দেশ বিদেশ
চসিক নির্বাচন
মধ্যরাতে শেষ প্রচারণার যুদ্ধ মাঠে নামছে ৯০০০ পুলিশ
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২৬ জানুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:৩৫ অপরাহ্ন
চসিক নির্বাচনের প্রচারণা শেষ গতকাল সোমবার মধ্যরাতে। প্রচারণার শেষ দিনে নির্বাচন কমিশন নগরীর ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রে অনুশীলন বা মক ভোটের আয়োজন করেছে। বুধবার (২৭শে জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, নির্বাচনী এলাকার ভোটগ্রহণ শুরুর পূর্ববর্তী ৩২ ঘণ্টা, ভোটগ্রহণের দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা এবং ভোটের দিন রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা নির্বাচনী এলাকায় কোনো ব্যক্তি কোনো জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান এবং কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা করতে বা তাতে অংশ নিতে পারবেন না। ওই সময়ে কোনো আক্রমণাত্মক কাজ বা বিশৃঙ্খলামূলক আচরণও করতে পারবেন না। সেই হিসেবে সোমবার মধ্যরাতে প্রচারণার যুদ্ধ শেষ বলে জানান চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান। তিনি বলেন, এবারের চসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ যেহেতু ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এ অনুষ্ঠিত হবে, সেহেতু ইভিএম মেশিনসহ ভোটগ্রহণ আয়োজনের সকল উপকরণ ভোটকেন্দ্রে নেয়াসহ সব কার্যক্রম সম্পাদন শুরু মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হবে। ফলে প্রচারণা যুদ্ধ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরীর মাঠে নামছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এক্ষেত্রে ৯০০০ পুুলিশ সদস্য মাঠে নামছে বলে জানান হাসানুজ্জামান। সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরও বলেছেন একই কথা। তিনি বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে চসিক নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে এবার ৯০০০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকছে। সেই সঙ্গে থাকছে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরাও। এ ছাড়া ভোটের আগের রাতে মাঠে নামবে বিজিবি ও র্যাব। এদিকে শেষদিনে জমজমাট প্রচারণা চালিয়েছেন নির্বাচনের দুই হেভিওয়েট প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও ডা. শাহাদাত হোসেন। এরমধ্যে রেজাউল করিমের প্রচারণায় রোববার থেকে অংশ নিয়েছেন দেশের চলচ্চিত্র ও নাট্যজগতের জনপ্রিয় তারকারা। সোমবার সকালেও অভিনেতা রিয়াজ, মীর সাব্বির ও সায়মন সাদিক, অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস, মাহিয়া মাহি, অরুণা বিশ্বাস, তারিন জাহান, তানভীন সুইটি নৌকার প্রচারণায় অংশ নিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরেছেন। যা বাড়তি আকর্ষণ বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা। তবে এটাকে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি বলেও মন্তব্য করছেন ভোটাররা।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৯শে মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর বন্দরনগরীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পক্ষ থেকে নির্বাচন স্থগিতের দাবি ওঠে। এর প্রেক্ষিতে ২১শে মার্চ বৈঠকে এ নির্বাচন স্থগিত করা হয়। দীর্ঘ বিরতির পর ২৭শে জানুয়ারি নির্বাচনের লক্ষ্যে ৮ই জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয় দফা প্রচারণা শুরু হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৯শে মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর বন্দরনগরীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পক্ষ থেকে নির্বাচন স্থগিতের দাবি ওঠে। এর প্রেক্ষিতে ২১শে মার্চ বৈঠকে এ নির্বাচন স্থগিত করা হয়। দীর্ঘ বিরতির পর ২৭শে জানুয়ারি নির্বাচনের লক্ষ্যে ৮ই জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয় দফা প্রচারণা শুরু হয়।