খেলা

ক্রিকেট বাজিতে বাধা, মা-বোনকে খুন

স্পোর্টস ডেস্ক

৩০ নভেম্বর ২০২০, সোমবার, ৬:০৯ পূর্বাহ্ন

ক্রিকেটে বাজি ধরার নেশায় মত্ত ছিলেন পাল্লি সৈনত রেড্ডি। ভারতীয় এই তরুণ ব্যাংকে রাখা মায়ের সব টাকা তুলে বাজি ধরেন। সেটাতে হেরে বিক্রি করা শুরু করেন পরিবারের সহায়-সম্পত্তি। বাঁধা দেন মা ও বোন। সেটা সহ্য হয়নি ২৩ বছর বয়সী প্রকৌশল শিক্ষার্থী পাল্লি সৈনতের। পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন মা ও বোনকে। ভয়ঙ্কর এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের হায়দরাবাদে।



স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে মুম্বই মিরর জানিয়েছে, সৈনত মা ও বোনের খাবারে কীটনাশক মিশিয়ে দেন। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর মা-বোনকে হাসপাতালে নেন সৈনত। ২৩ বছর বয়সী এই শিক্ষার্থী পড়তেন এমটেক নিয়ে। দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন তিনি। বাবা প্রভাকর রেড্ডি মারা গেছেন তিন বছর আগে। মা সুনিতা (৪৪) একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। বোন অনুজা (২২) ফার্মাসিতে পড়তেন। প্রভাকরের মৃত্যুর পর জীবনবীমা থেকে পাওয়া ও কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে পাওয়া অর্থ ব্যাংকে জমা রেখেছিলেন সুনিতা। মাকে না জানিয়েই ২০ লাখ টাকা তুলে বাজি ধরেন সৈনত। হেরে সব টাকা খোয়ান তিনি। বাজির অঙ্কটা ছিল আরো বড়। সেজন্য বিক্রি করে দেন মায়ের ১৫ ভরি গয়না।

সুনিতা ও অনুজা সবকিছু জানতে পারেন। ছেলেকে সবকিছু ছাড়ার নির্দেশ দেন সুনিতা। পরিবারের সব সম্পত্তি বাজিতে খাটানোর জন্য পরিকল্পনা করেন সৈনত। সেজন্য মা ও বোনের খাবারে মিশিয়ে দেন বিষ। ২৩শে নভেম্বর রাতের খাবার নিয়ে খন্ডকালীন চাকরি করা সৈনত অফিসে চলে যান। খাবার খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন মা ও বোন। সেদিনের রাতের খাবারে ছিল বিষ মেশানো। ফোন অফ করে রাখায় বারবার ফোন করেও ছেলেকে পাননি সুনিতা। সকাল ৯টায় ফোন ওপেন করে মায়ের মেসেজ দেখেন সৈনত। এরপর বাড়িতে ফোন করলে বোন অনুজা জানান, ‘তারা গুরুতর অসুস্থ’। বাড়িতে ফেরার পরও মা ও বোনকে হাসপাতালে নেননি সৈনত। তারা অজ্ঞান হওয়ার পরই নিয়ে যান হাসপাতালে। ২৭শে নভেম্বর মারা যান অনুজা। তার মা মারা যান পরের দিন।

আত্মীয়-স্বজনরা সন্দেহ করেন সৈনতকে। প্রশ্নের মুখে সব স্বীকার করেন। বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন সৈনত।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status