শেষের পাতা

সরকারি মালামাল ক্রয়ে অনিয়মের কড়া সমালোচনা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

১৯ জানুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:৩৩ অপরাহ্ন

সরকারি কাজে মালামাল ক্রয়ে অনিয়মের কড়া সমালোচনা করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান (বিবিএস) ভবনে আয়োজিত জনশুমারির জোনাল অপারেশন (প্রথম) প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই সমালোচনা করেন। জনগণের টাকা বাঁচাতে হবে জানিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, টাকা আমাকে বাঁচাতে
হবে। কারণ পরের টাকা তো এটা; জনগণের টাকা। তিনি বলেন, যে লোক টাকা দিচ্ছে, সে নিজে কিন্তু খরচ করতে পারছে না। তার ঘরে গিয়ে দেখেন, আমার মতো বসার কোনো চেয়ার-টেবিল নেই। তারা মেঝেতে বসে কাজ করছে। অথচ তারা দেশের মালিক।
এমএ মান্নান বলেন, আজকের বাজার আজকেই করবো। তবে অনেক গৃহিণী টাকা বাঁচানোর জন্য এক মাসের বাজার করে রাখেন। সেটা আগাম। তবে কোনো গৃহিণী যদি ২ বছর আগের মালপত্র আজ কেনেন, তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে। পিয়াজ, আলু থাকবে না। কোনটা দুই বছর রাখা যায়, গৃহিণী ভালো বোঝে। সময় মতো কেনাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ। আগেও কিনবো না, পরেও কিনবো না। ব্যবহার করে কাজে লাগিয়ে দিতে হবে।
আদম বা জনশুমারির তথ্য আমাদের মনকে খুলে দেয়। এ অর্থ আমরা খরচ করতে পারি। কিন্তু এ কথা আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলেন, আমরাও বলি, আমাদের অর্থ সাবধানে ব্যয় করতে হবে, যোগ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, না খেয়ে টাকা বাঁচাতে বলবো না। দুপুরে যদি ভাত না খাই, টাকা বাঁচবে আমার, কিন্তু এটা প্রোপার সেভিংস নয়। বিকাল ৫টার দিকে দেখা যাবে, আমি কাজ করতে পারি না। খেতেও হবে, তবে হিসাবও করতে হবে।
এখানে কিছু কিছু ব্যয় আছে, যা করার আগে আমাদের সাবধান হতে হবে। যেমন একটা আইটেম হলো প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন। দেখি মাঝে মধ্যে আমার কাছে ৮ বা ১০ প্রকল্পের আগের প্রকল্পের সময় কেনা খাতা হাজির হয়ে গেছে রাফ হিসেবে ব্যবহার করার জন্য।
তিনি বলেন, অনেক সময় অনেক জায়গায় যাই, পেন্সিল বা কলম চেষ্টা করেও লিখছে না। এগুলো আমরা সবাই বুঝি। সাপ্লাইয়ের মাল যারা দেন, তারাও তো দু-পয়সা বাঁচাতে চায়। তার কাছে এটা ন্যায়সঙ্গত। আমাদের যত্নবান হতে হবে। মাছের কান দেখে মাছ কিনি, লাল নাকি সাদা। আপনারা প্রকিউরমেন্টে যারা থাকবেন, প্লিজ ভেরি কেয়ারফুল। বিশেষ করে স্টেশনারির মধ্যে টাকা বাঁচানোর স্কোপ আছে বলে আমার মনে হয়।
এখানে কিছু কিছু প্রকিউরমেন্ট হয়েছে অতীতে তিন বছর আগে। সেগুলোর বর্তমান অবস্থা, সচিবকে অনুরোধ করেছি, পরখ করে দেখবেন, সেগুলো ব্যবহার করা যায় কিনা। কারণ যন্ত্রপাতির একটা বয়স আছে, যোগ করেন মন্ত্রী।
এমএ মান্নান বলেন, এবার হলো ২০২১ সাল, অথচ মাল কেনা হয়ে গেছে ২০১৯ সালে। প্রকল্পটা পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং এখানে স্টোর করা আছে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য। সেগুলো খুবই স্পর্শকাতর। সচিব, মহাপরিচালক, পিডিকে বলবো, দেখবেন কাজে লাগবে কিনা। এ রকম আরো জিনিস হয়তো আছে। বলপেনে তো কিছুদিন পর কালি জমে যায়। বের হয় না। সুতরাং বলপেন কখন কিনবো, সেটাও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status