ভ্যাকসিনে বিব্রত ব্রাজিল

খানিকটা দেরি হয়ে গেল। অন্য দেশের তুলনায় ব্রাজিলের ভ্যাকসিন শুরু হতে দেরি হল। আর তাতেই মাথায় হাত ব্রাজিল সরকারের। ইতিমধ্যেই ব্রাজিলে করোনার দ্বিতীয় প্রবাহ শুরু হয়ে গেছে। প্রচুর মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই হাতে যে ভ্যাকসিন রয়েছে তা পর্যাপ্ত নয় বলেই মনে করছেন সেখানকার চিকিৎসকরা। টাইমসের খবর অনুসারে, এবার বোলসোনারো সরকারের বিরুদ্ধে আসরে নেমেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। কেন ভ্যাকসিন শুরু হতে এতটা দেরি হয়ে গেল তা নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। এই কাজে সরকার কেন আগে পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি তা নিয়ে শুরু হয়েছে ক্ষোভ। প্রতিবাদে ব্রাজিলের পথে শুরু হয়েছে বোলসেনারো বিরোধী শ্লোগানও। চীন, বৃটেন এবং ভারত থেকে ভ্যাকসিনের বিপুল ডোজ অর্ডার দিয়েছে ব্রাজিল সরকার। তবে সেগুলি সেখানে পৌছাতে কিছুটা সময় তো লাগবে। তাই দেশের মানুষকে ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দিয়েছে ব্রাজিল সরকার। ইতিমধ্যেই সাওপাওলোতে ভ্যাকসিনের কাজ শুরু হয়েছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত নয় বলে ক্ষিপ্ত ব্রাজিলবাসী। ব্রাজিলে এখনও প্রতিদিন প্রায় এক হাজারের বেশি মানুষ করোনার শিকার হচ্ছেন। তাই সাধারন মানুষ আর নিজেদের ধরে রাখতে পারছেন না। দ্রুত ভ্যাকসিন নিয়ে তারা এই মারণ ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ চাইছেন। দ্রুত ভ্যাকসিন দিয়ে দেশের মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাইছে সেখানকার সরকার। প্রথম দফায় ৫০ মিলিয়ন মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার টার্গেট রেখেছে সেখানকার সরকার। দ্রুত যাতে সেকাজ করা যায় তা করতে মরিয়া সেখানকার সরকার। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই বোলসেনারো সরকারকে কোণঠাসা করতে চাইছে। তবে পেলের দেশ যে দ্রুত এই মারণ রোগ থেকে মুক্তি পেতে চাইছে সেকথা তাদের কাজ থেকেই স্পষ্ট।