অনলাইন

ড. কামাল হোসেনের চোখে মিজানুর রহমান খান

তামান্না মোমিন খান

১৪ জানুয়ারি ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন

মিজানুর রহমান খান শুধু তথ্য বের করতেন না, তার লেখার বৈশিষ্ট ছিলো তথ্যের পেছনের তথ্যগুলো যেনো মানুষ বুঝতে পারে। এই সময়ে তার মতো সাংবাদিক খুব কমই আছে। তাকে হারিয়ে সাংবাদিকতা জগতে বড় রকমের শূণ্যতা তৈরি হয়েছে। তার অভাব সহজে পূরণ হবে না। প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক প্রখ্যাত সাংবাদিক সদ্যপ্রয়াত মিজানুর রহমান খান সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেছেন গণফোরাম সভাপতি ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, এভাবে এত কম বয়সে তাকে হারাবো তা কল্পনাও করিনি।

সাংবাদিকতা জগতে মিজানুর রহমান খান ছিলেন ইউনিক- এমন মন্তব্য করে কামাল হোসেন বলেন, তার সঙ্গে আমার খুবই ভালো সর্ম্পক ছিল। মিজান ছাড়া অন্য কোন সাংবাদিকের সঙ্গে আমার এরকম গভীর সর্ম্পক হয়নি।

গণফোরাম সভাপতি বলেন, মিজানুর রহমান খান একাডেমিকভাবে আইন বিষয়ে লেখাপড়া করেননি। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে প্রচুর পড়াশুনা করতেন। আইনের একজন পন্ডিত হয়ে ওঠেছিলেন। এ বিষয়ে তার বক্তব্যকে আমরা অনেক মূল্য দিতাম। তাই উনার অভাবটা পূরণ করা কঠিন হবে।

কামাল হোসেন বলেন, মিজানুর রহমান খানের অবস্থান ছিল স্বাধীনতার পক্ষে। কিন্তু কোন সংকীর্ণ দলীয় মনোভাব তার ছিল না। তার মতো মানুষ এখন খুব কম আছে।

মৃত্যুর পর মিজানের পরিবারের খোঁজ-খবর নিয়েছেন জানিয়ে প্রবীণ এই আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ বলেন, মিজানের বড় ছেলে কিছুদিন আমাদের অফিসে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছিল। সে যদি আইন পেশায় আসতে চায়, আমরা তাকে উৎসাহ দেবো। আইনজীবী হিসেবে যেনো ভূমিকা রাখতে পারে সেই ব্যবস্থা করবো।

তিনি বলেন, মিজান শুধু সাংবাদিকতা করেছেন। নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করেননি। যারা আদর্শভিত্তিক সাংবাদিকতা করে তারা নিজের কথাও চিন্তা করে না। পরিবারের কথাও চিন্তা করে না। মিজানুর রহমান খান তার একটি উদাহরণ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status