দেশ বিদেশ
শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করতো ওরা
স্টাফ রিপোর্টার
১৭ জানুয়ারি ২০২১, রবিবার, ৯:২৮ অপরাহ্ন
ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী সেভেন স্টার গ্রুপের সদস্যদের জামিন ও সংগঠন পরিচালনার জন্য অর্থের প্রয়োজন বলে চাঁদাবাজি করতো একটি সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র। দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে তারা চাঁদা দাবি করতো। কেউ চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করে হত্যার হুমকি দিত। অথচ যে গ্রুপের নাম ভাঙিয়ে তারা চাঁদাবাজি করতো ওই গ্রুপের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই। সর্বশেষ এক ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করে বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে ফোন দিয়ে অপহরণ ও হত্যার হুমকি দেয়া হয়। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে সর্বমোট ৩৫ হাজার টাকাও দেয়। পরে ভুক্তভোগীর দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদাবাজ চক্রের প্রধানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের একটি টিম বিশেষ অভিযান চালিয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল, তুরাগ ও পল্টন থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বেল্লাল খান, রাকিব খান টিটুল, মো. আব্দুল হান্নান, দেলোয়ার হোসেন, সোহাগ ও খোরশেদ আলম। এ সময় তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, সিমকার্ড, ব্যবসায়ীদের নম্বর সংবলিত ডিরেক্টরি ও নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি’র মুখপাত্র ও উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ওয়ালিদ হোসেন এসব তথ্য জানান। ওয়ালিদ হোসেন বলেন, চাঁদাবাজির শিকার ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী সেভেন স্টার গ্রুপের সদস্য মালিবাগের জিসান মাহমুদ হিসেবে পরিচয় দেয়। তারা জানায় বর্তমান তাদের সংগঠনের কয়েকজন সদস্য জেলহাজতে আটক আছে। তাদের জামিন করতে ও সংগঠন পরিচালনার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে। তাই সমাজের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীদের নিকট থেকে তারা আর্থিকভাবে সহযোগিতা নিচ্ছে। এসব বলে তারা ব্যবসায়ীর নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। না দিলে তার পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করে হত্যা করবে বলে হুমকি প্রদান করে। ভুক্তভোগী বিষয়টি গুরুত্ব না দিলে চাঁদাবাজরা তাকে বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে ফোন দিয়ে অপহরণ ও হত্যার হুমকি প্রদান করায় আসামিদের দেয়া বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে সর্বমোট ৩৫ হাজার টাকা দেন। তবে চক্রের সদস্যরা আরও মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে তাকে এবং তার পরিবারকে অনবরত অপহরণ ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল।
ডিসি মিডিয়া জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীদের ডিরেক্টরি সংগ্রহ করেছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির বার্ষিক সদস্য পরিচিতি (ঠিকানা ও মোবাইল নম্বরের তালিকা) বই সংগ্রহপূর্বক পরস্পর সহযোগিতায় সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীদের মোবাইলে ফোন করে নিজেদের শীর্ষ সন্ত্রাসী দাবি করে অপহরণ ও ভয়-ভীতি প্রদান করে চাঁদা দাবি ও আদায় করে আসছে। তিনি বলেন, চক্রটি তিনভাগে কাজ করে। প্রথমত, একটি দল ব্যবসায়ী ডিরেক্টরি সংগ্রহ করে বাছাই করা ব্যবসায়ীদের মোবাইল নম্বর দ্বিতীয় গ্রুপের কাছে সরবরাহ করে। দ্বিতীয় গ্রুপটি ফোন করে শীর্ষ সন্ত্রাসী সেভেন স্টার গ্রুপের প্রধান কথিত বড় ভাই জিসানের কথা বলতে ফোন ধরিয়ে দেয়। কথিত সন্ত্রাসী জিসান নানাভাবে চাঁদা দাবি ও অপরহণ ও হত্যার হুমকি প্রদান করে। ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী সেভেন স্টার গ্রুপের সাথে এই চক্রের কোনও যোগাযোগ নেই। এই গ্রুপের সদস্যরা মূলত, মাদারীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশাল কেন্দ্রিক তাদের তৎপরতা বেশি। এক সময়ের আন্ডারওয়ার্ল্ডে প্রভাব বিস্তার করা শীর্ষ সন্ত্রাসী সেভেন স্টার গ্রুপের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণামূলকভাবে চাঁদাবাজি করে আসছিল।
ডিসি মিডিয়া জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীদের ডিরেক্টরি সংগ্রহ করেছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির বার্ষিক সদস্য পরিচিতি (ঠিকানা ও মোবাইল নম্বরের তালিকা) বই সংগ্রহপূর্বক পরস্পর সহযোগিতায় সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীদের মোবাইলে ফোন করে নিজেদের শীর্ষ সন্ত্রাসী দাবি করে অপহরণ ও ভয়-ভীতি প্রদান করে চাঁদা দাবি ও আদায় করে আসছে। তিনি বলেন, চক্রটি তিনভাগে কাজ করে। প্রথমত, একটি দল ব্যবসায়ী ডিরেক্টরি সংগ্রহ করে বাছাই করা ব্যবসায়ীদের মোবাইল নম্বর দ্বিতীয় গ্রুপের কাছে সরবরাহ করে। দ্বিতীয় গ্রুপটি ফোন করে শীর্ষ সন্ত্রাসী সেভেন স্টার গ্রুপের প্রধান কথিত বড় ভাই জিসানের কথা বলতে ফোন ধরিয়ে দেয়। কথিত সন্ত্রাসী জিসান নানাভাবে চাঁদা দাবি ও অপরহণ ও হত্যার হুমকি প্রদান করে। ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী সেভেন স্টার গ্রুপের সাথে এই চক্রের কোনও যোগাযোগ নেই। এই গ্রুপের সদস্যরা মূলত, মাদারীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশাল কেন্দ্রিক তাদের তৎপরতা বেশি। এক সময়ের আন্ডারওয়ার্ল্ডে প্রভাব বিস্তার করা শীর্ষ সন্ত্রাসী সেভেন স্টার গ্রুপের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণামূলকভাবে চাঁদাবাজি করে আসছিল।