অনলাইন

বৃটেনে প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন কোভিড আক্রান্ত, মৃত্যু ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে

সাঈদ চৌধুরী

১১ জানুয়ারি ২০২১, সোমবার, ৯:২৫ পূর্বাহ্ন

ফাইল ফটো

বৃটেনে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নতুন মডেলিংয়ের তথ্যানুসারে প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন কোভিড আক্রান্ত। পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কর্তৃপক্ষ বলছেন, জনগণকে অবশ্যই বাড়ির বাইরে যাওয়া বা বাইরে থাকা উচিত নয়। 'যুক্তিসঙ্গত কারণ' ছাড়া বাড়ির বাইরে গেলে জরিমানা প্রদান করতে হবে। পুলিশ এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। প্রথম বারের জন্য ২০০ পাউন্ড এবং পরবর্তী অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬৪০০ পাউন্ড পর্যন্ত হতে পারে।

লন্ডনের মেয়র সাদিক খান রাজধানীতে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন। সবাইকে বাড়িতে থাকতে তিনি অনুরোধ করেছেন। জনগণকে দোকানপাট বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছে। কঠোর  বিধিনিষেধের আওতায় পরিবার সমূহ একে অপরকে দেখতে পাচ্ছে না।  সংক্রমণ রোধে এই মূহুর্তে আর কোন বিকল্প নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।

বৃটেনে করোনা ভাইরাস এডভাইজারি গ্রুপের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হরবি বলেছেন, কেন্টের নতুন রূপের ভাইরাসটি কোভিডের পুরানো স্ট্রেনের চেয়ে অনেক বেশি সংক্রমণযোগ্য এবং এটি পরিস্থিতি আরও 'ঝুঁকিপূর্ণ' করে তুলেছে।

নতুন মডেলিংয়ের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মহামারী শুরুর পর থেকে ১২.৪ মিলিয়ন লোক সংক্রামিত হয়েছে। তবে টেস্ট এন্ড ট্রেস দ্বারা মাত্র ২.৪ মিলিয়নকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর অর্থ হল, পুরো দেশজুড়ে সংক্রমিত প্রকৃত সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে প্রদত্ত সংখ্যার চেয়ে পাঁচগুণ বেশি হতে পারে। অর্থাৎ  প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন কোভিড আক্রান্ত।

সুত্র মতে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্ত আরও বেশি হতে পারে। লন্ডন এবং দক্ষিণাঞ্চলে আজ পর্যন্ত যতগুলি সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে তার চেয়ে আটগুণ বেশি আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান করা হয়। এজ হেলথের বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রকৃত সংখ্যা ৩ জানুয়ারির হিসাবে ১২.৪ মিলিয়ন। মোট জনসংখ্যার হিসেবে ২২ শতাংশ।

লন্ডন এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ছয়টি বারার (স্থানীয় কর্তৃপক্ষের) মধ্যে পাঁচটিতে সব চেয়ে বেশী লোক সংক্রমিত হয়েছেন। বারাগুলো হচ্ছে বার্কিং এন্ড ডেগেনহাম, নিউহাম, থুরোক, রেডব্রিজ, হ্যাভারিং এবং টাওয়ার হ্যামলেটস। মডেলিং থেকে জানা যায়, নিউহাম, রিডিং এবং বার্কিং এন্ড ডেগেনহাম এলাকায় প্রত্যেক অফিসিয়াল রেকর্ড করা পরিসংখ্যান অনুসারে প্রায় আট গুণ বেশি সংক্রমিত।

এজ হেলথের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক জর্জ ব্যাচেলর বলেছেন, রিপোর্ট করা পরীক্ষাগুলি মোট সংক্রমণের চিত্রের একটি অংশ মাত্র। এতে দেখা যায়, লন্ডন এবং উত্তর-পশ্চিমে মহামারী কালীন সময়ে কতটা খারাপভাবে আঘাত হেনেছে।

স্বাস্থ্য সম্পর্কে স্থানীয় পরিসংখ্যান সম্পর্কিত জাতীয় পরিসংখ্যান এবং তাদের আনুমানিক সংক্রমণের মৃত্যুর হার অনুপাত (আইএফআর) দ্বারা প্রকাশিত প্রতিটি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোভিড-সম্পর্কিত মৃত্যুর তালিকা থেকে মোট কেসগুলি অনুমান করে। আইএফআর স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বয়সের প্রোফাইল এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা থেকে বয়স-নির্দিষ্ট সংক্রমণের মারাত্মক অনুপাত প্রয়োগ করে গণনা করে থাকে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status