মত-মতান্তর
স্মৃতিতে সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান
ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার
১৩ জানুয়ারি ২০২১, বুধবার, ১:১১ অপরাহ্ন
বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রয়াত মিজানুর রহমান খানের সঙ্গে পরিচয়টা প্রায় এক দশক আগে। দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় আমি তখন কর্মরত। সম্ভবত মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর (মতি ভাই) মাধ্যমে মিজান ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয়। এরপর বেশ কয়েকবছর যোগাযোগ ছিল না।
আমি তখন লন্ডনে বার-এট-ল শেষ করে ব্যারিস্টার হয়ে গেছি। একদিন মতি ভাই ফোন করে জানালেন মিজান ভাই কথা বলতে চান। ওইদিনই কথা হলো বিভিন্ন বিষয়ে। এরপর প্রায়ই ফোন করতেন মিজান ভাই। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার প্রশ্ন থাকতো। তার ছেলের পড়ালেখা নিয়েও কথা হতো। আমি যেহেতু সাংবাদিক ও ব্যারিস্টার এজন্য হয়তো মিজান ভাই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতেন। বয়সে মিজান ভাই আমার চেয়ে প্রায় ২০ বছর সিনিয়র হলেও তিনি আমাকে আপনি বলে সম্ভোধন করতেন। প্রথমে লজ্জা পেলেও পরে মেনে নিয়েছিলাম।
মিজান ভাইয়ের আচরণ ছিল শিশুর মতো সরল-সহজ। তিনি দেশের প্রধান পত্রিকা প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। সংবিধান, আইন ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার লেখা আর্টিকেল আকাশচুম্বী জনপ্রিয় ছিল। লেখায় ছিল মুন্সিয়ানা। ছিল না লেশমাত্র অহংবোধ। ছিলেন সকলের কাছে গ্রহণযাগ্য একজন সাংবাদিক। মিজান ভাই-এর লন্ডনে একটি গবেষণার কাজে যাওয়ার কথা ছিল। তার জন্য বাসা ঠিক করার দায়িত্বও আমার ওপর পড়েছিল। পরে নানা কারণে আর যাওয়া হয়ে উঠেনি।
২০২০ সালের মার্চে প্রথম আলোর কার্যালয়ে মিজান ভাইয়ের সাথে সাক্ষাত হয়। কথা হয় বিভিন্ন বিষয়ে। রাতের খাবারের জন্য অনেক অনুরোধ করেন। বিনয়ের সঙ্গে কথা বলেন। পরে বাসায় ফেরার পথে কাওরান বাজার থেকে ডাব খাওয়ান। এরপর আর দেখা না হলেও যোগাযোগ হতো ফোনে বা হোয়াটসঅ্যাপে। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২রা অক্টোবর হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ পাঠান। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আইনের ওপর আমার লেখা বিভিন্ন আর্টিকেল নিয়েও উৎসাহ দিতেন।
আমাদের সকলের প্রিয় মিজান ভাই এভাবে হঠাৎ করেই না ফেরার দেশে চলে যাবেন তা মেনে যায় না। তারপরও মেনে নিতে হয়। সবাইকেই এভাবেই চলে যেতে হবে। আজ বা কাল। তারপরও কিছু মৃত্যু মেনে নিতে কষ্ট হয়। ১১ই জানুয়ারি মিজান ভাই আমাদের ছেড়ে চলে যান না ফেরার দেশে। রেখে যান নানা স্মৃতি।
মিজান ভাই আর ফোন দিবেন না। হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিবেন না। কিন্তু তার স্মৃতিগুলো অমর হয়ে থাকবে। চলার পথে কোন ভুলক্রটি হলে ক্ষমা করবেন মিজান ভাই। শেষ করি কবি আল মাহমুদের কবিতার পঙতি দিয়ে-
এমনভাবে যায় না কেহ, এমনভাবে যায় না, এমনভাবে গেলে কেহ, ভাঙে সম্মৃতির আয়না।
আমি তখন লন্ডনে বার-এট-ল শেষ করে ব্যারিস্টার হয়ে গেছি। একদিন মতি ভাই ফোন করে জানালেন মিজান ভাই কথা বলতে চান। ওইদিনই কথা হলো বিভিন্ন বিষয়ে। এরপর প্রায়ই ফোন করতেন মিজান ভাই। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার প্রশ্ন থাকতো। তার ছেলের পড়ালেখা নিয়েও কথা হতো। আমি যেহেতু সাংবাদিক ও ব্যারিস্টার এজন্য হয়তো মিজান ভাই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতেন। বয়সে মিজান ভাই আমার চেয়ে প্রায় ২০ বছর সিনিয়র হলেও তিনি আমাকে আপনি বলে সম্ভোধন করতেন। প্রথমে লজ্জা পেলেও পরে মেনে নিয়েছিলাম।
মিজান ভাইয়ের আচরণ ছিল শিশুর মতো সরল-সহজ। তিনি দেশের প্রধান পত্রিকা প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। সংবিধান, আইন ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার লেখা আর্টিকেল আকাশচুম্বী জনপ্রিয় ছিল। লেখায় ছিল মুন্সিয়ানা। ছিল না লেশমাত্র অহংবোধ। ছিলেন সকলের কাছে গ্রহণযাগ্য একজন সাংবাদিক। মিজান ভাই-এর লন্ডনে একটি গবেষণার কাজে যাওয়ার কথা ছিল। তার জন্য বাসা ঠিক করার দায়িত্বও আমার ওপর পড়েছিল। পরে নানা কারণে আর যাওয়া হয়ে উঠেনি।
২০২০ সালের মার্চে প্রথম আলোর কার্যালয়ে মিজান ভাইয়ের সাথে সাক্ষাত হয়। কথা হয় বিভিন্ন বিষয়ে। রাতের খাবারের জন্য অনেক অনুরোধ করেন। বিনয়ের সঙ্গে কথা বলেন। পরে বাসায় ফেরার পথে কাওরান বাজার থেকে ডাব খাওয়ান। এরপর আর দেখা না হলেও যোগাযোগ হতো ফোনে বা হোয়াটসঅ্যাপে। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২রা অক্টোবর হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ পাঠান। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আইনের ওপর আমার লেখা বিভিন্ন আর্টিকেল নিয়েও উৎসাহ দিতেন।
আমাদের সকলের প্রিয় মিজান ভাই এভাবে হঠাৎ করেই না ফেরার দেশে চলে যাবেন তা মেনে যায় না। তারপরও মেনে নিতে হয়। সবাইকেই এভাবেই চলে যেতে হবে। আজ বা কাল। তারপরও কিছু মৃত্যু মেনে নিতে কষ্ট হয়। ১১ই জানুয়ারি মিজান ভাই আমাদের ছেড়ে চলে যান না ফেরার দেশে। রেখে যান নানা স্মৃতি।
মিজান ভাই আর ফোন দিবেন না। হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিবেন না। কিন্তু তার স্মৃতিগুলো অমর হয়ে থাকবে। চলার পথে কোন ভুলক্রটি হলে ক্ষমা করবেন মিজান ভাই। শেষ করি কবি আল মাহমুদের কবিতার পঙতি দিয়ে-
এমনভাবে যায় না কেহ, এমনভাবে যায় না, এমনভাবে গেলে কেহ, ভাঙে সম্মৃতির আয়না।