মত-মতান্তর
তার সঙ্গে আমার আর কোনোদিন পরিচয়ও হবে না
এক মিজানুর রহমান খানের মৃত্যুতে আরেক মিজানুর রহমান খানের আবেগঘন লেখা
তারিক চয়ন
১১ জানুয়ারি ২০২১, সোমবার, ৮:৩১ অপরাহ্ন
বিশিষ্ট সাংবাদিক, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান সোমবার মারা গেছেন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। এক পর্যায়ে করোনামুক্ত হলেও নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়ায় গত শনিবার থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছিল।
সংবিধান ও আইন নিয়ে লেখালেখির কারণে সাংবাদিকতা ও বিচারাঙ্গনে সবার পরিচিত মুখ, বিনয়ী, ভদ্রলোক মিজান তিন দশক ধরে সাংবাদিকতায় যুক্ত ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিজানের চলে যাওয়া নিয়ে শোকের আবহ তৈরি হয়েছে। অনেকেই তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক নানা লেখা পোস্ট করছেন।
কিন্তু অনেকের মাঝে একটি পোস্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। লেখাটি মিজানুর রহমান খানের। হ্যা, ভুল পড়ছেন না। তার নামও মিজানুর রহমান খান। তিনিও সাংবাদিক, বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে কর্মরত। মিজানের চলে যাওয়া নিয়ে ফেসবুকে আবেগঘন একটি লেখা পোস্ট করেছেন তিনি। লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলোঃ
তার সঙ্গে আমার কখনও কথা হয় নি। কিন্তু তার কথা অনেকের কাছে শুনেছি। অনেকে মনে করতেন আমি তিনি। এই ভেবে আমাকে মেসেজ পাঠিয়েছেন। বলেছেন তিনি আমার লেখার ভক্ত, আমার নিবন্ধ তার ভালো লাগে। আমি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে জবাব দিয়েছি এই বলে যে তিনি অন্য এক ব্যক্তি।
তার কথা প্রথম শুনি যখন আমি বিচিত্রার সাংবাদিক। তিনি তখন বাংলাবাজার পত্রিকায় কাজ করেন। কেউ যখন তাকে বলতেন ভাই এ সপ্তাহে বিচিত্রায় আপনার কভার স্টোরি পড়েছি তখন নাকি তিনি খুব লজ্জা পেতেন এবং বলতেন যে তিনি সেটা লিখেন নি। সম্প্রতি তিনি যখন অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন অনেকেই আমার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করে আমাকে মেসেজ পাঠিয়েছেন। প্রচণ্ড বেদনার সঙ্গে আমি তখন তাদের জানিয়েছি যে আমি সুস্থ্য আছি, কিন্তু শুনেছি ওনার অবস্থা ভাল না, আসুন আমরা সবাই তার জন্য প্রার্থনা করি।
আমার খুব ইচ্ছে ছিল তার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার। আমার ধারণা আমার মতো তিনিও হয়তো নাম নিয়ে একই রকম প্রশ্নের মুখে পড়তেন। ইচ্ছে ছিল দেখা হলে তার সঙ্গে এটা নিয়ে মজা করবো। তিনি যখন অসুস্থ তখন দেখি আমার ফেসবুকে তিনি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন। কবে পাঠিয়েছেন বলতে পারবো না। আমি আগে সেটা দেখিনি। দেখা হলে তখনই আনন্দের সঙ্গে সেটা গ্রহণ করতাম এবং তার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করতাম। কাল রাতে আমি সেটা গ্রহণ করেছি। কিন্তু তিনি সেটা আর কখনো জানতে পারবেন না। তার সঙ্গে আমার আর কোনোদিন পরিচয়ও হবে না।
প্রথম আলোর সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের মৃত্যুর খবরে আমার এরকম অনুভূতি হচ্ছে যেনো আমার নিজের মৃত্যু হয়েছে। তার অনন্ত জীবনের জন্য প্রার্থনা করছি এবং আশা করছি আরেক জীবনে তার সঙ্গে আমার পরিচয় হবে।
বি:দ্র: সাধারণত কারো মৃত্যুতে আমি পোস্ট দেই না। কিন্তু তার মৃত্যুতে কষ্ট হচ্ছে বলে কিছু কথা শেয়ার করে কষ্ট কমাতে চাইলাম।
সংবিধান ও আইন নিয়ে লেখালেখির কারণে সাংবাদিকতা ও বিচারাঙ্গনে সবার পরিচিত মুখ, বিনয়ী, ভদ্রলোক মিজান তিন দশক ধরে সাংবাদিকতায় যুক্ত ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিজানের চলে যাওয়া নিয়ে শোকের আবহ তৈরি হয়েছে। অনেকেই তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক নানা লেখা পোস্ট করছেন।
কিন্তু অনেকের মাঝে একটি পোস্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। লেখাটি মিজানুর রহমান খানের। হ্যা, ভুল পড়ছেন না। তার নামও মিজানুর রহমান খান। তিনিও সাংবাদিক, বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে কর্মরত। মিজানের চলে যাওয়া নিয়ে ফেসবুকে আবেগঘন একটি লেখা পোস্ট করেছেন তিনি। লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলোঃ
তার সঙ্গে আমার কখনও কথা হয় নি। কিন্তু তার কথা অনেকের কাছে শুনেছি। অনেকে মনে করতেন আমি তিনি। এই ভেবে আমাকে মেসেজ পাঠিয়েছেন। বলেছেন তিনি আমার লেখার ভক্ত, আমার নিবন্ধ তার ভালো লাগে। আমি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে জবাব দিয়েছি এই বলে যে তিনি অন্য এক ব্যক্তি।
তার কথা প্রথম শুনি যখন আমি বিচিত্রার সাংবাদিক। তিনি তখন বাংলাবাজার পত্রিকায় কাজ করেন। কেউ যখন তাকে বলতেন ভাই এ সপ্তাহে বিচিত্রায় আপনার কভার স্টোরি পড়েছি তখন নাকি তিনি খুব লজ্জা পেতেন এবং বলতেন যে তিনি সেটা লিখেন নি। সম্প্রতি তিনি যখন অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন অনেকেই আমার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করে আমাকে মেসেজ পাঠিয়েছেন। প্রচণ্ড বেদনার সঙ্গে আমি তখন তাদের জানিয়েছি যে আমি সুস্থ্য আছি, কিন্তু শুনেছি ওনার অবস্থা ভাল না, আসুন আমরা সবাই তার জন্য প্রার্থনা করি।
আমার খুব ইচ্ছে ছিল তার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার। আমার ধারণা আমার মতো তিনিও হয়তো নাম নিয়ে একই রকম প্রশ্নের মুখে পড়তেন। ইচ্ছে ছিল দেখা হলে তার সঙ্গে এটা নিয়ে মজা করবো। তিনি যখন অসুস্থ তখন দেখি আমার ফেসবুকে তিনি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন। কবে পাঠিয়েছেন বলতে পারবো না। আমি আগে সেটা দেখিনি। দেখা হলে তখনই আনন্দের সঙ্গে সেটা গ্রহণ করতাম এবং তার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করতাম। কাল রাতে আমি সেটা গ্রহণ করেছি। কিন্তু তিনি সেটা আর কখনো জানতে পারবেন না। তার সঙ্গে আমার আর কোনোদিন পরিচয়ও হবে না।
প্রথম আলোর সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের মৃত্যুর খবরে আমার এরকম অনুভূতি হচ্ছে যেনো আমার নিজের মৃত্যু হয়েছে। তার অনন্ত জীবনের জন্য প্রার্থনা করছি এবং আশা করছি আরেক জীবনে তার সঙ্গে আমার পরিচয় হবে।
বি:দ্র: সাধারণত কারো মৃত্যুতে আমি পোস্ট দেই না। কিন্তু তার মৃত্যুতে কষ্ট হচ্ছে বলে কিছু কথা শেয়ার করে কষ্ট কমাতে চাইলাম।