বাংলারজমিন
প্রকাশ্যে নৌকায় ভোট দিতে বললেন মেয়র প্রার্থী
মিরপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
২০২১-০১-১৪
মেয়রের ভোট প্রকাশ্যে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভার আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাজী মো. এনামুল হক। তিনি একটি নির্বাচনী সভায় সমর্থক ও ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেছেন কাউন্সিলরের ভোট দুটি গোপন কক্ষে গিয়ে আর মেয়রের ভোটটি সবার সামনেই দিতে হবে।
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার পর তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই পৌরসভার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আরিফুল ইসলাম ও ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী মো. রহমত আলী রব্বান।
ফাঁস হওয়া ভিডিও ক্লিপে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হাজী এনামুল হককে নির্বাচনী সভায় ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা যায়, ‘আপনি যদি ওপেন ভোট দেন, তাহলে তো কেউ নিষেধ করতে পারবে না। কারণ আপনাদের মধ্যে যাতে দূরত্ব না বাড়ে। ভোট আপনিও দিতে চেয়েছেন আরেকজনও দিতে চেয়েছে। এখন আরেকজন যদি ভেতরে ঢুকে ভোট দেয় তাহলে মনে সন্দেহ দেখা দেবে। মনে হবে ও হয়তো নৌকায় ভোট দেয়নি। তাই আপনারা সব ওপেন করে দেন। তাহলে আর একে অপরের প্রতি সন্দেহ থাকবে না। আপনারা কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের ভোট ভেতরে গিয়ে দেবেন আর এই ভোটটি (মেয়র) সরাসরি সামনে দেবেন।
১.২২ মিনিটের ওই ভিডিও ক্লিপে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এনামুল হককে বলতে শোনা যায়, ‘ভোট ভয়ের কোনো ব্যাপার না। আমি যদি ওপেন সিল মেরে দিই তাহলে কারো কিছু বলার নেই। সবাই নৌকায় সিল মেরে দেবেন প্রকাশ্যে, কোনো সমস্যা নাই, যেখানে সবাই একতরফা ভোট দেবে। সেখানে কেন আপনি সন্দেহের মধ্যে থাকবেন। তাই কাউন্সিলরের দুটি গোপন কক্ষে আর মেয়রের ভোটটি প্রকাশ্যে দেবেন, কাউকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এনামুল হকের ব্যক্তিগত ফোনে কল করা হলে তিনি তা কেটে দেন। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংক বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মেয়র প্রার্থী হাজী এনামুল হককে ডেকে এনে সতর্ক করা হয়েছে। তাকে এ ধরনের বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের পরও কেন ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান এই রিটার্নিং অফিসার।
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার পর তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই পৌরসভার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আরিফুল ইসলাম ও ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী মো. রহমত আলী রব্বান।
ফাঁস হওয়া ভিডিও ক্লিপে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হাজী এনামুল হককে নির্বাচনী সভায় ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা যায়, ‘আপনি যদি ওপেন ভোট দেন, তাহলে তো কেউ নিষেধ করতে পারবে না। কারণ আপনাদের মধ্যে যাতে দূরত্ব না বাড়ে। ভোট আপনিও দিতে চেয়েছেন আরেকজনও দিতে চেয়েছে। এখন আরেকজন যদি ভেতরে ঢুকে ভোট দেয় তাহলে মনে সন্দেহ দেখা দেবে। মনে হবে ও হয়তো নৌকায় ভোট দেয়নি। তাই আপনারা সব ওপেন করে দেন। তাহলে আর একে অপরের প্রতি সন্দেহ থাকবে না। আপনারা কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের ভোট ভেতরে গিয়ে দেবেন আর এই ভোটটি (মেয়র) সরাসরি সামনে দেবেন।
১.২২ মিনিটের ওই ভিডিও ক্লিপে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এনামুল হককে বলতে শোনা যায়, ‘ভোট ভয়ের কোনো ব্যাপার না। আমি যদি ওপেন সিল মেরে দিই তাহলে কারো কিছু বলার নেই। সবাই নৌকায় সিল মেরে দেবেন প্রকাশ্যে, কোনো সমস্যা নাই, যেখানে সবাই একতরফা ভোট দেবে। সেখানে কেন আপনি সন্দেহের মধ্যে থাকবেন। তাই কাউন্সিলরের দুটি গোপন কক্ষে আর মেয়রের ভোটটি প্রকাশ্যে দেবেন, কাউকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এনামুল হকের ব্যক্তিগত ফোনে কল করা হলে তিনি তা কেটে দেন। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংক বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মেয়র প্রার্থী হাজী এনামুল হককে ডেকে এনে সতর্ক করা হয়েছে। তাকে এ ধরনের বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের পরও কেন ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান এই রিটার্নিং অফিসার।