বাংলারজমিন
পাবনায় পৃথক সংঘর্ষে ৩ খুন
স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা ও সাঁথিয়া প্রতিনিধি
১৭ জানুয়ারি ২০২১, রবিবার, ৮:৪২ অপরাহ্ন
পাবনার সাঁথিয়া ও ফরিদপুরে বিচ্ছিন্ন ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় দুইজন এবং ফরিদপুর উপজেলায় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আহত হয়েছেন ৩ জন। নিহতরা হলেন- সাঁথিয়া উপজেলার নাড়িয়াগদাই গ্রামের সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে মুন্নাফ হোসেন (৪০) ও বড়পাইকসা গ্রামের শামসুল ইসলামের ছেলে নাসির হোসেন (৩৫)। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই। ফরিদপুরে নিহত ব্যক্তির নাম আসলাম হোসেন (৪৫)। গতকাল শনিবার দুপুরে সাঁথিয়া উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের নাড়িয়াগদাই গ্রামে ও ফরিদপুর এর হাদল ইউনিয়নের মঙ্গলগ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আহত হয়েছেন ৩ জন। এদের মধ্যে রওশন আলী ও হারুন হোসেন নামের দুইজনকে গুরুতর অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন আগে মুন্নাফ নাড়িয়াগদাই বাজারে সাচ্চু প্রামাণিকের কাছ থেকে জমি কেনেন। সেখানে বাড়ির কাজ শুরু করলে জমির সীমানা নিয়ে সাচ্চু প্রামাণিকের ভাই বাচ্চু প্রামাণিকের সঙ্গে বিরোধ হয়। স্থানীয় সালিশে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে বাড়ির কাজ শুরু করেন মুন্নাফ। গতকাল সকালে শ্রমিকদের নিয়ে বাড়ির কাজ করছিলেন তিনি।
বেলা ১১টার দিকে বাচ্চুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী মুন্নাফসহ কাজ করতে আসা শ্রমিকদের ধারালো অস্ত্র ও মাটিকাটার কোদাল দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই নাসির মারা যান। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান মুন্নাফ। নির্মাণ শ্রমিক রওশন, হারুনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেছে।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে হত্যার কাজে ব্যবহার করা মাটিকাটার কোদাল ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ।
অপরদিকে, পাবনার ফরিদপুরে গতকাল দুপুরে হাদল ইউনিয়নের মঙ্গলগ্রামের বিল থেকে আসলাম হোসেনের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। সে সাঁথিয়া উপজেলার তেরোখাদা গ্রামের টুণ্ডু মিয়ার ছেলে। চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সজীব শাহিন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত আলমাস নিষিদ্ধ ঘোষিত সর্বহারা বাহিনীর সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা পুলিশ ও স্থানীয়দের।
বেলা ১১টার দিকে বাচ্চুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী মুন্নাফসহ কাজ করতে আসা শ্রমিকদের ধারালো অস্ত্র ও মাটিকাটার কোদাল দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই নাসির মারা যান। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান মুন্নাফ। নির্মাণ শ্রমিক রওশন, হারুনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেছে।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে হত্যার কাজে ব্যবহার করা মাটিকাটার কোদাল ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ।
অপরদিকে, পাবনার ফরিদপুরে গতকাল দুপুরে হাদল ইউনিয়নের মঙ্গলগ্রামের বিল থেকে আসলাম হোসেনের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। সে সাঁথিয়া উপজেলার তেরোখাদা গ্রামের টুণ্ডু মিয়ার ছেলে। চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সজীব শাহিন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত আলমাস নিষিদ্ধ ঘোষিত সর্বহারা বাহিনীর সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা পুলিশ ও স্থানীয়দের।