অনলাইন
রেমিট্যান্সের প্রণোদনা পাওয়া আরো সহজ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
৩ ডিসেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১:১৪ পূর্বাহ্ন
মহামারির মধ্যেও প্রবাসীরা বেশি অর্থ পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতি সচল রাখায় রেমিট্যান্সে সরকার ২ শতাংশ হারে যে প্রণোদনা দিচ্ছে, তা পাওয়া আরো সহজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এখন থেকে রেমিট্যান্স প্রদানকারী ব্যাংক রেমিটারের কাগজপত্র নিজ দায়িত্বেই যাচাই করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রণোদনার অর্থ ছাড় করার জন্য রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংকের কাছে ‘কনফার্মেশন’ পাঠাবে। তার ভিত্তিতে রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংক রেমিটেন্স প্রদানকারী ব্যাংক বরাবর প্রণোদনার টাকা ছাড় করবে।
এতদিন রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংক রেমিটারের কাগজপত্র যাচাই করত। রেমিটার যার নামে রেমিট্যান্স পাঠাতেন, তিনি প্রথমে রেমিটারের কাগজপত্র রেমিট্যান্স প্রদানকারী ব্যাংকে জমা দিতেন। রেমিট্যান্স প্রদানকারী ব্যাংক ওই কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার জন্য রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংকে পাঠাত। আহরণকারী ব্যাংক সেগুলো পরীক্ষা করে প্রদানকারী ব্যাংকে কনফার্মেশন দেয়ার পর প্রণোদনার টাকা পেতেন সুবিধাভোগীরা।
এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অনেক সময় লেগে যেত। সেই সময় কমিয়ে এনে রেমিট্যান্সের প্রণোদনার টাকা যাতে দ্রুততর সময়ে সুবিধাভোগীরা পান, তা নিশ্চিত করতে বুধবার নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স প্রেরণের বিপরীতে প্রণোদনা/নগদ সহায়তা প্রদানের নীতিমালা অনুযায়ী ৫ হাজার ডলার বা ৫ লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ প্রণোদনা সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে রেমিটারের কাগজপত্রাদি বিদেশের এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
নির্দেশনায় সেই যাচাই পদ্ধতি সহজ করে বলা হয়েছে-
২ শতাংশ প্রণোদনা সহায়তা গ্রহণের জন্য প্রাপক তার ব্যাংক (প্রদানকারী ব্যাংক) শাখায় রেমিটারের কাগজপত্রা জমা দেবে।
রেমিট্যান্স প্রদানকারী ব্যাংক রেমিটারের কাগজপত্রা নিজ দায়িত্বে যাচাই করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রণোদনা সহায়তা ছাড়করণের জন্য রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংকের নিকট কনফার্মেশন প্রেরণ করবে।
ওই কনফার্মেশনের ভিত্তিতে রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংক রেমিট্যান্স প্রদানকারী ব্যাংক বরাবর প্রণোদনা সহায়তা ছাড় করবে।
রেমিট্যান্স আহরণকারী এবং প্রদানকারী ব্যাংক একই হলে রেমিট্যান্সের প্রাপক হতে রেমিটারের কাগজপত্র সংগ্রহ এবং ওই কাগজপত্র যাচাই রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংক নিজেই সম্পাদন করবে।
এ নির্দেশনা ২০১৯ সালের ১লা জুলাই থেকে কার্যকর ধরা হবে।
নভেম্বরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩৩%
বিশ্ব ব্যাংকের হিসেবে রেমিট্যান্স বেড়েছে যেসব কারণে
২০১৯ সালের ১লা জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরো ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী। তবে ৫ হাজার ডলার বা ৫ লাখ টাকার কম রেমিট্যান্স পাঠালে প্রণোদনার জন্য কোনো কাগজপত্র জমা দিতে হয় না।
মহামািরকালেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে উল্লম্ফন অব্যাহত রয়েছে। সদ্য শেষ হওয়া নভেম্বর মাসেও ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলারের বেশি অর্থ পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
সবমিলিয়ে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ১ হাজার ৯০ কোটি ৪৪ লাখ (১০.৯০ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২.৮ বিলিয়ন ডলার বা ৪১.৩২ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশের ইতিহাসে পাঁচ মাসে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচকে এত বেশি প্রবৃদ্ধি আগে কখনই হয়নি। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে ৭৭১ কোটি ৬২ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন তারা। আর পুরো বছরে এসেছিল ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে গত অর্থবছরের ৬০ শতাংশ রেমিটেন্স এই পাঁচ মাসেই চলে এসেছে।
এখন থেকে রেমিট্যান্স প্রদানকারী ব্যাংক রেমিটারের কাগজপত্র নিজ দায়িত্বেই যাচাই করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রণোদনার অর্থ ছাড় করার জন্য রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংকের কাছে ‘কনফার্মেশন’ পাঠাবে। তার ভিত্তিতে রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংক রেমিটেন্স প্রদানকারী ব্যাংক বরাবর প্রণোদনার টাকা ছাড় করবে।
এতদিন রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংক রেমিটারের কাগজপত্র যাচাই করত। রেমিটার যার নামে রেমিট্যান্স পাঠাতেন, তিনি প্রথমে রেমিটারের কাগজপত্র রেমিট্যান্স প্রদানকারী ব্যাংকে জমা দিতেন। রেমিট্যান্স প্রদানকারী ব্যাংক ওই কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার জন্য রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংকে পাঠাত। আহরণকারী ব্যাংক সেগুলো পরীক্ষা করে প্রদানকারী ব্যাংকে কনফার্মেশন দেয়ার পর প্রণোদনার টাকা পেতেন সুবিধাভোগীরা।
এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অনেক সময় লেগে যেত। সেই সময় কমিয়ে এনে রেমিট্যান্সের প্রণোদনার টাকা যাতে দ্রুততর সময়ে সুবিধাভোগীরা পান, তা নিশ্চিত করতে বুধবার নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স প্রেরণের বিপরীতে প্রণোদনা/নগদ সহায়তা প্রদানের নীতিমালা অনুযায়ী ৫ হাজার ডলার বা ৫ লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ প্রণোদনা সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে রেমিটারের কাগজপত্রাদি বিদেশের এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
নির্দেশনায় সেই যাচাই পদ্ধতি সহজ করে বলা হয়েছে-
২ শতাংশ প্রণোদনা সহায়তা গ্রহণের জন্য প্রাপক তার ব্যাংক (প্রদানকারী ব্যাংক) শাখায় রেমিটারের কাগজপত্রা জমা দেবে।
রেমিট্যান্স প্রদানকারী ব্যাংক রেমিটারের কাগজপত্রা নিজ দায়িত্বে যাচাই করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রণোদনা সহায়তা ছাড়করণের জন্য রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংকের নিকট কনফার্মেশন প্রেরণ করবে।
ওই কনফার্মেশনের ভিত্তিতে রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংক রেমিট্যান্স প্রদানকারী ব্যাংক বরাবর প্রণোদনা সহায়তা ছাড় করবে।
রেমিট্যান্স আহরণকারী এবং প্রদানকারী ব্যাংক একই হলে রেমিট্যান্সের প্রাপক হতে রেমিটারের কাগজপত্র সংগ্রহ এবং ওই কাগজপত্র যাচাই রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংক নিজেই সম্পাদন করবে।
এ নির্দেশনা ২০১৯ সালের ১লা জুলাই থেকে কার্যকর ধরা হবে।
নভেম্বরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩৩%
বিশ্ব ব্যাংকের হিসেবে রেমিট্যান্স বেড়েছে যেসব কারণে
২০১৯ সালের ১লা জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরো ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী। তবে ৫ হাজার ডলার বা ৫ লাখ টাকার কম রেমিট্যান্স পাঠালে প্রণোদনার জন্য কোনো কাগজপত্র জমা দিতে হয় না।
মহামািরকালেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে উল্লম্ফন অব্যাহত রয়েছে। সদ্য শেষ হওয়া নভেম্বর মাসেও ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলারের বেশি অর্থ পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
সবমিলিয়ে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ১ হাজার ৯০ কোটি ৪৪ লাখ (১০.৯০ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২.৮ বিলিয়ন ডলার বা ৪১.৩২ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশের ইতিহাসে পাঁচ মাসে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচকে এত বেশি প্রবৃদ্ধি আগে কখনই হয়নি। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে ৭৭১ কোটি ৬২ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন তারা। আর পুরো বছরে এসেছিল ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে গত অর্থবছরের ৬০ শতাংশ রেমিটেন্স এই পাঁচ মাসেই চলে এসেছে।