অনলাইন
'ভ্যাকসিন এলেও অর্থনীতির গতি মন্থর থাকবে'
ড. মাহফুজ পারভেজ
২ ডিসেম্বর ২০২০, বুধবার, ২:০১ পূর্বাহ্ন
অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) তার সর্বশেষ 'গ্লোবাল ইকনোমিক আউটলুক' রিপোর্টে জানিয়েছে, 'ভ্যাকসিন এলেও অর্থনীতির গতি মন্থর থাকবে'। করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে যে ধস নেমেছে, তা খুব সহজে ও অতিদ্রুত কাটবে না বলেও মন্তব্য করেছে বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে কর্মরত এ সংস্থা।
মঙ্গলবার (১লা ডিসেম্বর) 'ওইসিডি'র বরাতে নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, 'তবে অধিকাংশ দেশের ক্ষেত্রে অর্থনীতিকে উদ্ধারের কাজটি নানা কারণে শ্লথ হলেও ব্যতিক্রম হবে চীন। চীন করোনা মোকাবেলা করেও নিজের অর্থনীতির গতি বাড়িয়ে রাখতে সক্ষম হবে।'
সংস্থার মতে, সামনের বছরে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে ৪.২ শতাংশ, যার সিংহভাগই চীনের দখলে থাকবে। চীন নিজের প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীত করতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও সুইডেনের করোনা বিপর্যস্ত অর্থনীতির গতিও ক্রমশ ঊর্ধমুখী হবে। তবে ইউরোপের অনেকগুলো দেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও লাতিন আমেরিকার বহু দেশকে করোনার কারণে আর্থিকভাবে ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হবে।
করোনাজনিত কারণে অসাম্য বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করেছে অর্গানাইজেশন ফর ইকনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)। বিশেষত ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হবে তুলনামূলক বেশি। এসব ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান সঙ্কুচিত হয়ে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে। ভ্যাকসিন এলেও এসব খাত মাথা তুলে দাঁড়াতে অনেক সময় লাগবে।
ওইসিডি তাদের সুপারিশে বিশ্বের দেশগুলোকে আর্থিক প্রণোদনা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক সুরক্ষা ক্ষেত্রে অধিকতর মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। কারণ, নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সর্বস্তরে ভ্যাকসিন আসতে আসতে এক বছরও লেগে যেতে পারে। ততদিন আর্থিক, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষার কাজগুলো গুরুত্বের সঙ্গে করতে হবে প্রায়-সকল দেশকেই। আর ভ্যাকসিন এলেই সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতি উঠে দাঁড়াতে পারবে না। এজন্য যথেষ্ট সময় দিতে হবে।
উল্লেখ্য, করোনার কারণে বিপুল মানবিক ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে সীমাহীন। ২০১৯ সালে বিশ্বে যে আর্থিক প্রবৃদ্ধি বিরাজ করছিল, তা আরো সঙ্কুচিত হয়েছে। পুরো ২০২০ সালের ধাক্কা সামলিয়ে বিশ্বের জিডিপি ৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নিচে নেমে গেছে।
মঙ্গলবার (১লা ডিসেম্বর) 'ওইসিডি'র বরাতে নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, 'তবে অধিকাংশ দেশের ক্ষেত্রে অর্থনীতিকে উদ্ধারের কাজটি নানা কারণে শ্লথ হলেও ব্যতিক্রম হবে চীন। চীন করোনা মোকাবেলা করেও নিজের অর্থনীতির গতি বাড়িয়ে রাখতে সক্ষম হবে।'
সংস্থার মতে, সামনের বছরে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে ৪.২ শতাংশ, যার সিংহভাগই চীনের দখলে থাকবে। চীন নিজের প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীত করতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও সুইডেনের করোনা বিপর্যস্ত অর্থনীতির গতিও ক্রমশ ঊর্ধমুখী হবে। তবে ইউরোপের অনেকগুলো দেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও লাতিন আমেরিকার বহু দেশকে করোনার কারণে আর্থিকভাবে ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হবে।
করোনাজনিত কারণে অসাম্য বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করেছে অর্গানাইজেশন ফর ইকনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)। বিশেষত ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হবে তুলনামূলক বেশি। এসব ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান সঙ্কুচিত হয়ে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে। ভ্যাকসিন এলেও এসব খাত মাথা তুলে দাঁড়াতে অনেক সময় লাগবে।
ওইসিডি তাদের সুপারিশে বিশ্বের দেশগুলোকে আর্থিক প্রণোদনা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক সুরক্ষা ক্ষেত্রে অধিকতর মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। কারণ, নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সর্বস্তরে ভ্যাকসিন আসতে আসতে এক বছরও লেগে যেতে পারে। ততদিন আর্থিক, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষার কাজগুলো গুরুত্বের সঙ্গে করতে হবে প্রায়-সকল দেশকেই। আর ভ্যাকসিন এলেই সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতি উঠে দাঁড়াতে পারবে না। এজন্য যথেষ্ট সময় দিতে হবে।
উল্লেখ্য, করোনার কারণে বিপুল মানবিক ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে সীমাহীন। ২০১৯ সালে বিশ্বে যে আর্থিক প্রবৃদ্ধি বিরাজ করছিল, তা আরো সঙ্কুচিত হয়েছে। পুরো ২০২০ সালের ধাক্কা সামলিয়ে বিশ্বের জিডিপি ৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নিচে নেমে গেছে।