বিশ্বজমিন
ট্রাম্পকে সামরিক শাসন জারি করতে বলেছিলেন সমর্থক!
মানবজমিন ডেস্ক
১৭ জানুয়ারি ২০২১, রবিবার, ১:৪৫ অপরাহ্ন
‘মার্শাল ল ইফ নেসেসারি’। হ্যাঁ, এমনই বাক্য সম্বলিত একটি নোট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বহুল আলোচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন তার এক কট্টর সমর্থক, পিলো ফাউন্ডার নামের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রধান মাইক লিন্ডেল। এ সময় তার হাতে ছিল কিছু কাগজপত্র। এর ছবি তুলেছেন ওয়াশিংটন পোস্টের একজন ফটোসাংবাদিক। তা থেকে উপরের বাক্যটি উদ্ধার করেছে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম। এতে মনে করা হচ্ছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক শাসন জারির জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উৎসাহ দিয়েছেন। এমন খবর প্রচার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো ঝড় চলছে। মাইক লিন্ডেল যে কাগজপত্র নিয়ে হোয়াইট হাউজে গিয়েছেন, তার ছবি শেয়ার দেয়া হচ্ছে। এ থেকে আরো একটি বাক্য উদ্ধার করা হয়েছে। তা হলো ‘মুভ ক্যাশ প্যাটেল টু সিআইএ একটিং...’। অর্থাৎ তিনি সামরিক শাসন জারি করে ক্যাশ প্যাটেলকে সিআইএর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বানানোর পরামর্শ দিয়েছেন। এ নিয়ে বিশ্ব মিডিয়া জগতেও তোলপাড় চলছে। তাতে বলা হচ্ছে, ট্রাম্পের একজন কট্টর সমর্থক মাইকেল লিন্ডেল। তিনি এখনও বিশ্বাস করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনে পরাজিত হননি। এ বিষয়ে শুক্রবারও তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে তিনি লিখেছেন- ‘সবাই বিশ্বাস করুন। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে আরো চার বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে পাবো আমরা’। শুধু তিনি একাই নন। নির্বাচনে ট্রাম্প হেরে গেলে তাকে দেশে সামরিক শাসন বা মার্শাল ল’ জারির জন্য অনেকেই কুমন্ত্রণা দিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখ করা যেতে পারে রজার স্টোনের নাম। ডনাল্ড ট্রাম্প এখনও বিশ্বাস করেন না যে, তিনি নির্বাচনে হেরেছেন। ভিত্তিহীন ও প্রমাণহীনভাবে তিনি এখনও দাবি করে আসছেন নির্বাচনে তিনি জিতেছেন। কিন্তু জালিয়াতি বা কারচুপির মাধ্যমে জয়ী দেখানো হচ্ছে বাইডেনকে।
ওদিকে মাইক লিন্ডেলের সঙ্গে কথা বলেছেন সিএনএনের হোয়াইট হাউজের সাংবাদিক জিম একোস্টা। তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা কবুল করেছেন মাইকেল লিন্ডেল। এ সময়ে তিনি ট্রাম্পকে কিছু কাগজপত্র দিয়েছেন। সেগুলো ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে তার স্টাফদের কাছে জমা দিতে বলেছেন। তবে তিনি তার কাগজপত্রে যে অংশে ‘মার্শাল ল’য়ের কথা ছিল, সে সম্পর্কে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
এসব নিয়ে যখন তোলপাড় হচ্ছে মার্কিন মুলুকে, তখন ওই কাগজপত্রে ফ্রাঙ্ক কোলোনের নাম থাকার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ফ্রাঙ্ক কোলোন নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিনকে বলেছেন, তিনি শুধু একজন সরকারি কর্মচারী। কাজ করেন মেরিল্যান্ডের ফোর্ট মিয়াডে’তে সামরিক ঘাঁটির জন্য। সাংবাদিক বেন জ্যাকবস বলেছেন, এ সময়ে ফ্রাঙ্ক কোলোন দৃশ্যত আশ্বার্যান্বিত হন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বিপথে চালিত করার মতো সিনিয়রের ভূমিকা তিনি কেন নেবেন! এ ছাড়া তিনি কোনোদিন মাইক লিন্ডেলের সঙ্গে সাক্ষাত হওয়ার কথাও অস্বীকার করেন। তবে তিনি বলেছেন, মাইক লিন্ডেলকে তিনি টিভিতে দেখেছেন। কোলোন আরো বলেছেন, আমি পেন্টাগনের অনেক প্রকল্পে কাজ করি।
ওদিকে মাইক লিন্ডেলের সঙ্গে কথা বলেছেন সিএনএনের হোয়াইট হাউজের সাংবাদিক জিম একোস্টা। তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা কবুল করেছেন মাইকেল লিন্ডেল। এ সময়ে তিনি ট্রাম্পকে কিছু কাগজপত্র দিয়েছেন। সেগুলো ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে তার স্টাফদের কাছে জমা দিতে বলেছেন। তবে তিনি তার কাগজপত্রে যে অংশে ‘মার্শাল ল’য়ের কথা ছিল, সে সম্পর্কে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
এসব নিয়ে যখন তোলপাড় হচ্ছে মার্কিন মুলুকে, তখন ওই কাগজপত্রে ফ্রাঙ্ক কোলোনের নাম থাকার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ফ্রাঙ্ক কোলোন নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিনকে বলেছেন, তিনি শুধু একজন সরকারি কর্মচারী। কাজ করেন মেরিল্যান্ডের ফোর্ট মিয়াডে’তে সামরিক ঘাঁটির জন্য। সাংবাদিক বেন জ্যাকবস বলেছেন, এ সময়ে ফ্রাঙ্ক কোলোন দৃশ্যত আশ্বার্যান্বিত হন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বিপথে চালিত করার মতো সিনিয়রের ভূমিকা তিনি কেন নেবেন! এ ছাড়া তিনি কোনোদিন মাইক লিন্ডেলের সঙ্গে সাক্ষাত হওয়ার কথাও অস্বীকার করেন। তবে তিনি বলেছেন, মাইক লিন্ডেলকে তিনি টিভিতে দেখেছেন। কোলোন আরো বলেছেন, আমি পেন্টাগনের অনেক প্রকল্পে কাজ করি।