ফেসবুক ডায়েরি
'বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন ও সুশাসনের একটি ভিন্নধর্মী সূচক শিগগিরই পাওয়া যেতে পারে'
ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ
৩ ডিসেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে অচিরেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টীকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। তবে ভ্যাকসিনের লভ্যতা (দাম ও সরবরাহ) ও সংরক্ষণ ব্যবস্থার বিবেচনায় প্রথম ধাপে কেবল সীমিত সংখ্যক মানুষকেই এই টীকা দেয়া সম্ভব হবে এবং পরবর্তীতে ধাপে ধাপে এই কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা যাবে। সেজন্য কারা আগে টীকা পাবে তার একটা গাইডলাইন তৈরি করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সদ্য একটি গাইডলাইন ঘোষণা করেছে, যাতে প্রত্যাশিত ভাবেই স্বাস্থ্যকর্মী (তাদের মধ্যে আবার যেসব ডাক্তার ও নার্স সরাসরি করোনা রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছেন আগে তারা) এবং নার্সিং হোমে থাকা বয়োবৃদ্ধরা তালিকার প্রথমে আছেন। যুক্তরাজ্যের গাইডলাইনও একই রকম। বাংলাদেশেও এ ধরনের আগ্রাধিকারের গাইডলাইন তৈরির কাজ চলছে বলে শোনা যাচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকেও একটি গাইড লাইন হয়তো পাওয়া যাবে এবং অনুমান করা যায় সেটি উন্নত দেশগুলোর আগ্রাধিকারের গাইডলাইনের আদলেই হবে। এধরণের আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত একটি মানদণ্ড থেকে বিভিন্ন দেশের গাইডলাইনের বিচ্যুতির মাত্রা কতখানি (এবং আরও ভালো হয় সেই গাইডলাইন বাস্তবে কতখানি পালিত হচ্ছে, অর্থাৎ অনিয়মের মাত্রা কি পরিমান, তার পারিসংখ্যান সংগ্রহ করা গেলে) তার ভিত্তিতে একটি আন্তর্জাতিক সূচক তৈরি করা যেতে পারে। এটিকে তাহলে সুশাসন ও উন্নয়নের মাত্রা এই দুটোরই একটি ভিন্নধর্মী বাড়তি সূচক হিসাবে কাজে লাগানো যাবে। একটি দেশের শাসন ব্যবস্থা কতখানি মানবিক গুনে সমৃদ্ধ তাও এ থেকে বোঝা যাবে। এটি মানুষের বাঁচা-মরার বিষয়; এবং সে কারণেই এক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি সুশাসনের মাত্রা নির্ধারণের ক্ষেত্রে বা উন্নয়ন-অনুন্নয়নের লক্ষণ বুঝতে গেলে প্রকট ভাবে ধরা পড়বে।
লেখাটি অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেয়া।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকেও একটি গাইড লাইন হয়তো পাওয়া যাবে এবং অনুমান করা যায় সেটি উন্নত দেশগুলোর আগ্রাধিকারের গাইডলাইনের আদলেই হবে। এধরণের আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত একটি মানদণ্ড থেকে বিভিন্ন দেশের গাইডলাইনের বিচ্যুতির মাত্রা কতখানি (এবং আরও ভালো হয় সেই গাইডলাইন বাস্তবে কতখানি পালিত হচ্ছে, অর্থাৎ অনিয়মের মাত্রা কি পরিমান, তার পারিসংখ্যান সংগ্রহ করা গেলে) তার ভিত্তিতে একটি আন্তর্জাতিক সূচক তৈরি করা যেতে পারে। এটিকে তাহলে সুশাসন ও উন্নয়নের মাত্রা এই দুটোরই একটি ভিন্নধর্মী বাড়তি সূচক হিসাবে কাজে লাগানো যাবে। একটি দেশের শাসন ব্যবস্থা কতখানি মানবিক গুনে সমৃদ্ধ তাও এ থেকে বোঝা যাবে। এটি মানুষের বাঁচা-মরার বিষয়; এবং সে কারণেই এক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি সুশাসনের মাত্রা নির্ধারণের ক্ষেত্রে বা উন্নয়ন-অনুন্নয়নের লক্ষণ বুঝতে গেলে প্রকট ভাবে ধরা পড়বে।
লেখাটি অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেয়া।