অনলাইন
দাতব্য সংস্থা ফেয়ারশেয়ার প্রতি সপ্তাহে বৃটেনের ২ মিলিয়ন দরিদ্রকে খাবার সরবরাহ করে
লন্ডন থেকে প্রতিনিধি
২৪ জানুয়ারি ২০২১, রবিবার, ২:২০ অপরাহ্ন
ফাইল ফটো
ফেয়ারশেয়ার দাতব্য সংস্থা প্রতি সপ্তাহে বৃটেনের ২ মিলিয়ন দরিদ্রকে খাবার সরবরাহ করে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। তাদের তথ্য মতে, বৃটেনের প্রায় ৬৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে প্রতি আট জনে একজনের পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার নেই। দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারী লোকেরা খাদ্যের বিভিন্নতা এবং মানের সাথে আপোস করতে বাধ্য হয়। তারা খাবার পরিমাণ হ্রাস করার ফলে অনেকটা ক্ষুধার্ত থেকে যায়।
কেবল প্রাপ্ত বয়স্করা নয়, পাঁচজনের মধ্যে একটি শিশু এমন পরিবারে বেড়ে ওঠে, যেখানে খাবারের অভাব হয়। আরও চারজনের মধ্যে একজন দারিদ্র্যে বেড়ে উঠে, যার সরাসরি প্রভাব পিতামাতাদের উপর পড়ে। যারা অর্থের অভাবে নিয়মিত যথাযত খাবার খেতে পারেনা।
অথচ প্রতি বছর অবিশ্বাস্য পরিমাণ খাদ্য বর্জ্য হিসেবে পরিত্যক্ত হয়। ফেলে দেয়া খাবারের এক চতুর্থাংশ বিশ্বজুড়ে ৮৭০ মিলিয়ন ক্ষুধার্ত লোকদের খাওয়ানো সম্ভব। শুধুমাত্র ইউরোপে পরিত্যক্ত খাদ্য ২০০ মিলিয়ন লোককে খাওয়ানো যায়। বৃটেনে প্রতি বছর ১.৩ বিলিয়ন টন খাদ্য ফেলে দেয়া হয়। যার মূল্য প্রায় ৫২২ বিলিয়ন পাউন্ড। এই পরিমাণ খাদ্য ৮.৪ মিলিয়ন দারিদ্র লোককে প্রতি বছর ১৬২ বার খাওয়ানো যাবে।
এই ইস্যুটি মোকাবেলায় কাজ করছে বৃটেনের বৃহত্তম খাদ্য পুনরায় বিতরণকারী দাতব্য সংস্থা ফেয়ারশেয়ার। পুরো দেশ জুড়ে ৩০টিরও বেশি গুদাম তথা ওয়ারহাউজ ব্যবহার করে ১১ হাজার ফ্রন্টলাইন সংস্থার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তা পুনরায় বিতরণ করা হয়।
ফেয়ারশেয়ার কর্তৃক বিতরণকৃত খাবার পুষ্টিকর এবং তরতাজা। একেবারে ঘরের খাবারের মতো। যেমন ফল, শাক-সবজি, মাংস এবং দুগ্ধজাত পণ্য। গৃহহীন হোস্টেল, স্কুল প্রাতঃরাশ ক্লাব, পারিবারিক সহিংসতায় রিফিউজি, প্রবীণদের লাঞ্চ ক্লাব, খাদ্য ব্যাংক এবং আশ্রয় কেন্দ্রগুলি ফেয়ারশেয়ারের সাহায্যের উপর নির্ভর করে।
কোভিড মহামারির সময় এই দাতব্য প্রতিষ্ঠানের চাহিদা আরো বেড়েছে। শীতকালের সেবা কর্মের জন্য এই দাতব্য সংস্থা ব্যাপক ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী কয়েক মাস ধরে ফেয়ারশেয়ার আরো বেশি লোককে সহায়তা দিতে চায়। বিশেষ করে নাইট শেল্টার এবং স্কুল ছুটির প্রকল্প গুলিতে খাবার সরবরাহ করবে।
গত বছর ফেয়ারশেয়ার ৪৫ হাজার টনেরও বেশি খাবার অপচয় থেকে বাঁচিয়েছে। সংস্থাটি ইতিমধ্যে ৬০ মিলিয়নের বেশি প্যাকেজ খাবার সরবরাহ করেছে। প্রতি সপ্তাহে ফেয়ারশেয়ার ২ মিলিয়ন লোককে খাওয়ায় এবং বৃটেনের অর্থনীতিতে প্রায় ৫১ মিলিয়ন পাউন্ড বাঁচায়।
বার্কলেজ ব্যাংক এই শীতে দাতব্য সংস্থা ফেয়ারশেয়ারকে সমর্থন করছে। কারণ তারা এর মাধ্যমে কোভিড-১৯ কমিউনিটির জন্য সহায়তা চালিয়ে যাচ্ছে। ফেয়ারশেয়ারের সহায়তায় দারিদ্র মোকাবেলায় সহায়তা করছে। যে কেউ ১ পাউন্ড দিলে বার্কলেজ এতে ২ পাউন্ড যোগ করবে। এভাবে ২৮ ফেব্রুয়ারি অবধি মোট ১ মিলিয়ন পাউন্ড দান করবে।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। যারা স্কুলে দুপুরের খাবার পেত, স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সে খাবারও বন্ধ। কী হবে সেই সব শিশুদের? সুবিধাবঞ্চিত এই শিশুদের কথা চিন্তা করে এমন চমৎকার উদ্যোগ গ্রহন করেছেন বৃটেনের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফরোয়ার্ড মার্কাস রাশফোর্ড। ২২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড ফেয়ারশেয়ার দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের খাবার বিতরণ করে যাচ্ছেন।
রাশফোর্ড বলেন, আমি যখন স্কুলে বিনা মূল্যে খাবার পেতাম সেই সময়টার কথা আমার মনে আছে। আমার মা বাড়িতে আসতেন সন্ধ্যা ৬টায়। তাই খাবার পেতে ৮টা বেজে যেত। এমন অনেক শিশু আছে যারা আরও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। তারা অনেক সময় বাড়িতে যথাযথ খাবার পায় না। এদের জন্য আমাদের অবশ্য করণীয় রয়েছে।
গত মৌসুমে ৪৪ ম্যাচে ২২ গোল করা রাশফফোর্ড এ মৌসুমেও ভালো খেলছেন। মাঠ ও মাঠের বাইরে এ বয়সেই তিনি বৃটেনে অন্যতম রোল মডেল। সম্প্রতি পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠন থেকে পুরষ্কার লাভ করেন তিনি। ফেয়ারশেয়ারের মাধ্যমে দাতব্য কাজের জন্য সম্প্রতি মার্কাস রাশফোর্ড বৃটেনের রানীর কাছ থেকে এমবিই (মেম্বার অব দ্য মোস্ট এক্সিলেন্ট অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার) সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
কেবল প্রাপ্ত বয়স্করা নয়, পাঁচজনের মধ্যে একটি শিশু এমন পরিবারে বেড়ে ওঠে, যেখানে খাবারের অভাব হয়। আরও চারজনের মধ্যে একজন দারিদ্র্যে বেড়ে উঠে, যার সরাসরি প্রভাব পিতামাতাদের উপর পড়ে। যারা অর্থের অভাবে নিয়মিত যথাযত খাবার খেতে পারেনা।
অথচ প্রতি বছর অবিশ্বাস্য পরিমাণ খাদ্য বর্জ্য হিসেবে পরিত্যক্ত হয়। ফেলে দেয়া খাবারের এক চতুর্থাংশ বিশ্বজুড়ে ৮৭০ মিলিয়ন ক্ষুধার্ত লোকদের খাওয়ানো সম্ভব। শুধুমাত্র ইউরোপে পরিত্যক্ত খাদ্য ২০০ মিলিয়ন লোককে খাওয়ানো যায়। বৃটেনে প্রতি বছর ১.৩ বিলিয়ন টন খাদ্য ফেলে দেয়া হয়। যার মূল্য প্রায় ৫২২ বিলিয়ন পাউন্ড। এই পরিমাণ খাদ্য ৮.৪ মিলিয়ন দারিদ্র লোককে প্রতি বছর ১৬২ বার খাওয়ানো যাবে।
এই ইস্যুটি মোকাবেলায় কাজ করছে বৃটেনের বৃহত্তম খাদ্য পুনরায় বিতরণকারী দাতব্য সংস্থা ফেয়ারশেয়ার। পুরো দেশ জুড়ে ৩০টিরও বেশি গুদাম তথা ওয়ারহাউজ ব্যবহার করে ১১ হাজার ফ্রন্টলাইন সংস্থার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তা পুনরায় বিতরণ করা হয়।
ফেয়ারশেয়ার কর্তৃক বিতরণকৃত খাবার পুষ্টিকর এবং তরতাজা। একেবারে ঘরের খাবারের মতো। যেমন ফল, শাক-সবজি, মাংস এবং দুগ্ধজাত পণ্য। গৃহহীন হোস্টেল, স্কুল প্রাতঃরাশ ক্লাব, পারিবারিক সহিংসতায় রিফিউজি, প্রবীণদের লাঞ্চ ক্লাব, খাদ্য ব্যাংক এবং আশ্রয় কেন্দ্রগুলি ফেয়ারশেয়ারের সাহায্যের উপর নির্ভর করে।
কোভিড মহামারির সময় এই দাতব্য প্রতিষ্ঠানের চাহিদা আরো বেড়েছে। শীতকালের সেবা কর্মের জন্য এই দাতব্য সংস্থা ব্যাপক ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী কয়েক মাস ধরে ফেয়ারশেয়ার আরো বেশি লোককে সহায়তা দিতে চায়। বিশেষ করে নাইট শেল্টার এবং স্কুল ছুটির প্রকল্প গুলিতে খাবার সরবরাহ করবে।
গত বছর ফেয়ারশেয়ার ৪৫ হাজার টনেরও বেশি খাবার অপচয় থেকে বাঁচিয়েছে। সংস্থাটি ইতিমধ্যে ৬০ মিলিয়নের বেশি প্যাকেজ খাবার সরবরাহ করেছে। প্রতি সপ্তাহে ফেয়ারশেয়ার ২ মিলিয়ন লোককে খাওয়ায় এবং বৃটেনের অর্থনীতিতে প্রায় ৫১ মিলিয়ন পাউন্ড বাঁচায়।
বার্কলেজ ব্যাংক এই শীতে দাতব্য সংস্থা ফেয়ারশেয়ারকে সমর্থন করছে। কারণ তারা এর মাধ্যমে কোভিড-১৯ কমিউনিটির জন্য সহায়তা চালিয়ে যাচ্ছে। ফেয়ারশেয়ারের সহায়তায় দারিদ্র মোকাবেলায় সহায়তা করছে। যে কেউ ১ পাউন্ড দিলে বার্কলেজ এতে ২ পাউন্ড যোগ করবে। এভাবে ২৮ ফেব্রুয়ারি অবধি মোট ১ মিলিয়ন পাউন্ড দান করবে।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। যারা স্কুলে দুপুরের খাবার পেত, স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সে খাবারও বন্ধ। কী হবে সেই সব শিশুদের? সুবিধাবঞ্চিত এই শিশুদের কথা চিন্তা করে এমন চমৎকার উদ্যোগ গ্রহন করেছেন বৃটেনের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফরোয়ার্ড মার্কাস রাশফোর্ড। ২২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড ফেয়ারশেয়ার দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের খাবার বিতরণ করে যাচ্ছেন।
রাশফোর্ড বলেন, আমি যখন স্কুলে বিনা মূল্যে খাবার পেতাম সেই সময়টার কথা আমার মনে আছে। আমার মা বাড়িতে আসতেন সন্ধ্যা ৬টায়। তাই খাবার পেতে ৮টা বেজে যেত। এমন অনেক শিশু আছে যারা আরও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। তারা অনেক সময় বাড়িতে যথাযথ খাবার পায় না। এদের জন্য আমাদের অবশ্য করণীয় রয়েছে।
গত মৌসুমে ৪৪ ম্যাচে ২২ গোল করা রাশফফোর্ড এ মৌসুমেও ভালো খেলছেন। মাঠ ও মাঠের বাইরে এ বয়সেই তিনি বৃটেনে অন্যতম রোল মডেল। সম্প্রতি পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠন থেকে পুরষ্কার লাভ করেন তিনি। ফেয়ারশেয়ারের মাধ্যমে দাতব্য কাজের জন্য সম্প্রতি মার্কাস রাশফোর্ড বৃটেনের রানীর কাছ থেকে এমবিই (মেম্বার অব দ্য মোস্ট এক্সিলেন্ট অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার) সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।