অনলাইন

টিকা আসা ভালো খবর

ভারতে কী হয় পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন

স্টাফ রিপোর্টার

২২ জানুয়ারি ২০২১, শুক্রবার, ৯:২৩ পূর্বাহ্ন

করোনার ভ্যাকসিন দেশে আসা ভালো খবর বলে মন্তব্য করেছেন সিঙ্গাপুরে থাকা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। মানবজমিনকে বলেন, ভ্যাকসিন এসেছে এটা নিঃসন্দেহে ভালো খবর। ভ্যাকসিনতো দিতেই হবে। এবং ভ্যাকসিন যেহেতু পাওয়া গেছে তাই দেয়া উচিত। এটা বৃটেন, ভারতে ট্রায়াল হয়েছে। একটু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকবেই। ছোট সময়ে যখন আমাদের বিভিন্ন বড় বড় রোগের টিকা দেয়া হয়েছে তারও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল। সেই টিকার দাগ এখনো আমাদের শরীরে রয়েছে। কাজেই এক্ষেত্রে আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মনে সাহস যোগাতে হবে। প্রত্যেক জিনিসেরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম-বেশি থাকে। এই টিকা দেয়ার পরে জ্বর আসার মতো কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। আর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না হলে তো মনে করতে হবে ওষুধ কাজ করছে না। ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
তিনি বলেন, ভারত থেকে আমাদের দেশে ভ্যাকসিন উপহার এসেছে। এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু করার ক্ষেত্রে সরকারের কিছু নিজস্ব গাইডলাইন, শৃঙ্খলা এবং প্রশিক্ষণ ইত্যাদি বিষয় রয়েছে। কোথায়, কীভাবে, কাদেরকে টিকা দেয়া হবে, যাদের দিয়ে টিকা দেয়া হবে তাদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করা ইত্যাদি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে দুই সপ্তাহ সময় এমনিতেই লেগে যাবে। আর এই সময়ের মধ্যে ভারতসহ অন্যান্য দেশে টিকা গ্রহণের পর কি কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হয়েছে সেটা আমাদের কাছে স্পষ্ট হবে। এই বিজ্ঞানী বলেন, স্বাস্থ্য সেবার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাংবাদিকদের প্রথমে টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ভারতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যাপকহারে ব্যবহার হচ্ছে। সেখানে এর ফলাফল কী আসে সেটি দেখার জন্য আমাদের অন্তত ১৫ দিন অপেক্ষা করা প্রয়োজন। এই সময়টাতে আমাদের দেশের মানুষও ভারতের ভ্যাকসিনের ফলাফলটা দেখতে পাবেন। প্রতিবেশী দেশ ভারতে এ টিকার ফল ভালো হলে আমাদের দেশের মানুষের দুশ্চিন্তা চলে যাবে।
ড. বিজন বলেন, দুই দেশের মানুষ তো একই রকম। সুতরাং ভারতে যে ফলাফল আসবে সেটা এখানেও আশা করা যায়। ভারতে ভ্যাকসিন দেয়ার পর যদি কোনো প্রতিক্রিয়া হয়, তাহলে এর মধ্যেই হয়ে যাবে। তখন মানুষের মনে প্রশ্ন কম থাকবে। এছাড়া, টিকা আসার পর পুরো প্রক্রিয়া সেটআপ করতেও সময়ের প্রয়োজন। কাদেরকে টিকা দেয়া হবে তাদের নির্বাচন করা। যাদের দিয়ে টিকা দেবে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া। সব মিলিয়ে অন্তত দুই সপ্তাহ সময় লেগে যাবে। দুই সপ্তাহের মধ্যে ভারতের পরিস্থিতি বোঝা যাবে। দেশের স্বাস্থ্যবিভাগ ও সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, তারা যদি ভারতের টিকা দেয়ার পরবর্তী ফলাফলটা ভালো করে লক্ষ্য করেন এবং তথ্য আদানপ্রদান করেন, তাহলে ভালো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবেন। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা, করোনা মোকাবিলায় নিয়োজিত ফ্রন্টলাইনার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী, সম্মুখসারির কর্মী, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠী, বয়োজ্যেষ্ঠ জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী, শিক্ষাকর্মী ও গণপরিবহনকর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়ার বিষয়টি সঠিক সিদ্ধান্ত। এছাড়া সরকারের যদি  যথেষ্ট ভ্যাকসিন থাকে তাহলে ফার্মাসিউটিক্যালস এবং গার্মেন্টে যারা কর্মরত আছেন তাদেরকেও ভ্যাকসিন দেয়ার বিষয়ে চিন্তা করা যেতে পারে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status