এক্সক্লুসিভ

এমসি’র ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার চার্জগঠন এক সপ্তাহ পিছিয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে

৪ জানুয়ারি ২০২১, সোমবার, ৮:২৫ অপরাহ্ন

এমসি কলেজের ছাত্রাবাস প্রাঙ্গণে গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ পিছিয়েছেন আদালত। চাঞ্চল্যকর এ মামলাটির বিচারের নিমিত্তে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের তারিখ ছিল গতকাল রোববার। চার্জশিটে অভিযুক্ত ৮ জনকেই সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এনে হাজির করা হয় সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হকের আদালতে। তবে অভিযোগপত্র পর্যালোচনা এবং নারাজি দাখিলের জন্য সময় প্রার্থনা করেন মামলার বাদীপক্ষ। মামলার বাদী ধার্য তারিখে নারাজি দাখিল করে মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন আদালত সূত্র। আদালত সূত্র জানায়, আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে জামিন প্রার্থনা করেন মামলার অভিযোগপত্রের আসামি অর্জুন লস্কর। জামিন আবেদন শুনানি শেষে তা নামঞ্জুর করেন আদালত। গত বছরের ২৫শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এমসি কলেজের ছাত্রাবাস প্রাঙ্গণে স্বামীকে আটকে প্রাইভেট কারের ভেতর সংঘবদ্ধভাবে গৃববধূ (২৫)-কে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মী। ঘটনার রাতেই নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে এসএমপি’র শাহপরান থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। পরবর্তীতে ৬ আসামিসহ সন্দেহভাজন আরো ২ জনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব ও পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসু। গ্রেপ্তারের পর তাদের প্রত্যেককে ৫ দিন করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে সকলেই দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। গত ৩রা ডিসেম্বর ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে এই মামলার অভিযোগপত্র প্রদান করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়াকে সরাসরি ধর্ষণে সম্পৃক্ত এবং রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই ৮ জনই বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। অপরদিকে, ধর্ষণের অভিযোগে দাখিলকৃত মামলাটি গত ৩রা ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এবং রোববার চাঁদাবাজি ও মারপিটের অভিযোগে মামলাটি সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারের জন্য বদলি করেন সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status