বাংলারজমিন

মনোহরগঞ্জে বিধবার মুখে হাসি

লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

২৩ জানুয়ারি ২০২১, শনিবার, ৮:১০ অপরাহ্ন

এক অসহায় বিধবা আকলিমা বেগম (৬৫)। নেই কোনো ঘর। ভাঙা নড়বড়ে ঘর। সে ঘরে বিদ্যুৎ নেই। অন্ধকারে থাকে আকলিমা বেগমসহ তার প্রতিবন্ধী এক ছেলে ও মেয়ে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে খবর পান স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। ঘোষণা দেন ঘর দেওয়ার। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর জিএম’কে নির্দেশ দেন বিদ্যুৎ দেয়ার জন্য। বিদ্যুতের আলো পৌঁছে যায় বিধবার ঘরে। প্রায় ২ যুগ পর অন্ধকার থেকে মুক্তি পায় আকলিমা।
মনোহরঞ্জ উপজেলা দক্ষিন ফেনুয়া মিজি বাড়ির বিধবা আকলিমা বেগম। এক ছেলে প্রতিবন্ধী। মেয়েকে বিয়ে দেন নাঙ্গলকোট এলাকায়। আকলিমা বয়স্ক ও বিধবা ভাতা দিয়ে সংসার চলে। যে ঘরে থাকে তাও জরাজীর্ণ। টাকার অভাবে বিদ্যুৎ নিতে পারেননি। রাতের বেলা অন্ধকারে থাকেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে খবর পান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঘর দেয়ার ঘোষণা দেন। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-৪ এর জিএম’কে নির্দেশ দেন বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য। তাৎক্ষণিকভাবে ঘর ওয়্যারিং করে দেয়া হয়। লাইট, ফ্যান, বিদ্যুৎ মিটার সহ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। জিএম দিলীপ চন্দ্র চৌধুরী নিজ উদ্যোগে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করার জন্য নগদ অর্থ প্রদান করেন। বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন মনোহরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম সাখাওয়াত হোসেন, উত্তর হাওলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হান্নান হিরণ, যুবলীগ নেতা ফয়জুল্লাহ, স্থানীয় মেম্বার মো. আলাউদ্দিন ও জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ। বিধবা আকলিমা বেগমকে নতুন ঘর দেওয়ার  ঘোষণা শুনে ও বিদ্যুতের ঝলমল আলো, ফ্যান, লাইট পেয়ে মহা খুশি। দু’হাত উঠিয়ে  স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামকে দীর্ঘজীবী হওয়ার জন্য দোয়া করেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status