মত-মতান্তর
না জয়যুক্ত হয়েছে
শামীমুল হক
৩১ ডিসেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন
মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা সবখানে। গতকাল জেএসডির সভাপতি আসম রব ফের মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি দাবি তুলেছেন বর্তমান সঙ্কট নিরসনে একমাত্র সমাধান মধ্যবর্তী নির্বাচন। সদ্য সাবেক ডাকসু ভিপি নুরও মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু সরকার পক্ষ থেকে এ দাবি নিয়ে তেমন কোন কথা বলা হচ্ছেনা। আর বিএনপি তো নতুন নির্বাচনের দাবি তুলে আসছে জাতীয় নির্বাচনের পর থেকেই। তারা নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে কথা বলছেন। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইছেন। আবার বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছেন।
ভোটের দিন নির্বাচনী মাঠে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কখনো কখনো ভোট শুরুর পর নির্বাচন বয়কট করছেন। তাদের এগুলো মুখেই থেকে যাচ্ছে। কারণ ফের নির্বাচনে তারা অংশ নিচ্ছেন। আর অংশ নিয়ে তারা কি প্রমাণ করছেন? জয় পরাজয় মেনেই তারা এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রশ্ন হলো- যেখানে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন সেখানে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি কি বোঝাতে চাইছেন। আবার মধ্যবর্তী নির্বাচনের আওয়াজ তোলাই বা কতটুকু যৌক্তিক? এছাড়া দেশ তো সুন্দরই চলছে। সংসদও সুন্দর চলছে। বছরের শুরুতেই বসছে শীতকালীন সংসদ অধিবেশন। সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্যরা মন খুলে কথা বলতে পারছেন। জ¦ালাময়ী বক্তব্যও দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ সংসদে বক্তব্য দিয়ে মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। সরকারের ভুল ত্রুটি তুলে ধরছেন। সংসদ সদস্যরা তা মন দিয়ে শুনছেন। সংসদ টিভির কল্যাণে তা দেশবাসীও শুনছেন। আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ভাইরালও হচ্ছে। দেখে মনে হয় সবকিছু ঠিকঠাক আছে। তাহলে সমস্যা কোথায়?
যেভাবেই নির্বাচন হউক তা বিএনপি মেনে নিয়েছে। আর তা মেনে নিয়ে নির্বাচিত এমপিরা শপথ নিয়েছেন। এখন নিয়মিত সংসদে যাচ্ছেন। করোনাকালে সরকার দক্ষতার পরিচয় দিয়ে দেশের অর্থনীতির রাশ টেনে ধরে রেখেছেন। যেখানে বিশে^র শক্তিশালী দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারের কৌশলী পদক্ষেপ এক্ষেত্রে কাজে দিয়েছে অনেকখানি। উন্নয়নের জোয়ারও বইছে আগের মতো। করোনার মধ্যেই পদ্মাসেতুর সবকটি স্প্যান বসানো হয়েছে। অনিয়ম দুর্নীতি শক্ত হাতে দমন করছে সরকার। নিজের দলের লোকদের একের পর এক দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করছেন। সরকারের সদিচ্ছার কারণেই দেশবাসী সম্রাট, জি কে শামীম, শাহেদ, শাবরিনা, পাপিয়াদের কাণ্ড জানতে পেরেছেন। সম্প্রতি সময়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে দুর্নীতির। মার্কেটে নয় শতাধিক অবৈধ দোকান করার তথ্য সামনে এসেছে সরকারের সদিচ্ছায়ই।
আর নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললে তা তো গিয়ে পড়ে নির্বাচন কমিশনের উপর। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আয়োজন করে। তারা প্রতিটি নির্বাচনের পর তৃপ্তির ঢেকুর তুলে। নির্বাচন স্বচ্ছ হয়েছে, সুন্দর হয়েছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে জাতির সামনে তুলে ধরে। আর সুন্দরভাবে নির্বাচন উপহার দিতে পেরেছে বলেই সিইসি জোড় গলায় বলেন, বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা শিক্ষা নেয়া উচিৎ। আমরা যে রেজাল্ট পাঁচ দশ মিনিটে দিতে পারি আমেরিকা তা পাঁচ দিনেও দিতে পারেনা। সিইসির এ কৃতিত্বের জন্য গোটা দেশই গর্বিত। সিইসি ইতিহাস রচনা করেছেন। এ ইতিহাসের স্বাক্ষী বিএনপিও।
এবার আসা যাক, মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রসঙ্গে। যদি মধ্যবর্তী নির্বাচন হয় তাহলে সংসদে প্রস্তাব আনতে হবে। ধরে নিলাম সরকারি দলের কোন সদস্য সংসদে এ প্রস্তাবটি আনলেন। এনিয়ে দিনের পর দিন আলোচনা হলো। সরকারি দল, বিরোধী দল, বিএনপির সংসদ সদস্যরা এ নিয়ে চুল ছেড়া বিশ্লেষণ করলেন। যুক্তি পাল্টা যুক্তি তুলে ধরলেন। সবশেষে স্পিকার তা সংসদে হ্যাঁ না ভোটে দিলেন। স্পিকার বললেন, সংসদের সামনে প্রশ্ন মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে কিনা। যারা এর পক্ষে আছেন তারা হ্যাঁ বলুন। সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির সাতজন এমপি হ্যাঁ বললেন। এবার স্পিকার বললেন, যারা এর বিপক্ষে আছেন তারা না বলুন। সঙ্গে সঙ্গে গোটা হাউজ না শব্দে কেঁপে উঠল। স্পিকার বললেন, না জয়যুক্ত হয়েছে। না জয়যুক্ত হয়েছে। না জয়যুক্ত হয়েছে।
ভোটের দিন নির্বাচনী মাঠে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কখনো কখনো ভোট শুরুর পর নির্বাচন বয়কট করছেন। তাদের এগুলো মুখেই থেকে যাচ্ছে। কারণ ফের নির্বাচনে তারা অংশ নিচ্ছেন। আর অংশ নিয়ে তারা কি প্রমাণ করছেন? জয় পরাজয় মেনেই তারা এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রশ্ন হলো- যেখানে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন সেখানে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি কি বোঝাতে চাইছেন। আবার মধ্যবর্তী নির্বাচনের আওয়াজ তোলাই বা কতটুকু যৌক্তিক? এছাড়া দেশ তো সুন্দরই চলছে। সংসদও সুন্দর চলছে। বছরের শুরুতেই বসছে শীতকালীন সংসদ অধিবেশন। সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্যরা মন খুলে কথা বলতে পারছেন। জ¦ালাময়ী বক্তব্যও দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ সংসদে বক্তব্য দিয়ে মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। সরকারের ভুল ত্রুটি তুলে ধরছেন। সংসদ সদস্যরা তা মন দিয়ে শুনছেন। সংসদ টিভির কল্যাণে তা দেশবাসীও শুনছেন। আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ভাইরালও হচ্ছে। দেখে মনে হয় সবকিছু ঠিকঠাক আছে। তাহলে সমস্যা কোথায়?
যেভাবেই নির্বাচন হউক তা বিএনপি মেনে নিয়েছে। আর তা মেনে নিয়ে নির্বাচিত এমপিরা শপথ নিয়েছেন। এখন নিয়মিত সংসদে যাচ্ছেন। করোনাকালে সরকার দক্ষতার পরিচয় দিয়ে দেশের অর্থনীতির রাশ টেনে ধরে রেখেছেন। যেখানে বিশে^র শক্তিশালী দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারের কৌশলী পদক্ষেপ এক্ষেত্রে কাজে দিয়েছে অনেকখানি। উন্নয়নের জোয়ারও বইছে আগের মতো। করোনার মধ্যেই পদ্মাসেতুর সবকটি স্প্যান বসানো হয়েছে। অনিয়ম দুর্নীতি শক্ত হাতে দমন করছে সরকার। নিজের দলের লোকদের একের পর এক দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করছেন। সরকারের সদিচ্ছার কারণেই দেশবাসী সম্রাট, জি কে শামীম, শাহেদ, শাবরিনা, পাপিয়াদের কাণ্ড জানতে পেরেছেন। সম্প্রতি সময়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে দুর্নীতির। মার্কেটে নয় শতাধিক অবৈধ দোকান করার তথ্য সামনে এসেছে সরকারের সদিচ্ছায়ই।
আর নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললে তা তো গিয়ে পড়ে নির্বাচন কমিশনের উপর। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আয়োজন করে। তারা প্রতিটি নির্বাচনের পর তৃপ্তির ঢেকুর তুলে। নির্বাচন স্বচ্ছ হয়েছে, সুন্দর হয়েছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে জাতির সামনে তুলে ধরে। আর সুন্দরভাবে নির্বাচন উপহার দিতে পেরেছে বলেই সিইসি জোড় গলায় বলেন, বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা শিক্ষা নেয়া উচিৎ। আমরা যে রেজাল্ট পাঁচ দশ মিনিটে দিতে পারি আমেরিকা তা পাঁচ দিনেও দিতে পারেনা। সিইসির এ কৃতিত্বের জন্য গোটা দেশই গর্বিত। সিইসি ইতিহাস রচনা করেছেন। এ ইতিহাসের স্বাক্ষী বিএনপিও।
এবার আসা যাক, মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রসঙ্গে। যদি মধ্যবর্তী নির্বাচন হয় তাহলে সংসদে প্রস্তাব আনতে হবে। ধরে নিলাম সরকারি দলের কোন সদস্য সংসদে এ প্রস্তাবটি আনলেন। এনিয়ে দিনের পর দিন আলোচনা হলো। সরকারি দল, বিরোধী দল, বিএনপির সংসদ সদস্যরা এ নিয়ে চুল ছেড়া বিশ্লেষণ করলেন। যুক্তি পাল্টা যুক্তি তুলে ধরলেন। সবশেষে স্পিকার তা সংসদে হ্যাঁ না ভোটে দিলেন। স্পিকার বললেন, সংসদের সামনে প্রশ্ন মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে কিনা। যারা এর পক্ষে আছেন তারা হ্যাঁ বলুন। সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির সাতজন এমপি হ্যাঁ বললেন। এবার স্পিকার বললেন, যারা এর বিপক্ষে আছেন তারা না বলুন। সঙ্গে সঙ্গে গোটা হাউজ না শব্দে কেঁপে উঠল। স্পিকার বললেন, না জয়যুক্ত হয়েছে। না জয়যুক্ত হয়েছে। না জয়যুক্ত হয়েছে।