অনলাইন
মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি
ধীরে চলো নীতিতে বাইডেন
হেলাল উদ্দীন রানা, যুক্তরাষ্ট্র থেকে
২৪ জানুয়ারি ২০২১, রবিবার, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে সহসা কোন রকমের নাটকীয় পরিবর্তন আসছেনা।বাইডেন এক্ষেত্রে অনেকটা ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করে অগ্রসর হচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে।আপাতত ট্রাম্প প্রশাসনের অনেক বৈদেশিক নীতি মেনে চলবে বাইডেন প্রসাশন এমন আভাস স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এনিয়ে ভক্স নিউজ ডট কম সহ কিছু মার্কিন সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছে।
বাইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যান্হনি ব্লিনকিনস সিনেটে কনর্ফারমেশন শুনানিতে বলেছেন, চীন, ভেনিজুয়েলা বা ইউক্রেনে ট্রাম্পের গৃহীত নীতিমালা বহাল থাকবে। সমাজতান্ত্রিক মাদুরো সরকারের প্রতি অবরোধ আরো কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্লিনকিন।পাশাপাশি রাশিয়াকে মোকাবিলায় ইউক্রেনকে ধ্বংসাত্মক অস্ত্র সরবরাহের নীতিও অনুসৃত হবে। চীনের ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসনের নেয়া নীতিমালা থেকে আমেরিকা ঠিক এখনই সরে আসবে না।
মধ্যপ্রাচ্য নীতিও প্রায় অপরিবর্তিত থাকছে বাইডেন প্রশাসনের। জেরুজালেমকে ইসরায়েলর রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্হাপন করে।এটিও আপাতত বহাল থাকছে।যদিও যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ দিনের ইসরায়েল-ফিলিস্তিন নীতি থেকে ট্রাম্প বের করে নিয়ে আসেন আমেরিকাকে।ফলে ওই অঞ্চলে সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে।যা বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।
ব্লিনকিন বলছেন, রাশিয়া ও জার্মানির মধ্যে পাইপ লাইন স্হাপনে বিরোধীতা করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রশাসন মনে করে এতে কেবল জার্মানি নয় গোটা ইউরোপ রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে পারে।রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বা উন্নয়ন ঘটানোর সহসা কোন পরিকল্পনাও নেই বাইডেন প্রশাসনের। জো বাইডেন নির্বাচনি প্রচারণার সময় বলেছিলেন ইরানের সাথে নিউক্লিয়ার আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র আবার ফিরে যাবে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি এখন বলছেন ইরানের সাথে এমন সমঝোতায় যেতে হলেও দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে।
চীনে মুসলমানদের প্রতি দমন নিপীড়ন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের গৃহীত সিদ্ধান্ত সঠিক ছিলো বলে উল্লেখ করেছেন নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকিন। চীনের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গিতে কিছু পরিবর্তন হলেও মূল অবস্থানের কোন পরিবর্তন হবে না বলেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন বলেছেন। বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় বাইডেন প্রশাসনের পক্ষে ডনাল্ড ট্রাম্পের সমূহ বৈদেশিক নীতি থেকে একদম ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। যদিও পরিবর্তনের কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা করে বৈদেশিক নীতিতে কতোটা পরিবর্তন আসবে বাইডেন প্রসশাসনের সময়, এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরাও নিশ্চিত নন।
দৃশ্যমান পরিবর্তনের মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত পাল্টে যুক্তরাষ্ট্র প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে আবার যোগদানের ঘোষণা দিয়েছে। ক্ষমতায় এসেই প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় পুনরায় যোগদানের নির্দেশ জারী করেছেন।মুসলমান দেশগুলো থেকে আমেরিকায় প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাতিল করেছেন প্রেসিডেন্ট ।
দৃশ্যত এসব পরিবর্তন ছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে উল্লেখযোগ্য অন্য পরিবর্তন হচ্ছে, সৌদি আরবের নেতৃত্বে ইয়েমেনের সাথে যুদ্ধকে সমর্থন জানানো।আমেরিকান ইউনিভার্সিটির পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক অধ্যাপক জর্ডান টামা বলেছেন, ট্রাম্পের নেয়া সব পররাষ্ট্রনীতি ভুল ছিল তা নয়। অতএব বাইডেন প্রশাসনের এখানে ধীরে সুস্থে এগুলেও ক্ষতি নেই।
বাইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যান্হনি ব্লিনকিনস সিনেটে কনর্ফারমেশন শুনানিতে বলেছেন, চীন, ভেনিজুয়েলা বা ইউক্রেনে ট্রাম্পের গৃহীত নীতিমালা বহাল থাকবে। সমাজতান্ত্রিক মাদুরো সরকারের প্রতি অবরোধ আরো কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্লিনকিন।পাশাপাশি রাশিয়াকে মোকাবিলায় ইউক্রেনকে ধ্বংসাত্মক অস্ত্র সরবরাহের নীতিও অনুসৃত হবে। চীনের ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসনের নেয়া নীতিমালা থেকে আমেরিকা ঠিক এখনই সরে আসবে না।
মধ্যপ্রাচ্য নীতিও প্রায় অপরিবর্তিত থাকছে বাইডেন প্রশাসনের। জেরুজালেমকে ইসরায়েলর রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্হাপন করে।এটিও আপাতত বহাল থাকছে।যদিও যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ দিনের ইসরায়েল-ফিলিস্তিন নীতি থেকে ট্রাম্প বের করে নিয়ে আসেন আমেরিকাকে।ফলে ওই অঞ্চলে সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে।যা বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।
ব্লিনকিন বলছেন, রাশিয়া ও জার্মানির মধ্যে পাইপ লাইন স্হাপনে বিরোধীতা করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রশাসন মনে করে এতে কেবল জার্মানি নয় গোটা ইউরোপ রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে পারে।রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বা উন্নয়ন ঘটানোর সহসা কোন পরিকল্পনাও নেই বাইডেন প্রশাসনের। জো বাইডেন নির্বাচনি প্রচারণার সময় বলেছিলেন ইরানের সাথে নিউক্লিয়ার আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র আবার ফিরে যাবে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি এখন বলছেন ইরানের সাথে এমন সমঝোতায় যেতে হলেও দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে।
চীনে মুসলমানদের প্রতি দমন নিপীড়ন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের গৃহীত সিদ্ধান্ত সঠিক ছিলো বলে উল্লেখ করেছেন নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকিন। চীনের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গিতে কিছু পরিবর্তন হলেও মূল অবস্থানের কোন পরিবর্তন হবে না বলেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন বলেছেন। বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় বাইডেন প্রশাসনের পক্ষে ডনাল্ড ট্রাম্পের সমূহ বৈদেশিক নীতি থেকে একদম ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। যদিও পরিবর্তনের কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা করে বৈদেশিক নীতিতে কতোটা পরিবর্তন আসবে বাইডেন প্রসশাসনের সময়, এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরাও নিশ্চিত নন।
দৃশ্যমান পরিবর্তনের মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত পাল্টে যুক্তরাষ্ট্র প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে আবার যোগদানের ঘোষণা দিয়েছে। ক্ষমতায় এসেই প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় পুনরায় যোগদানের নির্দেশ জারী করেছেন।মুসলমান দেশগুলো থেকে আমেরিকায় প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাতিল করেছেন প্রেসিডেন্ট ।
দৃশ্যত এসব পরিবর্তন ছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে উল্লেখযোগ্য অন্য পরিবর্তন হচ্ছে, সৌদি আরবের নেতৃত্বে ইয়েমেনের সাথে যুদ্ধকে সমর্থন জানানো।আমেরিকান ইউনিভার্সিটির পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক অধ্যাপক জর্ডান টামা বলেছেন, ট্রাম্পের নেয়া সব পররাষ্ট্রনীতি ভুল ছিল তা নয়। অতএব বাইডেন প্রশাসনের এখানে ধীরে সুস্থে এগুলেও ক্ষতি নেই।