ রয়েছে তা অপ্রতুল। দুই একটি জায়গায় নিম্নমানের কাজের অভিযোগ পাওয়ায় সেগুলো ঠিক করা হয়েছে। এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লিয়াকত আলী সেখ জানান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে শেরপুর উপজেলায় ১৬৩টি গৃহ নির্মাণ করে ভূমিহীনদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৯৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গৃহনির্মাণ কাজে কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। উপকারভোগীদের কাছ থেকে নির্মাণ সামগ্রী নেয়া হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
চাইথোয়াইমং মারমা
২০২১-০১-২৯ ০৪:৩৩:৩১
পার্বত্য চট্রগ্রামের স্বচ্ছ পরিবাররা সুবিধা গৃহ হীন ঘর পাই। কিন্তু অসহায় পরিবাররা গৃহহীন হতে বঞ্চিত। প্রায় বিভিন্ন উপজেলাতে এরকম চিত্র দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন ২শতাংশ খাস জমি গৃহহীনকে ঘর দিতে হবে। তবে কিছু কিছু এলাকায় বিপরীত চিত্র দেখা মিলে। কেউ কেউ উপকারভোগী কাছ হতে বিভিন্ন মালবাহন খরচ বলে টাকা দেয়া লাগে। নিরহ গৃহহারা নিস্ব অবস্থায় বাঁচা। স্থানীয় রাজনৈতিবিদ,মেম্মার, মাতবর, চেয়ারম্যান রা সুবিধা গ্রহণ। সব জায়গা তৃনমূল পর্যায় তদন্ত মনিটরিং হওয়া জরুরী মনে করি। সকলে দূনীর্তি গ্রস্ত হতে মু ক্তি চাই।
মুজিবুল হক
২০২১-০১-২৭ ০০:৩৫:০৭
রাজনৈতিক নেতৃবিন্দের ও প্রশাষনের কাছে অনুরোধ, বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হইক।
shohel
২০২১-০১-২৬ ০৯:৩৩:৫৭
সরকার ঘর দেয় গরীব মানুষকে মাথাগুজে থাকার জন্য ৷কিন্তু সরকার এই খবর টা কেন নেন না যে ফ্রি ঘর নিতে লাখ টাকার ওপরে নিচ্ছে কিছু কুচক্র ৯৫% মানুষের কাছে থেকে টাকা নিয়ে ঘর দেন আবার কিছু মানূষ টাকা দিয়ে ঘর পায়নাঁ
Rahul Khan
২০২১-০১-২৬ ০৫:৩৭:৫১
ঘড় দেয়ার কথা বলে, স্থান ঠিক করে, চেয়ারম্যান সাহেব বললেন প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে , এভাবে চলতে থাকলে তো মুজিব বর্ষ কে (কালি দিয়ে কুলুপ এঁটে দিচ্ছে) দুই একটা ঘড় - বাড়ী দিয়েই বাকী ঘড় হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। বাহ্ এর নাম কি তাহলে মুজিব বর্ষ।
মো মশিউর রহমান
২০২১-০১-২৬ ০৪:২২:৪১
ঘড়
আমার ও দরকার কিন্তু এত টাকা নেই
তাই আশা বাদ দিলাম। এ ভাবেই কাটিয়ে দিব বাকি জীবন।
nurul
২০২১-০১-২৬ ০২:১১:১২
এ ভাবে চলছে দেশ
Kawsar Sayam
২০২১-০১-২৫ ২১:০১:০৫
তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
Md. Harun al-Rashid
২০২১-০১-২৬ ০৯:৪২:৩২
অবস্হাদৃষ্টে মনে হচ্ছে কোন কোন স্হানে চেয়ারম্যান ও মেম্বারগন স্হানীয় মেধাবি প্রশাসন দাপুটে এমপি বা ক্ষমতাশীন দলের একচ্ছত্র প্রভাবকে সাচ্ছন্দে টেক্কা দিয়ে এমন মহতী উদ্দ্যোগকে অর্থ কামাইয়ের উপলক্ষ্য করে ছাড়লো। এ প্রকল্প নিয়ে ইলেট্রনিক মিডিয়ায় কোন কোন স্হানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তির নিরলস শ্রমের বর্ননা শুনে মনে হয়েছিল তাদের শ্রম এতোই কঠোর ও আন্তরিক ছিল যে একনো বুঝি ঘাম দর দর করে ঝরছে। স্হানীয় প্রশাসনের supervisory দূর্বলতা বা উদাসীনতা এ সব দূর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান মেম্বারগনের লোভের কারন হয়ে থাকবে। জন প্রতিনিধি নামক এ সব দুষ্টগ্রহ অপরাধীদের ধরুন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনুন।
milon
২০২১-০১-২৬ ০৮:৪৬:৫৬
দেশের সর্বত্র অন্যায় ও অবিচার চলছে ata ter poman only government and present is good but others all persons is corrupted.
Navojyoti roy
২০২১-০১-২৫ ১৮:৩১:০৭
It's great idea. I would like to add something else.if all houses by solar power.goverment get benefit.as Solar village.
sdd
২০২১-০১-২৬ ০৭:০০:৫৫
দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হোক।
এই প্রকল্প এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশেরও গ্রহণ করা উচিত। সেখানে প্রচন্ড শীতেও হোমলেসরা রাস্তায় বাস করে। অমানবিক!
এ এইচ ভুঁইয়া
২০২১-০১-২৫ ১১:২৭:৩৩
প্রশাসন তদন্ত করে দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান মেম্বারকে আটক করা হউক।
আপনার মতামত দিন
প্রথম পাতা অন্যান্য খবর
সমন্বয়হীনতা, সিদ্ধান্ত পরিবর্তন ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা