বিশ্বজমিন

ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন

ভারতের ভ্যাকসিন কূটনীতি, ৬ দেশে টিকা পাঠানো শুরু

মানবজমিন ডেস্ক

২০ জানুয়ারি ২০২১, বুধবার, ২:১৭ অপরাহ্ন

শুরু হয়েছে ভারতের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কূটনীতি। এরই অংশ হিসেবে তারা প্রতিবেশী বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল, মিয়ানমার ও সিসিলিকে টিকা পাঠাচ্ছে আজ থেকে। তবে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও মৌরিতিয়াস সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে ভারত। নিয়ন্ত্রক সংস্থা ক্লিয়ারেন্স দিলেই সেখানে টিকা পাঠাবে তারা। অনলাইন ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, করোনা ভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে আজ বুধবার থেকেই টিকা পাঠানো শুরু করেছে ভারত। এদিন মুম্বইয়ের ছত্রাপতি শিভাজি মহারাজ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া উৎপাদিত টিকা কোভিশিল্ডের দেড় লাখ ডোজের প্রথম চালান পাঠানো হয়েছে ভুটানে। এই টিকা নিয়ে বিমান অবতরণ করবে ভুটানের থিম্পুতে। মুম্বইয়ের বিমানবন্দর থেকে মালদ্বীপের রাজধানী মালে’তে দেড় লাখ ডোজ টিকা পাঠাচ্ছে ভারত। এতে আরো বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্যসেবায় দীর্ঘদিনের আস্থাভাজন একজন অংশীদার হতে পেরে ভারত খুব বেশি সম্মানীত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রতিবেশী কিছু দেশ এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার দেশগুলোর পক্ষ থেকে ভারতে তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকা সরবরাহ দেয়ার জন্য বেশ কিছু অনুরোধ পেয়েছে সরকার। এসব অনুরোধের প্রেক্ষিতে ভারত তার প্রতিশ্রুতি রাখছে। কারণ, করোনা মহামারিতে মানবতার পক্ষে লড়াইয়ে ভারত টিকা উৎপাদন এবং বিতরণ সক্ষমতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের টিকা বেশ কিছু দেশের কাছে পাঠানো শুরু হচ্ছে আজ বুধবার। আরও টিকা সামনের দিনগুলোতে পাঠানো হবে। এমনটাই টুইট করে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ থেকে করোনা ভাইরাসের টিকা বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল, মিয়ানমার ও সিসিলিকে সরবরাহ দেয়া শুরু করেছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আভ্যন্তরীণ চাহিদা সত্ত্বেও ভারত আগামী কয়েক সপ্তাহে ও মাসে অংশীদার দেশগুলোকে করোনা ভাইরাসের টিকা সরবরাহ দেয়া অব্যাহত রাখবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও নিশ্চিত করেছে এবং জোর দিয়ে বলেছে, বিদেশে সরবরাহ দেয়া সত্ত্বেও আভ্যন্তরীণ টিকা উৎপাদনকারীদের কাছে দেশের চাহিদা মেটানোর মতো পর্যাপ্ত টিকার মজুদ থাকবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, ২০২০ সালে করোনা মহামারি মোকাবিলার জন্য বেশ কিছু দেশকে ভারত সরবরাহ করেছে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, রেমডিসিভির এবং প্যারাসেটামল ট্যাবলেট। এর পাশাপাশি তারা সরবরাহ দিয়েছে করোনা শনাক্তকরণ কিট, ভেন্টিলেটর, মাস্ক, গ্লোভস ও অন্যান্য মেডিকেল সরঞ্জাম। এ ছাড়া প্রতিবেশী অনেক দেশকে এক্সেলারেটিং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অধীনে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ক্লিনিক্যাল সক্ষমতা বাড়াতে। আলাদাভাবে, ইন্ডিয়ান টেকনিক্যাল এন্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের অধীনে অংশীদার দেশগুলোর স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রশাসকদের প্রশিক্ষণ আয়োজন করেছে। এ সময়ে করোনা মহামারি মোকাবিলায় ভারত তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছে। এ ছাড়া সারাবিশ্বে করোনার টিকা সরবরাহ অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে ভারত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, আভ্যন্তরীণ চাহিদা ও আন্তর্জাতিক চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এসব করা হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status