খেলা
শিষ্যের কাছে গুরুর হার
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৮ জানুয়ারি ২০২১, সোমবার, ৯:১৩ অপরাহ্ন
বয়স তার ৫০। সাধারণত এমন বয়সে ক্রীড়াবিদরা থাকেন অবসরে। অবশ্য ব্যতিক্রম আজহারুল ইসলাম। বয়সটা যার কাছে নিছকই একটা সংখ্যা! সেনাবাহিনীর হয়ে অবসর নিয়েছেন আগেই। তবে অ্যাথলেটিক্স ছাড়েননি। নৌবাহিনীর হয়ে চুক্তিভিত্তিক অ্যাথলেট হিসেবে খেলে যাচ্ছেন এখনও। এবারও জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে আজহারুল ইসলাম অংশ নিয়েছেন ডিসকাস থ্রো ইভেন্টে। এই ইভেন্টে টানা ২২ বছর স্বর্ণ জেতা আজহার এবার শ্রেষ্ঠত্ব খুইয়েছেন শিষ্য মামুন শিকদারের কাছে। গতকাল মামুন শিকদারের কাছে স্বর্ণ হারিয়ে আজহার বলেন, ‘টানা ২২ বছর গোল্ড পেয়েছি। মাঝে বিজেএমসির হয়েও স্বর্ণ জিতেছি। তবে আমি ২০১৬ সালে গোল্ড হারিয়েছিলাম। ২০২১ সালে এসে আবার হারলাম। তবে এবার শিষ্যর কাছে হেরে ভালোই লাগছে।’ ন্যাশনালে ভালো করতে না পারলেও বাংলাদেশ গেমসে ভালো করার আশাবাদ ব্যক্ত করে এই অ্যাথলেট বলেন, ‘আমি এখনোই হাল ছাড়ছি না। আমি এখনো ক্যারিয়ারের ইতি টানছি না। বাংলাদেশ গেমসের অনেক আগে চলে আসবো।’ ১৯৯৬ সাল থেকে তার ঘরোয়া আসরে স্বর্ণপদক পাওয়া শুরু। মাঝে তিনটি আসরে স্বর্ণপদক জিততে পারেননি। এই বয়সে নিজের রেকর্ড ভেঙে আজহার বলেন, ‘আমি যেভাবে চেষ্টা করে থাকি, অন্যরা হয়তো সেই চেষ্টা করে না। যে কারণে এখনও এই বয়সে খেলতে পারছি।’ ডিসকাস থ্রোতে এক প্রকার অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠা আজহারকে হারিয়ে উল্লসিত মামুন শিকদার বলেন, ‘প্রথমে আল্লাহ তাআলার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আমি এর আগেও উনাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত একটানা শট পুটে গোল্ড পেয়েছিলাম। এরপর ২০১১ সালে ডিসকাসে নাম লেখাই। সেখানেও সাফল্য পাই।’ গুরুকে হারিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই অ্যাথলেট বলেন, আমার ক্যারিয়ার বেস্ট। উনি সাফে ৪৪.৯৮ মেরেছেন। আর উনার বাংলাদেশে রেকর্ড ছিল ৪৪.০৬। আজ আমি ৪৪.২৫ মেরেছি। হিসেব করলে দেশের মাটিতে আমারটাই সেরা। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে মামুন বলেন, ‘বাংলাদেশ গেমসে যদি বাংলাদেশে থাকি তাহলে রেকর্ড ভাঙার চেষ্টা করবো। আমি আগামী ১৯শে ফেব্রুয়ারি দক্ষিন সুদানে মিশনে যাবো। এখন নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস এসেছে। ইনজুরির কারণে শটপুট ছেড়ে দিয়ে শুধু ডিসকাস থ্রো ফোকাস করছি।’