বাংলারজমিন
৭০ বছরে পদার্পণ করলো মোংলা সমুদ্রবন্দর
মোংলা বন্দর প্রতিনিধি
২ ডিসেম্বর ২০২০, বুধবার, ৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
হাঁটি হাঁটি পা পা করে প্রতিষ্ঠার ৭০ বছরে পদার্পণ করলো দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা। ১৯৫০ সালের ১লা ডিসেম্বর বিশ্বের একমাত্র প্রাকৃতিক বন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করে মোংলা বন্দর। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মোংলা বন্দর এখন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ঘুরতে শুরু করে মোংলা বন্দরের ভাগ্য চাকা। বর্তমানে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এ বন্দর। গত ১১ বছরে এ বন্দরের উন্নয়নে ৫০ টির বেশি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
দিনটি উপলক্ষে সীমিত পরিসরে সকাল ৯টায় র্যালি, ১০টায় স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও দুপুরে আলোচনা সভা ও বন্দরের সাফল্যে ও অগ্রগতি কামনায় মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বড় কোনো আয়োজন নেই বলে জানিয়েছে বন্দরের বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ।
জানা গেছে, ১৯৫০ সালে ১১ই ডিসেম্বর বৃটিশ বাণিজ্যিক জাহাজ ‘দি সিটি অফ লিয়নস’ সুন্দরবনের মধ্যে পশুর নদীর জয়মনিগোল নামক স্থানে নোঙ্গর করে। এটাই ছিল মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠার শুভ সূচনা। পরে ১৯৫১ সালের ৭ই মার্চ জয়মনিগোল থেকে ১৪ মাইল উজানে চালনা নামক স্থানে এ বন্দর স্থানান্তরিত হয়ে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত বন্দরের কার্যক্রম চলে। পরে স্যার ক্লাইভ অ্যাঙ্কনিস পশুর ও শিবসা নদী জরিপের জন্য আসেন। দীর্ঘ বিস্তৃত জরিপের পর তিনি তার রিপোর্টে বন্দরকে চালনা থেকে সরিয়ে মোংলায় প্রস্তাব করেন। চালনা থেকে ৯/১০ মাইল ভাটিতে মোংলা নদী এবং পশুর নদীর মিলন স্থলে ছিল ‘মোংলা’। এখানে নদীর নাব্যও ছিল বেশি। সুবিস্তৃত স্থলভাগ ও বন্দর নির্মাণের জন্য ছিল উপযোগী। উপরোক্ত প্রস্তাব অনুযায়ী ১৯৫৪ সালের ২০শে জুন এ বন্দরকে সরিয়ে মোংলা নামক স্থানে নিয়ে আসা হয়। বন্দর যখন চালনা বন্দর ছিল তখন এটা ছিল একটা অচেনা গ্রাম নাম ছিল শেলাবুনিয়া। তবে বন্দর স্থানান্তরের পরেই ঘটে তার পরিবর্তন। একটা অচেনা ক্ষুদ্র গ্রাম পায় আন্তর্জাতিক পরিচিতি। মোংলা নদীর তীরে স্থাপন হওয়ায় এ বন্দরের নাম হয় মোংলা। জনশূন্য এলাকায় মুখরিত হয়ে ওঠে জন কলরবে। একটি সরকারি অধিদপ্তর হিসেবে যাত্রা শুরু করে এবং ১৯৭৬ সালের মে মাসে চালনা বন্দর কর্তৃপক্ষ নামক একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করে এবং পুনরায় ১৯৮৭ সালের মার্চ মাসে এটির নাম পরিবর্তন করে ‘মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ’Ñ হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
জানতে চাইলে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম. শাহজাহান বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জাতীয় অর্থনীতিসহ এই অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে মোংলা সমুদ্রবন্দর। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক ও মোংলা-রামপালের বর্তমান সংসদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহারের বিশেষ পদক্ষেপ ও পৃষ্ঠপোষকতায় মোংলা বন্দর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে।
দিনটি উপলক্ষে সীমিত পরিসরে সকাল ৯টায় র্যালি, ১০টায় স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও দুপুরে আলোচনা সভা ও বন্দরের সাফল্যে ও অগ্রগতি কামনায় মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বড় কোনো আয়োজন নেই বলে জানিয়েছে বন্দরের বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ।
জানা গেছে, ১৯৫০ সালে ১১ই ডিসেম্বর বৃটিশ বাণিজ্যিক জাহাজ ‘দি সিটি অফ লিয়নস’ সুন্দরবনের মধ্যে পশুর নদীর জয়মনিগোল নামক স্থানে নোঙ্গর করে। এটাই ছিল মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠার শুভ সূচনা। পরে ১৯৫১ সালের ৭ই মার্চ জয়মনিগোল থেকে ১৪ মাইল উজানে চালনা নামক স্থানে এ বন্দর স্থানান্তরিত হয়ে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত বন্দরের কার্যক্রম চলে। পরে স্যার ক্লাইভ অ্যাঙ্কনিস পশুর ও শিবসা নদী জরিপের জন্য আসেন। দীর্ঘ বিস্তৃত জরিপের পর তিনি তার রিপোর্টে বন্দরকে চালনা থেকে সরিয়ে মোংলায় প্রস্তাব করেন। চালনা থেকে ৯/১০ মাইল ভাটিতে মোংলা নদী এবং পশুর নদীর মিলন স্থলে ছিল ‘মোংলা’। এখানে নদীর নাব্যও ছিল বেশি। সুবিস্তৃত স্থলভাগ ও বন্দর নির্মাণের জন্য ছিল উপযোগী। উপরোক্ত প্রস্তাব অনুযায়ী ১৯৫৪ সালের ২০শে জুন এ বন্দরকে সরিয়ে মোংলা নামক স্থানে নিয়ে আসা হয়। বন্দর যখন চালনা বন্দর ছিল তখন এটা ছিল একটা অচেনা গ্রাম নাম ছিল শেলাবুনিয়া। তবে বন্দর স্থানান্তরের পরেই ঘটে তার পরিবর্তন। একটা অচেনা ক্ষুদ্র গ্রাম পায় আন্তর্জাতিক পরিচিতি। মোংলা নদীর তীরে স্থাপন হওয়ায় এ বন্দরের নাম হয় মোংলা। জনশূন্য এলাকায় মুখরিত হয়ে ওঠে জন কলরবে। একটি সরকারি অধিদপ্তর হিসেবে যাত্রা শুরু করে এবং ১৯৭৬ সালের মে মাসে চালনা বন্দর কর্তৃপক্ষ নামক একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করে এবং পুনরায় ১৯৮৭ সালের মার্চ মাসে এটির নাম পরিবর্তন করে ‘মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ’Ñ হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
জানতে চাইলে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম. শাহজাহান বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জাতীয় অর্থনীতিসহ এই অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে মোংলা সমুদ্রবন্দর। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক ও মোংলা-রামপালের বর্তমান সংসদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহারের বিশেষ পদক্ষেপ ও পৃষ্ঠপোষকতায় মোংলা বন্দর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে।