দেশ বিদেশ

কিশোরগঞ্জে ৭৮ পাউন্ডের কেক কেটে প্রেসিডেন্টের ৭৮তম জন্মদিন উদযাপন

আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ থেকে

২ জানুয়ারি ২০২১, শনিবার, ৮:৩৪ অপরাহ্ন

কিশোরগঞ্জে নানা আনুষ্ঠানিকতায় প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের ৭৮তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে প্রেসিডেন্টের শিক্ষা ও রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিবিজড়িত গুরুদয়াল সরকারি কলেজ সংলগ্ন নরসুন্দা মুক্তমঞ্চে বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গতকাল সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের ৭৮তম জন্মদিন উদযাপন কমিটির আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে ৭৮ পাউন্ডের বিশাল কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জন্মদিন উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি পিপি এডভোকেট শাহ আজিজুল হক। এতে পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার), জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দুলাল চন্দ্র সূত্রধর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মো. কামরুল আহসান শাহজাহান, সহ-সভাপতি ও জিপি এডভোকেট বিজয় শঙ্কর রায়, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শাহজাহান, প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের পরিচালক প্রেসিডেন্টপুত্র রাসেল আহমেদ তুহিন, সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা দুলু, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ শহিদুল ইসলাম হুমায়ুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু। বক্তারা প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানে রাজনীতিক, বীরমুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মী এবং কিশোরগঞ্জের নানা শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা ও কেক কাটা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।
জন্মদিন উদযাপন কমিটি ছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের উদ্যোগে কিশোরগঞ্জে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের ৭৮তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের টানা দুইবারের প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ১৯৪৪ সালের ১লা জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলা সদরের কামালপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম হাজি মো. তায়েব উদ্দিন ছিলেন একজন কৃষক এবং মাতা মরহুমা তমিজা খাতুন ছিলেন গৃহিণী। স্থানীয় বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে ১৯৬১ সালে তিনি নিকলী জিসি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং পরবর্তীতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ঢাকার সেন্ট্রাল ল কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর আইন পেশায় কিশোরগঞ্জ বারে যোগদান করেন। ছাত্রাবস্থায় ১৯৫৯ সালে তৎকালীন ছাত্রলীগে যোগ দেয়ার মাধ্যমে মো. আবদুল হামিদের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৬১ সালে গুরুদয়াল কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন। ফলে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার তাকে কারারুদ্ধ করে। ১৯৬৩ সালে তিনি গুরুদয়াল কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৬৫ সালে একই কলেজের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ সালে কিশোরগঞ্জ মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং ১৯৬৬-৬৭ সালে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৬ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তিনি কারাবন্দি ছিলেন। এরপর থেকে ২০০১ সালে স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি একটানা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status