এক্সক্লুসিভ
আমাদের সমস্যা নিষ্পত্তির পথে হাঁটতে হবে (পর্ব- ৪২)
কাজল ঘোষ
৪ জানুয়ারি ২০২১, সোমবার, ৮:২৫ অপরাহ্ন
বিকালে আমি ট্রেজারি বিভাগে কর্মরত এলিজাবেথ ওয়ারেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। যেখানে ভোক্তাদের আর্থিক নিরাপত্তা বিষয়ক ‘কনজ্যুমার ফাইন্যান্সিয়াল প্রটেকশন ব্যুরো’ অবস্থিত। আমি একই রকমের উদ্বেগ উত্থাপন করি তার কাছেও এবং তিনি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন এবং আমাকে সমর্থন জানান। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে তিনি আমাদের নির্ধারিত পথে চলতে বলতে না পারলেও আমি ধারণা করেছিলাম যে, আমি এগুলে তিনি তার অর্থ বুঝতে পারবেন।
আমরা রাতে বাসায় ফিরে আবারো একই বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করি। আমি তাকে বললাম যে, ক্যালিফোর্নিয়ার কিছু এলাকায় দুই বিলিয়ন থেকে চার বিলিয়নের মধ্যে যে সেটেলম্যান্টে যাচ্ছে তাতে আমাদের সমর্থন থাকা দরকার। অনেক আইনজীবী মনে করলেন- এটা বড় অঙ্ক, অঙ্কটি শুরু করার মতো অনেক বড়। আমার বলার বিষয় ছিল, তুলনাটি কিসের সঙ্গে? যদি ব্যাংক অবৈধ কোনো স্কিমের জন্য দু’বিলিয়ন থেকে ৪ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির স্বীকার হয় সেক্ষেত্রে এটা কি অনেক বড় নাম্বার হবে ছোট কিছু শুরুর জন্য।
এ মুহূর্তে আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমার অফিস এই টাকার অঙ্ক নিয়ে যে আলোচনা তার উত্তর দেয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। এই সমস্যার সমাধান শুধুমাত্র অর্থনীতিবিদ এবং পরিসংখ্যানবিদ তারাই সমাধান করতে পারবে আইনজীবীরা নয়। ঘটনার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আমি সিদ্ধান্ত নিলাম বেশকিছু বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয়ার এবং সংখ্যার খেলাটি তাদেরকেই খেলতে দিলাম। আমি জানতে চাইলাম প্রতি রাজ্যে কতজন বাড়ির মালিক এই সংকটে ডুবে গেছে। আমরা সবচেয়ে বেশি সমস্যাগ্রস্তদের মুক্তি দেয়ার লক্ষ্য ঠিক করলাম। আমি আরো বুঝতে চাইলাম যে, কীভাবে মানবিক বিবেচনায় বিষয়টি দেখা যায়। কি পরিমাণ মানুষকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করা যায়? আর কতজন তা প্রতিরোধ করতে পারবে? আর কত শিশু পূর্বাভাসের ফলে সৃষ্ট সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে?
ফলাফল এতই অগ্রহণযোগ্য ছিল যে, আমি ভয় পেয়েছিলাম। ক্ষতির তুলনায় ব্যাংকগুলো যে পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রস্তাব করেছিল তা ক্ষতির ধারে কাছেও ছিল না।
‘আমাদের সমস্যা নিষ্পত্তির পথে হাঁটতে হবে’- আমি আমার টিমের সদস্যদের বললাম। ‘আমি যা করার কথা বলেছি এর বাইরে কোনো সমাধান নেই।’ আমি তাদের আরো বললাম স্বাধীন তদন্ত করার এটাই সময়। ‘ভেবে দেখ আমরা একটি নিমন্ত্রণে এসেছি আর আমাদের ফেরার কোনো গাড়ি নেই।’ আমি বললাম- সুতরাং, আমাদেরকে এমনভাবে বাহন প্রস্তুত রাখতে হবে যেন যখনই প্রয়োজন তখনই যেতে পারি।’
আমি সেই দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে রাজ্যভিত্তিক তদন্ত কার্যক্রম চালুর পরিকল্পনা নিলাম দলের সঙ্গে বসে। এটাই ছিল সময়। ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল মর্টগেজ স্টাইক ফোর্স ঘোষণা করতে যাচ্ছে। যে ফোর্সে যুক্ত থাকবে ভালো এবং মেধাবী আইনজীবীরা যারা ভোক্তা প্রতারক, করপোরেট প্রতারক এবং অপরাধ বিভাগ নিয়ে কাজের শপথ নেবে।
তদন্তের সব থেকে কঠিন অংশ ছিল রোবো সাইনিং। তবে আমার চেষ্টা ছিল আরো বিস্তৃত। আমি ফেনি মেই এবং ফ্রেডি ম্যাকের কাছে যেতে চেয়েছিলাম তারাই যুক্তরাষ্ট্রের ৬২ শতাংশ মর্টগেজের মালিক। আমি চাইছিলাম মর্টগেজভিত্তিক নিরাপত্তার বিষয়ে তদন্ত করতে। জেপি মর্গান চেইজ এটি ক্যালিফোর্নিয়া পাবলিক এমপ্লয় পেনশন ফান্ডের কাছে বিক্রয় করে দিয়েছিল। একইসঙ্গে আমি সেই সব রক্তখেকোদের পেছনে ধাওয়া করতে চেয়েছিলাম। যারা এই মানুষগুলোর হতাশার জন্য দায়ী। তারা বাড়ির মালিকদের সামান্য সঞ্চয়ও মিথ্যা আশ্বাসের মধ্যে কেড়ে নিয়েছিল।
বিষয়বস্তুটি এমন ছিল যে, আমরা আমাদের তদন্ত চালিয়ে গিয়েছিলাম মাল্টিস্টেট দরকষাকষিতে সুবিধা আদায়ের জন্য। ব্যাংকগুলো আতঙ্কিত হয়ে গিয়েছিল যে, আমি ঝামেলা সৃষ্টি করছি। তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে এটিই ছিল আমার লক্ষ্য। কিন্তু আমার উদ্বেগের বদলায় রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ব্যাংক এর জবাব দিতে লাগলো। গ্রীষ্মকালের এই সময়টুকুতে আমরা দুটি রাস্তা চিহ্নিত করতে পারি। আর তা হলো তদন্তের একটি দিক এবং অন্যটি নিষ্পত্তির আলোচনার দিক। আমার টিম এ নিয়ে রাতদিন কাজ করতে লাগলো। তারা রাজ্যজুড়ে ছুটতে লাগলো এবং ওয়াশিংটনেও পৌঁছে গেল। এবং তারপরও দরকষাকষিতে বসা গেল না। ব্যাংকগুলো আমাদের দাবিগুলো উড়িয়ে দিলো। একই সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় পূর্বাভাসজনিত ঋণ লক্ষণীয়ভাবে বেড়ে গেল।
আগস্টে নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল মাল্টিস্টেট নিয়ে দরকষাকষি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলো। এ ঘটনার পর সকলের চোখ ছিল আমার দিকে- আমিও এই দরকষাকষি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছি কিনা?
আমি তা করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আমি চাচ্ছিলাম আমাদের দাবিগুলো মেনে নেয়ার জন্য যেকোনোভাবে ব্যাংকগুলোকে বাধ্য করতে। দাবিগুলোর মধ্যে ব্যাংকের সংস্কারের কথা রয়েছে। যা ছিল দরকষাকষির অংশ। তাই আমি চাচ্ছিলাম তার বাস্তবায়ন। আমাদেরকে ভালোভাবে বেছে নিতে বলা হয়েছিল। আমাদের বলা হয়েছিল হয় সংস্কার নয়তো টাকা। আমি দুটোই চাচ্ছিলাম। আমি জানতাম যে, সময় কম ছিল। হত্যা মামলার ক্ষেত্রে শরীর হিম হয়ে যায় এবং আপনি শাস্তির ব্যাপারে কথা বলছেন। এবং এমন অবস্থায় দৃশ্যপট এখনো অস্পষ্ট। যখন দরকষাকষি চলছে তখনই হাজারও বাড়ির মালিক ঋণ পরিশোধের নোটিশ পেলো। এটা প্রত্যেক দিনই ঘটছিলো। এটাই ছিল বর্তমান। বিস্তৃত এলাকাজুড়ে, জিপ কোডভুক্ত পুরো অঞ্চলটি জুড়ে হাজার হাজার ডলারের নিচে ডুবে গিয়েছিল মানুষ। আমি এবং আমার টিম প্রতি সপ্তাহে হিসাব রাখছিলাম এবং সেখানে একটি হিসাব ছিল যাতে এমন মানুষজনের তালিকা ছিল যারা একমাস বা দুইমাস বা তিন মাসের মধ্যে বাড়ি হারাচ্ছে। আলোচনার টেবিল ছাড়ার আগে আমি চাচ্ছিলাম আমার রাজ্যের জন্য একটি ন্যায্য একটি চুক্তি করতে। সে সময় প্রতিদিনকার দরকষাকষিগুলো মাইকেল এবং তার দলই চালিয়ে নিচ্ছিল। পরবর্তী বৈঠক হওয়ার কথা ছিল সেপ্টেম্বর মাসে। এতে ব্যাংকগুলোর সংগঠন আমাকে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানায়। আমি নিশ্চিত ছিলাম তারা আমাকে সেখানে চায় কারণ আলোচনায় থাকা সকলে মিলে আমাকে শিক্ষা দিতে পারে। কোথাকার কোন নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল। ভালো হয়েছে আমিও তাদেরকে শিক্ষা দিতে চাই।
কমালা হ্যারিসের অটোবায়োগ্রাফি
‘দ্য ট্রুথ উই হোল্ড’ বই থেকে
আমরা রাতে বাসায় ফিরে আবারো একই বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করি। আমি তাকে বললাম যে, ক্যালিফোর্নিয়ার কিছু এলাকায় দুই বিলিয়ন থেকে চার বিলিয়নের মধ্যে যে সেটেলম্যান্টে যাচ্ছে তাতে আমাদের সমর্থন থাকা দরকার। অনেক আইনজীবী মনে করলেন- এটা বড় অঙ্ক, অঙ্কটি শুরু করার মতো অনেক বড়। আমার বলার বিষয় ছিল, তুলনাটি কিসের সঙ্গে? যদি ব্যাংক অবৈধ কোনো স্কিমের জন্য দু’বিলিয়ন থেকে ৪ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির স্বীকার হয় সেক্ষেত্রে এটা কি অনেক বড় নাম্বার হবে ছোট কিছু শুরুর জন্য।
এ মুহূর্তে আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমার অফিস এই টাকার অঙ্ক নিয়ে যে আলোচনা তার উত্তর দেয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। এই সমস্যার সমাধান শুধুমাত্র অর্থনীতিবিদ এবং পরিসংখ্যানবিদ তারাই সমাধান করতে পারবে আইনজীবীরা নয়। ঘটনার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আমি সিদ্ধান্ত নিলাম বেশকিছু বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয়ার এবং সংখ্যার খেলাটি তাদেরকেই খেলতে দিলাম। আমি জানতে চাইলাম প্রতি রাজ্যে কতজন বাড়ির মালিক এই সংকটে ডুবে গেছে। আমরা সবচেয়ে বেশি সমস্যাগ্রস্তদের মুক্তি দেয়ার লক্ষ্য ঠিক করলাম। আমি আরো বুঝতে চাইলাম যে, কীভাবে মানবিক বিবেচনায় বিষয়টি দেখা যায়। কি পরিমাণ মানুষকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করা যায়? আর কতজন তা প্রতিরোধ করতে পারবে? আর কত শিশু পূর্বাভাসের ফলে সৃষ্ট সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে?
ফলাফল এতই অগ্রহণযোগ্য ছিল যে, আমি ভয় পেয়েছিলাম। ক্ষতির তুলনায় ব্যাংকগুলো যে পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রস্তাব করেছিল তা ক্ষতির ধারে কাছেও ছিল না।
‘আমাদের সমস্যা নিষ্পত্তির পথে হাঁটতে হবে’- আমি আমার টিমের সদস্যদের বললাম। ‘আমি যা করার কথা বলেছি এর বাইরে কোনো সমাধান নেই।’ আমি তাদের আরো বললাম স্বাধীন তদন্ত করার এটাই সময়। ‘ভেবে দেখ আমরা একটি নিমন্ত্রণে এসেছি আর আমাদের ফেরার কোনো গাড়ি নেই।’ আমি বললাম- সুতরাং, আমাদেরকে এমনভাবে বাহন প্রস্তুত রাখতে হবে যেন যখনই প্রয়োজন তখনই যেতে পারি।’
আমি সেই দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে রাজ্যভিত্তিক তদন্ত কার্যক্রম চালুর পরিকল্পনা নিলাম দলের সঙ্গে বসে। এটাই ছিল সময়। ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল মর্টগেজ স্টাইক ফোর্স ঘোষণা করতে যাচ্ছে। যে ফোর্সে যুক্ত থাকবে ভালো এবং মেধাবী আইনজীবীরা যারা ভোক্তা প্রতারক, করপোরেট প্রতারক এবং অপরাধ বিভাগ নিয়ে কাজের শপথ নেবে।
তদন্তের সব থেকে কঠিন অংশ ছিল রোবো সাইনিং। তবে আমার চেষ্টা ছিল আরো বিস্তৃত। আমি ফেনি মেই এবং ফ্রেডি ম্যাকের কাছে যেতে চেয়েছিলাম তারাই যুক্তরাষ্ট্রের ৬২ শতাংশ মর্টগেজের মালিক। আমি চাইছিলাম মর্টগেজভিত্তিক নিরাপত্তার বিষয়ে তদন্ত করতে। জেপি মর্গান চেইজ এটি ক্যালিফোর্নিয়া পাবলিক এমপ্লয় পেনশন ফান্ডের কাছে বিক্রয় করে দিয়েছিল। একইসঙ্গে আমি সেই সব রক্তখেকোদের পেছনে ধাওয়া করতে চেয়েছিলাম। যারা এই মানুষগুলোর হতাশার জন্য দায়ী। তারা বাড়ির মালিকদের সামান্য সঞ্চয়ও মিথ্যা আশ্বাসের মধ্যে কেড়ে নিয়েছিল।
বিষয়বস্তুটি এমন ছিল যে, আমরা আমাদের তদন্ত চালিয়ে গিয়েছিলাম মাল্টিস্টেট দরকষাকষিতে সুবিধা আদায়ের জন্য। ব্যাংকগুলো আতঙ্কিত হয়ে গিয়েছিল যে, আমি ঝামেলা সৃষ্টি করছি। তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে এটিই ছিল আমার লক্ষ্য। কিন্তু আমার উদ্বেগের বদলায় রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ব্যাংক এর জবাব দিতে লাগলো। গ্রীষ্মকালের এই সময়টুকুতে আমরা দুটি রাস্তা চিহ্নিত করতে পারি। আর তা হলো তদন্তের একটি দিক এবং অন্যটি নিষ্পত্তির আলোচনার দিক। আমার টিম এ নিয়ে রাতদিন কাজ করতে লাগলো। তারা রাজ্যজুড়ে ছুটতে লাগলো এবং ওয়াশিংটনেও পৌঁছে গেল। এবং তারপরও দরকষাকষিতে বসা গেল না। ব্যাংকগুলো আমাদের দাবিগুলো উড়িয়ে দিলো। একই সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় পূর্বাভাসজনিত ঋণ লক্ষণীয়ভাবে বেড়ে গেল।
আগস্টে নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল মাল্টিস্টেট নিয়ে দরকষাকষি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলো। এ ঘটনার পর সকলের চোখ ছিল আমার দিকে- আমিও এই দরকষাকষি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছি কিনা?
আমি তা করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আমি চাচ্ছিলাম আমাদের দাবিগুলো মেনে নেয়ার জন্য যেকোনোভাবে ব্যাংকগুলোকে বাধ্য করতে। দাবিগুলোর মধ্যে ব্যাংকের সংস্কারের কথা রয়েছে। যা ছিল দরকষাকষির অংশ। তাই আমি চাচ্ছিলাম তার বাস্তবায়ন। আমাদেরকে ভালোভাবে বেছে নিতে বলা হয়েছিল। আমাদের বলা হয়েছিল হয় সংস্কার নয়তো টাকা। আমি দুটোই চাচ্ছিলাম। আমি জানতাম যে, সময় কম ছিল। হত্যা মামলার ক্ষেত্রে শরীর হিম হয়ে যায় এবং আপনি শাস্তির ব্যাপারে কথা বলছেন। এবং এমন অবস্থায় দৃশ্যপট এখনো অস্পষ্ট। যখন দরকষাকষি চলছে তখনই হাজারও বাড়ির মালিক ঋণ পরিশোধের নোটিশ পেলো। এটা প্রত্যেক দিনই ঘটছিলো। এটাই ছিল বর্তমান। বিস্তৃত এলাকাজুড়ে, জিপ কোডভুক্ত পুরো অঞ্চলটি জুড়ে হাজার হাজার ডলারের নিচে ডুবে গিয়েছিল মানুষ। আমি এবং আমার টিম প্রতি সপ্তাহে হিসাব রাখছিলাম এবং সেখানে একটি হিসাব ছিল যাতে এমন মানুষজনের তালিকা ছিল যারা একমাস বা দুইমাস বা তিন মাসের মধ্যে বাড়ি হারাচ্ছে। আলোচনার টেবিল ছাড়ার আগে আমি চাচ্ছিলাম আমার রাজ্যের জন্য একটি ন্যায্য একটি চুক্তি করতে। সে সময় প্রতিদিনকার দরকষাকষিগুলো মাইকেল এবং তার দলই চালিয়ে নিচ্ছিল। পরবর্তী বৈঠক হওয়ার কথা ছিল সেপ্টেম্বর মাসে। এতে ব্যাংকগুলোর সংগঠন আমাকে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানায়। আমি নিশ্চিত ছিলাম তারা আমাকে সেখানে চায় কারণ আলোচনায় থাকা সকলে মিলে আমাকে শিক্ষা দিতে পারে। কোথাকার কোন নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল। ভালো হয়েছে আমিও তাদেরকে শিক্ষা দিতে চাই।
কমালা হ্যারিসের অটোবায়োগ্রাফি
‘দ্য ট্রুথ উই হোল্ড’ বই থেকে