বাংলারজমিন

কাজ শেষ হতেও ঢের বাকি

উদ্বোধনের ২ মাসেও হয়নি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের নীতিমালা

জবি প্রতিনিধি

১৪ জানুয়ারি ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৮:০৪ অপরাহ্ন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল উদ্বোধনের দুই মাস পার হয়ে গেলেও এখনো তৈরি হয়নি কোনো নীতিমালা। নীতিমালা তৈরি না করেই তড়িঘড়ি হল উদ্বোধন করায় হলে ওঠা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন ছাত্রীরা। এদিকে লিফটের কাজ বাকি রেখেই হলের উদ্বোধন করায় শিক্ষার্থীদের সিট বণ্টনেও পদক্ষেপ নিতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগও এখনো পুরোপুরি দেয়া হয়নি। লিফটের কাজ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ধারে কাজ চালাচ্ছেন অন্য একটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে। এ ছাড়াও কনস্ট্রাকশন, বিদ্যুৎ ও লিফটের কাজে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কাজ পাওয়ায় রয়েছে সমন্বয়হীনতা। হলের জন্য অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার কাজ এখনো অসম্পূর্ণ। এখন থেকে পুরোদমে কাজ চালালেও সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে ন্যূনতম আরো ছয় মাস থেকে এক বছর সময় লাগবে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত ২০শে অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রথম ছাত্রী হল উদ্বোধন করে প্রশাসন। নতুন বছরে ছাত্রী হলে শিক্ষার্থী উঠানোর কথা বলা হলেও প্রশাসনের তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। হল উদ্বোধনের পর অনেক ছাত্রী মেস, বাসা ছেড়ে দেন। ইতিমধ্যে তারা বছরের শুরু থেকে হলে উঠার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করায় আবারো মেস ভাড়া নিতে ছুটছেন ছাত্রীরা। এতে করে বাড়তি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।
লিফট শ্রমিকরা বলেন, আমাদের কাজের সুবিধার্থে প্রথমে একটি লিফট চালু  করবো। এই লিফটের জন্য মাত্র গাইডের কাজ শুরু হয়েছে। পুরোদমে কাজ করলে গাইডের কাজ শেষ হতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। এরপর লিফট চালু করতে আরো ১৫ দিন সময় লাগতে পারে। কিন্তু আমাদের শ্রমিক কম, নিয়মিত আসে না। আর কিছু কিছু কাজ আছে বিদ্যুতের যারা টেন্ডার পেয়েছেন তাদের। তারা লাইন টানতে কম তার দিয়ে কাজ করে, আমাদের তার লাগে বেশি। আবার লিফটের জন্য যে স্পেস রাখা হয়েছে, সেটাও খুব সরু। দেয়াল ভেঙে কাজ করতে চাইলেও কনস্ট্রাকশনের লোকজন দেয় না। এভাবে সমন্বয়হীনতা চলতে থাকলে আরো এক বছরেও কাজ শেষ হবে না। লিফটের কাজ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কনসেপ্ট এলিভেটর অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আলম বলেন, কাজটা মূলত এম এস চৌধুরী নামে একটা ফার্মের। তাদের থেকে আমরা নিয়েছি। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত কাজ শেষ করে দেয়ার। কিন্তু কিছু ঝামেলার কারণে আমাদের মালামাল আসছে না। তবে প্রাথমিক কাজগুলো এগিয়ে রাখার চেষ্টা করছি। গাইডের কাজ চলছে। এরপর দরজা, কেবিনের কাজ করবো। মোটামুটি আরো সময় লাগবে।
হলের প্রভোস্ট ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এস এম আনোয়ারা বেগম বলেন, নীতিমালার কাজ অনেক এগিয়েছে। আমরা একটা নীতিমালা খসড়া করে প্রশাসনের নিকট জমা দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় এখনো খুলেনি। এর মধ্যে সরকার ছুটি বাড়িয়েছে। তবে আমরা দাপ্তরিক কাজগুলো এগিয়ে নিয়েছি। রেগুলার আমরা কাজ করছি।
হলে ছাত্রী উঠানোর ব্যাপারে তিনি বলেন, প্রত্যেক বিভাগে যারা মেধাবী, প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী, ঢাকায় যাদের থাকার ব্যবস্থা নেই এবং আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ করা হবে। যেহেতু এখানে যাচাই-বাছাই করতে হবে, তাই সময় লাগবে। হলের কাজও আমরা নিয়মিত তদারকি করছি।

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status