প্রথম পাতা

বিচারিক আদেশ পরিবর্তন করতে বাধ্য করেন কুষ্টিয়ার সেই এসপি

কাজী সোহাগ

২৫ জানুয়ারি ২০২১, সোমবার, ৯:৪৪ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ার আলোচিত পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাত অতীতে বিচারিক আদেশের প্রতিশোধ নিতেই ভেড়ামারা পৌর নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন হাসানের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন বলে জানা গেছে। এর আগে গত বছরের শেষ দিকে সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন হাসানের দেয়া একটি আদেশ পরিবর্তন করতে বাধ্য করেন ওই এসপি। এদিকে নির্বাচনের ওই ঘটনার পর ভেড়ামারা উপজেলা কার্যালয়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। ঘটনার সময় উপস্থিত প্রিজাইডিং অফিসারের অফিস কক্ষে রয়েছে তালা। সবাই এখন পুলিশি আতঙ্কের মধ্যে আছেন বলে জানান স্থানীয়রা। কুষ্টিয়ার বেশ কয়েক গণমাধ্যমকর্মী ও সংশ্লিষ্ট স্থানীয়রা মানবজমিনকে এসব তথ্য জানান। এদিকে ভেড়ামারার ঘটনার একটি ফুটেজ রয়েছে মানবজমিনের হাতে। ঘটনার সময়ের ৫ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের একটি সিসি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়-সকাল ৯টা ৫৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলের ওই মহিলা ভোট কক্ষের পার্শ্বস্থ প্রিজাইডিং অফিসারের কক্ষে প্রবেশ করতে ঢোকেন। ৯টা ৫৯ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডে প্রিজাইডিং অফিসারকে সঙ্গে করে ভবনের বারান্দা থেকে নিচে নামেন। ১০ টা ২ মিনিট ২৪ সেকেন্ড পর্যন্ত ক্যামেরার বাইরে কিছু একটা ঘটতে দেখেন সেখানে দায়িত্বরত এক মহিলা পুলিশ এবং ২ জন মহিলা আনসার সদস্য। ১০টা ২ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে, পুলিশ সদস্যদের উত্তেজিত অবস্থায় প্রিজাইডিং অফিসার শাজাহান আলীকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে ভবনে প্রবেশ করতে দেখা যায়। ভবন থেকে ১০টা ৩ মিনিট ১৭ সেকেন্ডে পুলিশ সদস্যরা আবারো ধাক্কাতে ধাক্কাতে প্রিজাইডিং অফিসারকে নিয়ে ভবনের বাইরে নেমে আসেন, এ সময় সিঁড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ম্যাজিস্ট্রেটকেও গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কাতে ধাক্কাতে মাঠের মধ্যে নিয়ে যেতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের। প্রত্যক্ষদর্শী আনসার সদস্য জানান, ম্যাজিস্ট্রেট স্যার প্রিজাইডিং অফিসার স্যারকে ডেকে কথা বলছিলেন। এ সময় এসপি স্যার পুলিশ বহরসহ এসে প্রিজাইডিং স্যারকে ডাকে, তখনও প্রিজাইডিং স্যার কথা বলছিল ম্যাজিস্ট্রেট স্যারের সঙ্গে। তখন এসপি স্যার চরম রাগান্বিত হয়ে বলছিল এই কথা পছন্দ হচ্ছে না? আমি উনার সিনিয়র, আমার কথা আগে শুনতে হবে, এই বলে উত্তেজিত হয়ে ম্যাজিস্ট্রেট স্যার ও প্রিজাইডিং স্যারকে বকাবকি করে এসপি স্যার’। প্রত্যক্ষদর্শী আরেক মহিলা আনসার সদস্য বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট স্যার প্রিজাইডিং অফিসার স্যারকে সঙ্গে করে বারান্দার সামনে মাঠের মধ্যে কথা বলছিলেন, পুলিশ এসে চরম উত্তেজিত হয়ে উনাদের বকাবকি করছিল। তারপর প্রিজাইডিং অফিসার স্যারকে ধরে রুমে ঢুকে আবার বেরিয়ে যায়, তখন ম্যাজিস্ট্রেট স্যারও সিঁড়ির একপাশে দাঁড়ানো ছিল উনাকেও পুলিশ সঙ্গে করে মাঠের মধ্যে নিয়ে যায়। শাজাহান আলীর স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা লাকি আক্তারের অভিযোগ, এসপি সাহেবের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের কি হয়েছে না হয়েছে সেখানে আমার স্বামীর কি দোষ? তিনি ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের সঙ্গে করা দুর্ব্যবহারের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে একের পর এক ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলেছেন। তিনি ঘটনার প্রমাণ ঢাকতে ঘটনাস্থল ভেড়ামারার ওই ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রত্যক্ষদর্শী প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শাজাহান আলীকে দৌলতপুর থানার পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে আটকে রেখে সাদা কাগজে মুচলেকা আদায়সহ মুখ না খুলতে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন। সে কারণে পরিবার পরিজনের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
বিচারকের আদেশ পাল্টাতে বাধ্য করেন এসপি
২০২০ সালের নভেম্বরে সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন হাসানের দেয়া একটি রায়ের আদেশ পরিবর্তন করতে প্রভাব খাটিয়েছিলেন পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত। কুষ্টিয়ার বেশ কয়েক গণমাধ্যম কর্মী ও স্থানীয় আদালত সংশ্লিষ্টরা মানবজমিনকে জানান, গত বছর নভেম্বরে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার জিআর মামলা নং ১৩৩/২০ এর এক আসামিকে গ্রেপ্তারের পর নির্ধারিত সময়ে আদালতে সোপর্দ না করে হেফাজতে নির্যাতন হয়েছে মর্মে আদালতের দৃষ্টিগোচর হয়। ওই সময় দায়িত্বে থাকা সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন হাসান ‘নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন ২০১৩ এর ৫ ধারায় সংশ্লিষ্ট ইবি থানা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ডসহ ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। মামলার রেকর্ড সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৮ই নভেম্বর গভীর রাতে নিজ বাড়ি থেকে সদর উপজেলার পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের নায়েব মণ্ডলের ছেলে কৃষি শ্রমিক আশরাফুল (৪২)কে গ্রেপ্তার করেন ইবি থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহমান। তিনি ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আসামিকে গ্রেপ্তারের ৩৬ ঘণ্টা পর মহসিন হাসানের আদালতে ফৌ:/কা:র ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে পাঠানো হয়। বিচারকের খাস কামরায় ওই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের আগে বিচারক আসামির কাছে জানতে চান স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেবেন কি না? এ সময় আসামিকে নির্যাতন করে শিখিয়ে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করানো হচ্ছে এমন বিস্তারিত বিবরণ শুনে সত্যতা যাচায়ে তাৎক্ষণিক কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসকের দেয়া নির্যাতনের সত্যতা সনদের ভিত্তিতে ওই আদেশ দেন বিচারক মহসিন হাসান। কুষ্টিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, গত ১২ই নভেম্বর বেলা সাড়ে ৩টায় আদালত কর্তৃক হেফাজতে নির্যাতন আইনে মামলার আদেশ সংক্রান্ত তথ্য গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে আনুষঙ্গিক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ শেষে সংবাদ তৈরি শেষে সাংবাদিকরা কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতের মন্তব্য জানতে ফোনে কথা বলেন। এ সময় পুলিশ সুপার চরমভাবে ক্ষুব্ধ হন সাংবাদিকদের ওপর। ততক্ষণে দুইটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের জেলা প্রতিনিধি ব্রেকিং নিউজে স্ক্রল দেন। এতে এসপি ক্ষুব্ধ হয়ে ওই দুই সাংবাদিককে ধমক এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের স্ব-স্ব চ্যানেলে চলমান স্ক্রল ব্রেকিং নিউজ প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেন। অন্য একজন জাতীয় গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত বলেন,‘কোর্ট কি আদেশ দিলো এটা আপনি জানলেন কি করে? আমাকে দেয়া আদেশ আমি জানি না, আপনি জেনে গেলেন? এটা কনটেম্পট অব কোর্ট হবে আপনার বিরুদ্ধে, কোর্ট যেটা আদেশ দিয়েছে সেটা আমার কাছে এখনো আসেনি, আমার কাছে তো ওই আদেশ কারেকশন হয়েও আসতে পারে। এখন আপনি সিদ্ধান্ত নেন কি নিউজ করবেন?’ ওই সাংবাদিক ঢাকাস্থ তার প্রতিষ্ঠানের বার্তা সম্পাদককে ওইদিনের জন্য সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন। সেই সঙ্গে পুলিশ সুপারের এমন হুমকি ও চ্যালেঞ্জের মুখে সাংবাদিকরা আদালত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন এবং করণীয় জানতে চান। গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, অন্যদিকে সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে অবগত হওয়ার পর পুলিশ সুপার সংশ্লিষ্ট বিচারিক হাকিমের সঙ্গে ফোন করে আদেশের বিষয়ে কথা বলেন। এ সময় পুলিশ সুপার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন কেন এই আদেশের বিষয়টি আগেই সাংবাদিকদের কাছে গেল। এরপর দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটি শেষে ১৫ই নভেম্বর, সকাল পৌনে ১০টায় কুষ্টিয়া পুলিশের সকল কর্মকর্তা পদধারীদের সঙ্গে করে বিশাল পুলিশ বহরসহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন এসপি এসএম তানভীর আরাফাত। যথারীতি ওই ঘটনার ফলোআপে সাংবাদিকরাও এদিন আদালত চত্বরে অবস্থান করেন। পুলিশ বাহিনী আদালত চত্বর ত্যাগ করার পর সাংবাদিকরা ওই আদালত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন। ৩ দিন আগে আদালতের দেয়া ‘নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন ২০১৩ এর ৫ ধারায় সংশ্লিষ্ট ইবি থানা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ডসহ ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশটির সংশোধন আছে। প্রথম দিনের (১২ই নভেম্বর) আদেশে ছিল- ‘সুতরাং উপরিউক্ত বিষয়ের আলোকে পুলিশ সুপার, কুষ্টিয়াকে ‘নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ৫ ধারা মোতাবেক বর্ণিত অপরাধের সঙ্গে জড়িত ইবি থানার সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পূর্বক ১৯/১১/২০২০ তারিখের মধ্যে আদালতকে অবহিত করণের নির্দেশ প্রদান করা হলো। আদেশের কপিসহ সন্দিগ্ধ আসামি তথা ভিকটিম মো. আশরাফুল ইসলামের বিবৃতি ও জখমী সনদ পুলিশ সুপার, কুষ্টিয়া বরাবর কার্যার্থ্যে এবং ডেপুটি ইন্সপেক্টর অব পুলিশ (ডিআইজি), খুলনা রেঞ্জ বরাবর জ্ঞাতার্থে প্রেরণ করা হোক। ৩ দিন পর ১৫ই নভেম্বর সাংবাদিকদের কাছে দেয়া আদালতের আদেশ-‘সুতরাং উপরিউক্ত বিষয়টির আলোকে পুলিশ সুপার, কুষ্টিয়াকে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। আদেশের কপিসহ সন্দিগ্ধ আসামি তথা ভিকটিম মো. আশরাফুল ইসলামের বিবৃতি ও জখমী সনদ পুলিশ সুপার, কুষ্টিয়া বরাবর কার্যার্থ্যে প্রেরণ করা হোক। আদালত পাড়ায় কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আমাদের চোখের সামনে যা হলো তাতে আমরা প্রচণ্ড রকম ভীত ও আতঙ্কিত। কখনো যদি এই বিষয়টি বিচার বিভাগীয় তদন্ত হয় তাহলে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে। ‘অসহায় বিচারপ্রার্থীদের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগই মনে হচ্ছে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন’। বিচার বিভাগীয় তদন্তে ওই দিনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই হয়তো অনেক কিছুই বোঝা যাবে’। হেফাজতে নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী আশরাফুল ইসলামের স্ত্রীর মমতাজ খাতুনের অভিযোগ, স্থানীয় রাজনৈতিক দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব থাকায় একপক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে আমার স্বামীকে ধরে গরু চোরের মামলায় আসামি করে তিনদিন আটকে রেখে নির্যাতন করেছে পুলিশ। আমার স্বামীর নামে কোনো মামলা আছে এসব কিছু কোনোদিন আমি শুনিনি। জেলখানায় আমার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তার সঙ্গে দেখাও করতে দেয়া হয়নি। কোন পরিস্থিতির কারণে আদালতের দেয়া আদেশে সংশোধন অনিবার্য হয়ে পড়েছিল তার একটা প্রামাণিক যোগসূত্র সুস্পষ্ট হয়েছে এসপির দুর্ব্যবহারের প্রতিকার চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর পাঠানো লিখিত অভিযোগপত্রে। সেখানে ওই বিচারক লিখেছেন ‘আমার পরিচয় দিলে তিনি আরো ক্ষিপ্তস্বরে আমাকে বলেন- ‘আপনি এখানে কি করেন? বেয়াদব, বের হয়ে যান এখান থেকে’। সংশ্লিষ্টরা জানান, এসপি এসএম তানভীর আরাফাত আগে থেকেই ওই বিচারকের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। যা কেবল বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে উন্মোচিত হতে পারে ঘটনার প্রকৃত রহস্য। এদিকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌর নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. মহসিন হাসানের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাতকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status