প্রথম পাতা
দশম ও দ্বাদশে নিয়মিত ক্লাস, অন্যদের সপ্তাহে একদিন
সংসদ রিপোর্টার
২৫ জানুয়ারি ২০২১, সোমবার, ৯:৪৩ অপরাহ্ন
আইন সংশোধন করে জাতীয় সংসদে বিল পাসের মধ্য দিয়ে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের
ফল প্রকাশের বাধা দূর হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি গতকাল জাতীয় সংসদে এ সংক্রান্ত তিনটি বিল পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। দু’দিনের মধ্যে গেজেট ও তারপর এইচএসসি’র ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১’, ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’ এবং ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’ পাস হয়। এর আগে বিলগুলোর ওপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার। গত ১৯শে জানুয়ারি সংসদে বিল তিনটি উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তখন মন্ত্রী সংসদকে জানান, শিক্ষার্থীদের ফল ইতিমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে, বিল পাস হলেই তা দ্রুত প্রকাশ করা যাবে। গতকাল বিল পাসের সময় মন্ত্রী জানান, বিল পাস হলে দু’দিন লাগবে গেজেট প্রকাশ করতে, তারপর ফল প্রকাশ করা হবে। ফল প্রকাশ হওয়ার পর এই শিক্ষার্থীদের স্নাতক পর্যায়ের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে বলেও তিনি জানান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে দূরে রাখতে পেরেছি। তবে কওমি মাদ্রাসার অধিকাংশ শিক্ষার্থীই এতিম ও দুস্থ। তাদের বেশিরভাগই আবাসিক। সেখানে তারা থাকার সুযোগ না পেলে তাদের জীবন দুঃসহ অবস্থায় পড়বে। তাই সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে অনেকগুলো শর্ত সাপেক্ষে এটা খোলার অনুমতি দেয়া হয়। এখানেও মানবিকতা ও স্বাস্থ্য সবকিছু বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। এদিকে বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দিতে গিয়ে বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, করোনাকালে বহু শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা থাকলে টেবিলে বসে। একটা পরীক্ষা নেয়া যেত। অটোপাশ দিয়ে দেয়ায় একটি ভয়াবহ সংকট তৈরি হলো। মেধাবীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলো। এ বিষয়ে আরও চিন্তা-ভাবনা করার প্রয়োজন ছিল। গণফোরামের মোকাব্বির খান বলেন, পরীক্ষা ছাড়া পাসের ব্যবস্থা করে শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গেছে। প্যানডেমিক পিরিয়ডের আগে আরো তিনটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সময় এই বিষয়টি চিন্তা করা হলে ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেয়া যেত। জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, পরীক্ষা ছাড়াই প্রকাশের জন্য এ বিলটি আনা হয়েছে। এই বিল না এনে কোনো রাস্তাই ছিল না। কিন্তু আমার মনে হয় অটোপাসের ব্যবস্থা না করে একটি সংক্ষিপ্ত পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা এটা করতে পারতাম। কারণ আমরা অতীতে অটোপাসের ক্ষেত্রে দেখেছি তাদের সারাজীবন একটি বদনামের মধ্য দিয়ে চলতে হয়। জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বিলটির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, এটি সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ বিল। এক বছর মানুষের জীবনের কিছুই নয়। তিনি বলেন, সব স্কুল কলেজ বন্ধ। কিন্তু কওমি মাদ্রাসা খোলা কেন? কওমি মাদ্রাসায়ও অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করবো- এ বিষয়টি যেন দেখেন। বিএনপি’র রুমিন ফারহানা বলেন, অটোপাসের ক্ষেত্রে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দেশেরও ক্ষতি হবে। প্রকৃতপক্ষে দেশে কখনো লকডাউন ছিল না। মুখে বলা হলেও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। সবকিছুই যখন স্বাভাবিকভাবে চলছে, তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন খুলে দেয়া হচ্ছে না। সরকারের এই ভুল সিদ্ধান্তে নতুন প্রজন্মকে মাশুল দিতে হবে। এদিকে পাস হওয়া বিল তিনটির উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, সংশোধিত আইনে বিশেষ পরিস্থিতিতে অতিমারি, মহামারি, দৈব দুর্বিপাকের কারণে বা সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত কোনো অনিবার্য পরিস্থিতিতে কোনো পরীক্ষা গ্রহণ, ফল প্রকাশ এবং সনদ করা সম্ভব না হলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা কোনো বিশেষ বছরে শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা ছাড়াই বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করে উক্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত পদ্ধতিতে মূল্যায়ন এবং সনদ প্রদানের বিষয় উল্লেখ রয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরের পহেলা এপ্রিল থেকে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সরকার পরীক্ষা ছাড়াই মূল্যায়নের মাধ্যমে এইচএসসি ও সমমান শ্রেণির ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু পরীক্ষা ছাড়া ফল প্রকাশে আইনগত জটিলতা দেখা দেয়ায় সরকার আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। বিলের সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাকালে শিক্ষামন্ত্রী সংসদে বলেন, আমাদের প্রস্তুতি নেয়া আছে। ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল তৈরি করে বিল তিনটি অর্ডিনেন্স আকারে পাস করে সঙ্গে সঙ্গে ফল প্রকাশের প্রস্তুতি ছিল। যেহেতু ১৮ই জানুয়ারি সংসদ বসছে তার কারণে অর্ডিন্যান্স আকারে পাস না করে বিল আকারে উত্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিলটি পাস হয়ে গেলে গেজেট প্রকাশের জন্য দু’দিনের মতো সময় লাগবে। তারপরেই আমরা ফলাফল প্রকাশ করতে পারবো। কাজেই এটি নিয়ে বিলম্বের কোনো সুযোগ নেই।
ফল প্রকাশের বাধা দূর হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি গতকাল জাতীয় সংসদে এ সংক্রান্ত তিনটি বিল পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। দু’দিনের মধ্যে গেজেট ও তারপর এইচএসসি’র ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১’, ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’ এবং ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’ পাস হয়। এর আগে বিলগুলোর ওপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার। গত ১৯শে জানুয়ারি সংসদে বিল তিনটি উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তখন মন্ত্রী সংসদকে জানান, শিক্ষার্থীদের ফল ইতিমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে, বিল পাস হলেই তা দ্রুত প্রকাশ করা যাবে। গতকাল বিল পাসের সময় মন্ত্রী জানান, বিল পাস হলে দু’দিন লাগবে গেজেট প্রকাশ করতে, তারপর ফল প্রকাশ করা হবে। ফল প্রকাশ হওয়ার পর এই শিক্ষার্থীদের স্নাতক পর্যায়ের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে বলেও তিনি জানান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে দূরে রাখতে পেরেছি। তবে কওমি মাদ্রাসার অধিকাংশ শিক্ষার্থীই এতিম ও দুস্থ। তাদের বেশিরভাগই আবাসিক। সেখানে তারা থাকার সুযোগ না পেলে তাদের জীবন দুঃসহ অবস্থায় পড়বে। তাই সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে অনেকগুলো শর্ত সাপেক্ষে এটা খোলার অনুমতি দেয়া হয়। এখানেও মানবিকতা ও স্বাস্থ্য সবকিছু বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। এদিকে বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দিতে গিয়ে বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, করোনাকালে বহু শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা থাকলে টেবিলে বসে। একটা পরীক্ষা নেয়া যেত। অটোপাশ দিয়ে দেয়ায় একটি ভয়াবহ সংকট তৈরি হলো। মেধাবীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলো। এ বিষয়ে আরও চিন্তা-ভাবনা করার প্রয়োজন ছিল। গণফোরামের মোকাব্বির খান বলেন, পরীক্ষা ছাড়া পাসের ব্যবস্থা করে শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গেছে। প্যানডেমিক পিরিয়ডের আগে আরো তিনটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সময় এই বিষয়টি চিন্তা করা হলে ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেয়া যেত। জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, পরীক্ষা ছাড়াই প্রকাশের জন্য এ বিলটি আনা হয়েছে। এই বিল না এনে কোনো রাস্তাই ছিল না। কিন্তু আমার মনে হয় অটোপাসের ব্যবস্থা না করে একটি সংক্ষিপ্ত পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা এটা করতে পারতাম। কারণ আমরা অতীতে অটোপাসের ক্ষেত্রে দেখেছি তাদের সারাজীবন একটি বদনামের মধ্য দিয়ে চলতে হয়। জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বিলটির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, এটি সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ বিল। এক বছর মানুষের জীবনের কিছুই নয়। তিনি বলেন, সব স্কুল কলেজ বন্ধ। কিন্তু কওমি মাদ্রাসা খোলা কেন? কওমি মাদ্রাসায়ও অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করবো- এ বিষয়টি যেন দেখেন। বিএনপি’র রুমিন ফারহানা বলেন, অটোপাসের ক্ষেত্রে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দেশেরও ক্ষতি হবে। প্রকৃতপক্ষে দেশে কখনো লকডাউন ছিল না। মুখে বলা হলেও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। সবকিছুই যখন স্বাভাবিকভাবে চলছে, তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন খুলে দেয়া হচ্ছে না। সরকারের এই ভুল সিদ্ধান্তে নতুন প্রজন্মকে মাশুল দিতে হবে। এদিকে পাস হওয়া বিল তিনটির উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, সংশোধিত আইনে বিশেষ পরিস্থিতিতে অতিমারি, মহামারি, দৈব দুর্বিপাকের কারণে বা সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত কোনো অনিবার্য পরিস্থিতিতে কোনো পরীক্ষা গ্রহণ, ফল প্রকাশ এবং সনদ করা সম্ভব না হলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা কোনো বিশেষ বছরে শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা ছাড়াই বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করে উক্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত পদ্ধতিতে মূল্যায়ন এবং সনদ প্রদানের বিষয় উল্লেখ রয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরের পহেলা এপ্রিল থেকে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সরকার পরীক্ষা ছাড়াই মূল্যায়নের মাধ্যমে এইচএসসি ও সমমান শ্রেণির ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু পরীক্ষা ছাড়া ফল প্রকাশে আইনগত জটিলতা দেখা দেয়ায় সরকার আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। বিলের সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাকালে শিক্ষামন্ত্রী সংসদে বলেন, আমাদের প্রস্তুতি নেয়া আছে। ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল তৈরি করে বিল তিনটি অর্ডিনেন্স আকারে পাস করে সঙ্গে সঙ্গে ফল প্রকাশের প্রস্তুতি ছিল। যেহেতু ১৮ই জানুয়ারি সংসদ বসছে তার কারণে অর্ডিন্যান্স আকারে পাস না করে বিল আকারে উত্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিলটি পাস হয়ে গেলে গেজেট প্রকাশের জন্য দু’দিনের মতো সময় লাগবে। তারপরেই আমরা ফলাফল প্রকাশ করতে পারবো। কাজেই এটি নিয়ে বিলম্বের কোনো সুযোগ নেই।