প্রথম পাতা

সহিংসতার শঙ্কা, ৬০ পৌরসভায় ভোট আজ

বসুরহাটের দিকে দৃষ্টি

বাংলারজমিন ডেস্ক

১৬ জানুয়ারি ২০২১, শনিবার, ৯:২৩ অপরাহ্ন

ফাইল ছবি

সহিংসতা ও সংঘাতের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৬০টি পৌরসভার ভোটগ্রহণ আজ। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে । মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোটের জন্য সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রথম ধাপে ২৮শে ডিসেম্বরের ভোট অনেকটা শান্তিপূর্ণ হলেও দ্বিতীয় ধাপের ভোটকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা দেখা দিয়েছে কয়েকটি এলাকায়। তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। ঝিনাইদহের শৈলকূপায় পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহে দু’জন নিহত হয়েছেন। এর আগে কুষ্টিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় একজন নিহত হন। গতকাল বরগুনায় এক প্রার্থীর কর্মীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরসভার আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। ভেদরগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলায় সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। দলের মনোনয়ন বঞ্চিতদের মধ্যে বিদ্রোহীর অবস্থান ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রভাবের কারণে অনেক পৌরসভায় প্রচারণা চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রার্থী ও দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িঘর, দোকানপাটে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। বিএনপির প্রার্থী ও দলীয় নেতাকর্র্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত পৌরসভা হলো নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট। এখানে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই আব্দুল কাদের মির্জা। যিনি নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই নিজ দলের বিরুদ্ধে বাধা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন। তাকে হারাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি ও জামায়াতকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে বলেও দাবি করেছেন মির্জা কাদের। দলের বিরুদ্ধে একের পর এক বক্তব্য দিয়ে নির্বাচনী মাঠ গরম রেখেছেন তিনি। নির্বাচনের দিন ভোটচুরি ঠেকাতে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের প্রয়োজনে নিজের রক্ত দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন মির্জা কাদের। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। জাতীয় নির্বাচনসহ অন্যান্য স্থানীয় নির্বাচনে যখন ভোটাররা ভোটকেন্দ্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে ঠিক সেই মুহূর্তে মির্জা কাদেরের বক্তব্য জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এই প্রেক্ষাপটে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বসুরহাটের নির্বাচনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মহলের দৃষ্টি থাকবে।

আজ ৬০টি পৌরসভায় তিন পদে ৩২৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এরমধ্যে মেয়র পদে ২২১, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৪৫ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৩২০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই ধাপে ১০৮০টি ভোটকেন্দ্রে রয়েছে ৬৫০৮ ভোটকক্ষ। ভোটার রয়েছেন ২২ লাখ ৪০ হাজার ২২৬ জন। এসব পৌরসভার মধ্যে প্রায় অর্ধেক এলাকায় ইভিএমে ও বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে ভোট হবে। বরাবরের মতো এ ধাপেও মূল লড়াই নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থীর মধ্যে হলেও সব মিলিয়ে এবার নয়টি দলের প্রার্থী রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, দ্বিতীয় ধাপের তিন সহস্রাধিক প্রার্থী ইতিমধ্যে প্রচারণা শেষ করেছেন। এখন ভোটের অপেক্ষা। এরই মধ্যে দুয়েকটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা হলেও উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি বলে মনে করেন তিনি। সার্বিকভাবে পৌর ভোটের পরিবেশ ভালো রয়েছে। বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমরাও মাঠে রয়েছেন। ইসি সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ কেন্দ্রে তিনজন পুলিশ সদস্য (অস্ত্রসহ), একজন অঙ্গীভূত আনসার সদস্য পিসি (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার একজন এপিসি (অস্ত্র/লাঠিসহ) ও অঙ্গীভূত আনসার (লাঠিসহ তিনজন পুরুষ ও তিনজন নারী সদস্য) নিয়ে সাধারণ কেন্দ্রে মোট ১১ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে চারজন পুলিশ সদস্য (অস্ত্রসহ), একজন অঙ্গীভূত আনসার সদস্য পিসি (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার একজন এপিসি (অস্ত্র/লাঠিসহ) ও অঙ্গীভূত আনসার (লাঠিসহ চারজন পুরুষ ও তিনজন নারী সদস্য) মিলিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে মোট ১৩ জন।

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে জানান, নোয়াখালীর বসুরহাট পৌর নির্বাচনের ইভিএম ও অন্যান্য নির্বাচনী সরঞ্জাম গতকাল সকাল থেকে বিতরণ করা হয়েছে। ভোটে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে মাঠে মোতায়েন হয়েছে পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর ৪০০ সদস্য। নোয়াখালী বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান দুই দলের প্রার্থীসহ ৩ মেয়র প্রার্থী, ২৫ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী প্রার্থী ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী আব্দুল কাদের মির্জার ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় যথেষ্ট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এতে তিনি নিজে বা তার নেতাকর্মীদের উদগ্রীব হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন। তিনি জানান, বসুরহাট পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী আব্দুল কাদের মির্জা তার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করার পর থেকেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তার প্রতি নজর রাখা হচ্ছে। এমনকি তার বাসা ও অফিস পুলিশ পর্যবেক্ষণে রেখেছে। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, শুধু মির্জা আব্দুল কাদের নয়, অন্য মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিরাপত্তায়ও পুলিশ যথেষ্ট সজাগ রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছে। বসুরহাট পৌরসভায় বিভিন্ন প্রবেশপথে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া বাহিরের কাউকে পৌর এলাকায় ঢুকতে দেয়া হবে না। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খুরশিদ আলম খান জানান, নির্বাচন কমিশনের চাহিদা মোতাবেক ৯ কেন্দ্রের জন্য ৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ১ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবের ৩টি টিম ও ৪ প্লাটুন বিজিবি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে।  

বরগুনা প্রতিনিধি জানান, বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারণার সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এক কর্মীকে বাসায় ডেকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ এক নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে। আহত ওই কর্মীর নাম মো. দেলোয়ার হোসেন (৪৫)। তিনি বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী নিপা আক্তারের কর্মী। আহতাবস্থায় উদ্ধার করে তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেলোয়ারকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর নাম নাসরীন নাহার সুমি। একই ওয়ার্ডে তিনি অটোরিকশা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গতকাল দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে বরগুনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন নাসরীন নাহার সুমির বাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী নাসরিন নাহার সুমির বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগ মোটেই সত্য নয়। আমার জনপ্রিয়তায় ভাটা লাগাতে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিচ্ছেন।

কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, কুলিয়ারচর পৌর নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি’র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জের জেলা বিএনপি’র সভাপতি মো. শরীফুল আলম (সিআইপি)। তিনি গতকাল পৌর এলাকার বেতিয়ারকান্দি গ্রামে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নূরুল মিল্লাত কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইতিমধ্যে গভীর রাতে সাদা পোশাকে ও পুলিশের পোশাকে কুলিয়ারচর পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের আমাদের নেতা কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে নেতা কর্মীদের খোঁজ করে এবং গালিগালাজ করে হুমকি দেয় যে, নির্বাচনের দিন পর্যন্ত বাড়িতে না থাকার জন্য। আমাদের ২৬ জন নেতাকর্মীর নামে গায়েবি মামলা করা হয়েছে। সাফী উদ্দিন নামে আমাদের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ইভিএম নিয়ে আমাদের কেন্দ্রীয়ভাবে আপত্তি আছে তার পরেও আমরা গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছি। ইভিএম শহরে ব্যবহার করার কথা থাকলেও এখন গ্রাম পর্যায়ে তা ব্যবহার করা হচ্ছে অথচ ইভিএম ব্যবহারে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মনোনীত পৌর মেয়র প্রার্থী নূরুল মিল্লাত লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১২ ও ১৪ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে সিভিলে ও পুলিশের পোশাক পরে পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে দরজা জানালায় লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি বাড়িয়ে গালিগালাজসহ হুমকি দেয় যে, নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেন তারা এলাকার বাহিরে থাকে। বিভিন্ন জায়গায় আমার নির্বাচনী প্রচারণার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে। এসব ঘটনায় রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত ও মৌখিকভাবে অভিযোগ করার পরও কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা: হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরসভার আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী শ্রীধাম দাশ গুপ্তকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও আদাঐর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক পাঠান জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় কেন্দ্রীয় নেতাদের বিদায় জানাতে সড়ক ও জনপথের ডাকবাংলোর সামনে প্রার্থীসহ আমারা দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় প্রার্থীকে লক্ষ্য করে পর পর তিনটি ককলেট বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এ ব্যাপারে রাতেই শ্রীধাম দাশ গুপ্ত বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী পংকজ সাহার সহোদর বর্তমান মেয়র হীরেন্দ্র লাল সাহাকে এক নাম্বার করে ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযোগে আরো অজ্ঞাত রয়েছে  ১৫০ থেকে ২০০ জন।

শ্রীধাম দাশ গুপ্ত বলেন, আমাকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরিয়ে দিতেই এ ধরনের হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি মেয়র হীরেন্দ্র লাল সাহাকে আসামি করে মামলা দিয়েছি।
পৌর মেয়র হীরেন্দ্র লাল সাহা বলেন, আমি এ ধরনের কোনো ঘটনা কোথায় ঘটেছে শুনিনি। আমাকে আসামি করা হয়েছে এটি অবাক হওয়ার বিষয়। মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। এখন পর্যন্ত অভিযোগটি এফআইআর করা হয়নি।
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি: দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ঈশ্বরদী প্রচারণায় বাধা ও হুমকি-ধমকি দেয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈশ্বরদীতে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর বাড়িতে ইটপাটকেল ছুড়ে জানালা, দরজার কাচ ভেঙে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে বিএনপির এ অভিযোগ ‘গতানুগতিক’ দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী। তাঁর দাবি, অভ্যন্তরীণ কোন্দলে প্রচার-প্রচারণায় কর্মী না পেয়ে বিএনপি এমন অভিযোগ তুলেছে। ঈশ্বরদী পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী রফিকুল ইসলামের বলেন, প্রচারণার শুরু থেকেই তারা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষের পোস্টার ছেঁড়া হয়েছে। মাইকিংয়ে বাধাসহ আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকেরা প্রচার-প্রচারণায় পদে পদে বাধা দিচ্ছেন। তাকে বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছেন না। গত বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে একদল দুর্বৃত্ত এসে তার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। তারা ইটপাটকেল ছুড়ে বাড়ির জানালা-দরজা ভেঙে দিয়েছে। এতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status