খেলা

ম্যারাডোনার নামে বদলে গেল নাপোলি স্টেডিয়ামের নাম

স্পোর্টস ডেস্ক

৫ ডিসেম্বর ২০২০, শনিবার, ৫:১২ অপরাহ্ন

ইতালির নেপলস শহরের আলো-বাতাসে যেন মিশে আছেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। কেনই বা থাকবেন না! তার পায়ে যে পুর্নজন্ম হয়েছিল নেপলসের ফুটবল ক্লাব নাপোলির। নিজেদের ইতিহাসে মাত্র দু’বার ইতালির শীর্ষ লীগ (সিরি আ) জিতেছে দলটি। দু’বারই ম্যারাডোনা জাদুতে। নব্বইয়ের দশকে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির কীর্তিগাথা কখনো ভুলবে না নেপলসবাসী। ম্যারাডোনার মৃত্যুর পরই সিটি মেয়র ঘোষণা দিয়েছিলেন, নাপোলির হোম ভেন্যুর নাম পাল্টে ম্যারাডোনার নামে করার। শুক্রবার এলো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। স্তাদিও সান পাওলোর নাম পাল্টে রাখা হলো স্তাদিও দিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা।

নাপোলিকে নিয়ে বাজি ধরেছিলেন ম্যারাডোনা। ১৯৮৪ সালে যখন নেপলসে আসেন, বলার মতো কোনো অর্জন ছিল না ক্লাবটির। ইতালিতে তখন জুভেন্টাস, এসি মিলান ও ইন্টার মিলানের দাপট। এদের চ্যালেঞ্জ জানিয়েই ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে সিরি আ জিতে নেয় নাপোলি। ১৯৮৯-এ সাফল্য আসে ইউরোপিয়ান মঞ্চে। নাপোলি ঘরে তোলে উয়েফা কাপ। আর ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে নাপোলিকে দ্বিতীয় সিরি আ শিরোপা জিতিয়ে নেপলসবাসীর কাছে ম্যারাডোন হয়ে যান ‘ঈশ্বরতুল্য’। ৭ বছরে নাপোলির হয়ে ১১৫ গোল করেন ম্যারাডোনা। ২০১৯ পর্যন্ত নাপোলির পক্ষে যা ছিল সর্বাধিক গোলের রেকর্ড (বর্তমানে ১৩০ গোল নিয়ে শীর্ষে আছেন বেলজিয়ামের ড্রিস মর্টেন্স)।

ম্যারাডোনাকে সম্মান জানাতে কখনো কুণ্ঠাবোধ করেনি নাপোলি। তিনি ক্লাব ছাড়ার পর ১০ নম্বর জার্সিকেই অবসরে পাঠিয়ে দেয় ক্লাবটি। ২৫শে নভেম্বর এই কিংবদন্তি সবাইকে কাঁদিয়ে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। প্রয়াত মহানায়ককে উয়েফা ইউরোপা লীগের ম্যাচে শ্রদ্ধা জানিয়েছিল নাপোলি। রোমার বিপক্ষে লীগ ম্যাচেও জানানো হয় শ্রদ্ধা। ম্যাচের দশম মিনিটে খেলা বন্ধ রাখেন রেফারি। দুই দলের খেলোয়াড়, কোচ-স্টাফরা এক মিনিটের করতালিতে স্মরণ করেন ম্যারাডোনাকে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status