অনলাইন
প্রমোদতরী বে ওয়ান ক্রুজের যাত্রা শুরু হচ্ছে
ইব্রাহিম খলিল, চট্টগ্রাম থেকে
১২ জানুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার, ১২:৩৭ অপরাহ্ন
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে চলাচল শুরু করছে প্রমোদতরী বে ওয়ান ক্রুজ শিপ। আগামী বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করবে শিপটি। তবে যাত্রায় লোকসানের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাহাজটি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এম এ রশিদ।
তিনি জানান, দুই হাজার যাত্রী বহনে সক্ষম বে ওয়ান ক্রুজ শিপ। বিশ্বের ৩১৪টি বৃহৎ ক্রুজ শিপের একটি । কিন্তু এর মধ্যে অন্তত ৫০০ যাত্রী না হলে শিপটিতে লোকসান গুণতে হবে। তবুও চট্টগ্রমের পতেঙ্গার ১৫ নম্বর ঘাট থেকে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু করবে।
তবে পর্যটন খাতে বিপ্লব ঘটাতে সরকারের অনুমতি পেলে এই শিপ দেশের বাইরেও পর্যটক নিয়ে যেতে পারবে। আর হজের মৌসুমে ২০-৫০ হাজার হাজিকে সমুদ্রপথে সৌদি আরব নিয়ে যেতে পারবে।
ইঞ্জিনিয়ার এম এ রশিদ জানান, এই প্রমোদতরী চট্টগ্রাম থেকে প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার রাত ১১ টায় সেন্টমার্টিন যাত্রা করবে। জাহাজটি সেন্টমার্টিন পৌঁছাবে পরদিন সকাল ৮টায়। এছাড়া ফিরতি পথে প্রতি সপ্তাহের শুক্র, শনি ও রবিবার দুপুর ১ টায় সেন্টমার্টিন থেকে যাত্রা করে জাহাজটি চট্টগ্রাম পৌঁছাবে একই দিন সন্ধ্যা ৭ টায়। চট্টগ্রাম থেকে রাতের যাত্রায় সেন্টমার্টিন পৌঁছাতে সময় লাগবে প্রায় ৯ ঘণ্টা। তবে ফিরতি পথে সেন্টমার্টিন থেকে দিনের যাত্রায় সময় কিছুটা কম লাগবে। ফেরার পথে সময় লাগবে প্রায় ৭ ঘণ্টা।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সমুদ্র যাত্রায় বে ওয়ান ক্রুজে যাওয়া আসার টিকিট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বনিম্ম ৩ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা। এরমধ্যে বিজনেস ক্লাস চেয়ারের জনপ্রতি টিকিট মূল্য নির্ধারণ হয়েছে ৩ হাজার টাকা। লাক্সারি বিজনেস ক্লাস চেয়ারের জনপ্রতি টিকিট মূল্য নির্ধারণ হয়েছে ৪ হাজার টাকা। এই দুই ক্লাসের টিকেটে পাওয়া যাবে সকালের কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্ট।
এছাড়া অন্যান্য টিকিটের মধ্যে বাংকার স্লিপার বেড জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা, ভিআইপি কেবিনে ২ জনের জন্য ৫০ হাজার টাকা, ফ্যামিলি বাঙ্কার কেবিনে ৪ জনের জন্য ৫০ হাজার টাকা, প্রেসিডেন্টশিয়াল কেবিনে ২ জনের জন্য ৩০ হাজার টাকা এবং রয়েল কেবিনে ২ জনের জন্য ৪৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব ক্লাসের টিকেটে যাত্রীরা পাবেন সকালের ব্রেকফাস্টসহ রাতের খাবার। এছাড়া পরিবারের সাথে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুর জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ভ্রমণের সুযোগ রাখা হয়েছে।
টিকেট বুকিং করতে বর্তমানে মোবাইলে যোগাযোগের ডেডিকেটেড নম্বর রাখা হলেও পরবর্তীতে যাত্রীরা চাইলে অনলাইনেও বুকিং করতে পারবেন। পর্যটন সেবায় এটি নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে বলে জানান এম এ রশিদ।
তিনি আরো জানান, ১২১ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫ দশমিক ৩ মিটার ড্রাফটের জাহাজটি নির্মাণ করে জাপানের কোবেই শহরের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। জাহাজটি ঘণ্টায় ২৪ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে পারে। জাহাজটিতে যাত্রীসেবায় নিয়োজিত থাকবেন ১৫০ জন ক্রু। এছাড়া জাহাজ পরিচালনায় থাকবে আরো ১৭ জন ক্রু। উত্তাল-সমুদ্র মোকাবিলায় ফিন স্ট্যাবিলাইজার সুবিধাও রাখা হয়েছে জাহাজটিতে। এতে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেতেও জাহাজটি চলাচল করতে পারবে। এছাড়া বে ওয়ান ক্রুজ জাহাজটি ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত হওয়ায় আন্তর্জাতিক রুটেও চলাচলের সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, জাপান থেকে আন্তর্জাতিকজ রুটে চলাচলকারী এই জাহাজটি সমুদ্রপথের। এটি উপকূলে ভিড়তে পারে না। সেন্টমার্টিনেও ভিড়তে পারবে না। সেন্টমার্টিনের পাঁচ কিলোমিটার আগে আরেকটি ছোট জাহাজে করে যাত্রীদের সেন্টমার্টিনে নিয়ে যাওয়া হবে।
তিনি বলেন, এই জাহাজের পেছনে প্রতিদিন ১৮-২০ লাখ টাকা খরচ রয়েছে। তাই কমপক্ষে ৫০০ জন যাত্রী না হলে আমাদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এজন্য সেন্টমার্টিনের পাশাপাশি আমরা আন্তর্জাতিক রুটে এই জাহাজ চালানোর জন্য সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছি। অনুমোদন পেলে চট্টগ্রাম থেকে আন্দামান, থাইল্যান্ডের ফুকেট কিংবা ইন্দোনেশিয়া এবং কলকাতায় যাতায়াত করা যাবে। এমনকি হজ্ব যাত্রীদেরও এই জাহাজে করে সাত দিনে সৌদিআরবে পৌঁছে দিতে পারবো। এতে হজ্বযাত্রীরা এবাদত করতে করতে বিমান বন্দরের ঝামেলা এড়িয়ে হজ্ব করতে যেতে পারবে।
তিনি জানান, দুই হাজার যাত্রী বহনে সক্ষম বে ওয়ান ক্রুজ শিপ। বিশ্বের ৩১৪টি বৃহৎ ক্রুজ শিপের একটি । কিন্তু এর মধ্যে অন্তত ৫০০ যাত্রী না হলে শিপটিতে লোকসান গুণতে হবে। তবুও চট্টগ্রমের পতেঙ্গার ১৫ নম্বর ঘাট থেকে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু করবে।
তবে পর্যটন খাতে বিপ্লব ঘটাতে সরকারের অনুমতি পেলে এই শিপ দেশের বাইরেও পর্যটক নিয়ে যেতে পারবে। আর হজের মৌসুমে ২০-৫০ হাজার হাজিকে সমুদ্রপথে সৌদি আরব নিয়ে যেতে পারবে।
ইঞ্জিনিয়ার এম এ রশিদ জানান, এই প্রমোদতরী চট্টগ্রাম থেকে প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার রাত ১১ টায় সেন্টমার্টিন যাত্রা করবে। জাহাজটি সেন্টমার্টিন পৌঁছাবে পরদিন সকাল ৮টায়। এছাড়া ফিরতি পথে প্রতি সপ্তাহের শুক্র, শনি ও রবিবার দুপুর ১ টায় সেন্টমার্টিন থেকে যাত্রা করে জাহাজটি চট্টগ্রাম পৌঁছাবে একই দিন সন্ধ্যা ৭ টায়। চট্টগ্রাম থেকে রাতের যাত্রায় সেন্টমার্টিন পৌঁছাতে সময় লাগবে প্রায় ৯ ঘণ্টা। তবে ফিরতি পথে সেন্টমার্টিন থেকে দিনের যাত্রায় সময় কিছুটা কম লাগবে। ফেরার পথে সময় লাগবে প্রায় ৭ ঘণ্টা।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সমুদ্র যাত্রায় বে ওয়ান ক্রুজে যাওয়া আসার টিকিট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বনিম্ম ৩ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা। এরমধ্যে বিজনেস ক্লাস চেয়ারের জনপ্রতি টিকিট মূল্য নির্ধারণ হয়েছে ৩ হাজার টাকা। লাক্সারি বিজনেস ক্লাস চেয়ারের জনপ্রতি টিকিট মূল্য নির্ধারণ হয়েছে ৪ হাজার টাকা। এই দুই ক্লাসের টিকেটে পাওয়া যাবে সকালের কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্ট।
এছাড়া অন্যান্য টিকিটের মধ্যে বাংকার স্লিপার বেড জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা, ভিআইপি কেবিনে ২ জনের জন্য ৫০ হাজার টাকা, ফ্যামিলি বাঙ্কার কেবিনে ৪ জনের জন্য ৫০ হাজার টাকা, প্রেসিডেন্টশিয়াল কেবিনে ২ জনের জন্য ৩০ হাজার টাকা এবং রয়েল কেবিনে ২ জনের জন্য ৪৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব ক্লাসের টিকেটে যাত্রীরা পাবেন সকালের ব্রেকফাস্টসহ রাতের খাবার। এছাড়া পরিবারের সাথে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুর জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ভ্রমণের সুযোগ রাখা হয়েছে।
টিকেট বুকিং করতে বর্তমানে মোবাইলে যোগাযোগের ডেডিকেটেড নম্বর রাখা হলেও পরবর্তীতে যাত্রীরা চাইলে অনলাইনেও বুকিং করতে পারবেন। পর্যটন সেবায় এটি নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে বলে জানান এম এ রশিদ।
তিনি আরো জানান, ১২১ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫ দশমিক ৩ মিটার ড্রাফটের জাহাজটি নির্মাণ করে জাপানের কোবেই শহরের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। জাহাজটি ঘণ্টায় ২৪ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে পারে। জাহাজটিতে যাত্রীসেবায় নিয়োজিত থাকবেন ১৫০ জন ক্রু। এছাড়া জাহাজ পরিচালনায় থাকবে আরো ১৭ জন ক্রু। উত্তাল-সমুদ্র মোকাবিলায় ফিন স্ট্যাবিলাইজার সুবিধাও রাখা হয়েছে জাহাজটিতে। এতে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেতেও জাহাজটি চলাচল করতে পারবে। এছাড়া বে ওয়ান ক্রুজ জাহাজটি ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত হওয়ায় আন্তর্জাতিক রুটেও চলাচলের সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, জাপান থেকে আন্তর্জাতিকজ রুটে চলাচলকারী এই জাহাজটি সমুদ্রপথের। এটি উপকূলে ভিড়তে পারে না। সেন্টমার্টিনেও ভিড়তে পারবে না। সেন্টমার্টিনের পাঁচ কিলোমিটার আগে আরেকটি ছোট জাহাজে করে যাত্রীদের সেন্টমার্টিনে নিয়ে যাওয়া হবে।
তিনি বলেন, এই জাহাজের পেছনে প্রতিদিন ১৮-২০ লাখ টাকা খরচ রয়েছে। তাই কমপক্ষে ৫০০ জন যাত্রী না হলে আমাদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এজন্য সেন্টমার্টিনের পাশাপাশি আমরা আন্তর্জাতিক রুটে এই জাহাজ চালানোর জন্য সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছি। অনুমোদন পেলে চট্টগ্রাম থেকে আন্দামান, থাইল্যান্ডের ফুকেট কিংবা ইন্দোনেশিয়া এবং কলকাতায় যাতায়াত করা যাবে। এমনকি হজ্ব যাত্রীদেরও এই জাহাজে করে সাত দিনে সৌদিআরবে পৌঁছে দিতে পারবো। এতে হজ্বযাত্রীরা এবাদত করতে করতে বিমান বন্দরের ঝামেলা এড়িয়ে হজ্ব করতে যেতে পারবে।