বাংলারজমিন

পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা রেললাইন সম্প্রসারণ কাজ শুরু শিগগিরই

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

১ জানুয়ারি ২০২১, শুক্রবার, ৮:২৬ অপরাহ্ন

চতুর্দেশীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা সম্বলিত পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলপথমন্ত্রী এডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন। পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক ও রেলওয়ের পরিচালক (প্রকৌশল) আবু জাফর মিয়া সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মূল রিপোর্ট উপস্থাপন করেন। তিনি রিপোর্টে তিনটি বিকল্প প্রস্তাবে বলেন, পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত ৫০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ বাদে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ২৮ হাজার কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। পাঁচটি স্টেশন, চারটি নদীতে বড় সেতু ও ১৪টি কালভার্ট নির্মাণ করতে হবে। এজন্য ৮৬০ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। ৬১ একর চা বাগান ও চারটি সড়ক স্থানে মহাসড়ক অতিক্রম করার বিষয় রয়েছে। বাংলাবান্ধা থেকে ভারতের শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেল সম্প্রসারণে দু’টি বিকল্প প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তা সমীক্ষা করবে। এর মধ্যে একটাতে ১১ কিলোমিটার ও অন্যটাতে ৪ দশমিক ৪৭ কিলোমিটার প্রস্তাব করা হয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণের সমীক্ষা ও নকশা সম্পন্ন হয়েছে। মন্ত্রী এডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, চতুর্দেশীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা সম্বলিত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ করা হলে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ বহুমাত্রিক সফলতা অর্জন সম্ভব হবে। পঞ্চগড়বাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ও ভারতের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আগামী ৫০ বছর পর যে উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ তৈরি হবে সেই কথা বিবেচনা করে বাংলাবান্ধা স্টেশনের পাশে আধুনিক শপিং মল তৈরি সমীক্ষায় রাখা হয়েছে। পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হচ্ছে শিগগিরই। সমীক্ষা শেষ হয়েছে। প্রায় ৫০ কিলোমিটার হবে নতুন রেললাইন ও এর মধ্যে নতুন করে পাঁচটি নতুন রেলস্টেশন তৈরি হবে।
 তিনি বলেন, যোগাযোগের সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে রেল ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে সারা দেশে পরিকল্পিতভাবে আধুনিক ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন করে চলেছে সরকার। ১৯৬৫ সালে পাক ভারত যুদ্ধের পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে ৮টি পয়েন্টে রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল ইতিমধ্যে ৫টি চালু করা হয়েছে। অচিরেই বাকি তিনটি চালু করা হবে। একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী পরিকল্পিতভাবে সারা দেশে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করে চলেছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থার মহাপরিকল্পনা নিয়ে যে উন্নয়ন করা হচেছ অচিরেই সারা দেশে উন্নত যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে। দেশের মানুষ সাশ্রয়ী সময়ে আরামদায়ক চলাচল করতে পারবে। গ্রাম আর গ্রাম থাকবে না। জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে সংসদ সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, রেল বিভাগের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. আবু জাফর মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া সভায় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, রেল বিভাগের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত প্রস্তাবিত রেল লাইন এলাকা সরজমিন পরিদর্শন করেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status