বিনোদন
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী
স্টাফ রিপোর্টার
২২ জানুয়ারি ২০২১, শুক্রবার, ১২:৪৫ অপরাহ্ন
অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারী এই দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন এই কিংবদন্তি । ১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলি বাদল’ সিনেমার মাধ্যমে সুরকার ও সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর আমৃত্যু নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন সংগীতের সাধনায়। ৭০’এর দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে দেশাত্মবোধক গান দিয়ে সুরকার হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। ১৯৮৪ সালে ‘নয়নের আলো’ সিনেমায় তার লেখা ও সুরে ‘আমার সারাদেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বাবার মুখে’, ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’, ‘আমি তোমার দুটি চোখের দুটি তারা হয়ে’ গানগুলো তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। তারপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি। তার সুর ও সংগীতে উল্লেখযোগ্য গানের তালিকায় রয়েছে - ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘মাঝি নাও ছাইড়া দে’, ‘সেই রেললাইনের ধারে’, ‘সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য’, ‘একতারা লাগে না আমার দোতারাও লাগে না’, ‘আমার সারা দেহ খেও গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’, ‘আমি তোমার দুটি চোখে দুটি তারা হয়ে থাকব’, ‘আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে’, ‘পৃথিবীর যত সুখ আমি তোমারই ছোঁয়াতে খুঁজে পেয়েছি’, ‘তোমায় দেখলে মনে হয়’, ‘বাজারে যাচাই করে দেখিনি তো দাম’, ‘আম্মাজান আম্মাজান’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে’, ‘ঘুমিয়ে থাকো গো সজনী, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘তুমি আমার এমনই একজন’ ‘একাত্তরের মা জননী কোথায় তোমার মুক্তিসেনার দল’। এরমধ্যে অনেকগান তিনি নিজেই লিখেছেন। ‘প্রেমের তাজমহল’ সিনেমার জন্য তিনি ২০০১ সালে এবং ‘হাজার বছর ধরে’ সিনেমার জন্য ২০০৫ সালে শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেনে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। দেশের সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১০ সালে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে সরকার একুশে পদকে ভূষিত করে। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৫৭ সালের ১লা জানুয়ারি জন্মগ্রহন করেন।